ক্যাডার বৈষম্য নিরসনসহ নানা দাবিতে কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়ায় কর্মবিরতী ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার
(২৬ ডিসেম্বর) বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত আন্তঃক্যাডার বৈষম্য
নিরসন পরিষদের ব্যানারে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স প্রাঙ্গণে এ কর্মসূচি
পালন করা হয়।
জানা গেছে, জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন প্রস্তাবিত উপসচিব
পুলে কোটা পদ্ধতি বহাল, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য ক্যাডারকে সিভিল সার্ভিসের
বহির্ভূতকরণের প্রতিবাদে এবং কৃত্য পেশাভিত্তিক মন্ত্রণালয় প্রতিষ্ঠার
দাবিতে এ কর্মসূচি পালন করা হয়। এতে প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তারা ছাড়া
বাকি ২৫ টি ক্যাডারের কর্মকর্তারা অংশগ্রহণ করেন।
কর্মসূচি চলাকালে
কর্মকর্তারা জানান, সার্ভিস অ্যাক্ট ১৯৭৫ অনুযায়ী মেধার ভিত্তিতে সিভিল
সার্ভিসের সকল ক্যাডারের কর্মকর্তাকে উপসচিব ও তদূর্ধ্ব পদে নিয়োগের কথা
থাকলেও বিভিন্ন অজুহাতে এ সকল পদে নিজেদের জন্য কোটা পদ্ধতি চালু রেখেছে
প্রশাসন ক্যাডার। পরে ২০১৮ এর নির্বাচনের পর সার্ভিস অ্যাক্ট ১৯৭৫ রহিত করা
হয়। এছাড়া ২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারির নির্বাচনের পর ২০ ফেব্রুয়ারি এ সকল পদ
নিজেদের তফসিলে বসিয়ে নিয়েছে প্রশাসন ক্যাডার। এমন কর্মকাণ্ড বাংলাদেশি
সিভিল সার্ভিসকে ভঙ্গুর করার মাধ্যমে দেশের এগিয়ে যাওয়ার পথে প্রতিবন্ধকতা
সৃষ্টি করেছে।
তারা জানান, উপসচিব কোন বিশেষ ক্যাডারের পদ নয়। এটি
সরকারি পদ যা অন্য সকল ক্যাডার ও এ দেশের যোগ্য নাগরিকদের জন্য উন্মুক্ত।
এটি একটি নির্দিষ্ট জায়গায় আটকে দেওয়া বৈষম্যের বড় পরিচয়। আন্তঃক্যাডার
বৈষম্য নিরসন পরিষদের সঙ্গে কোনরকম আলোচনা ছাড়া এমন সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে
আমাদের এই মানববন্ধন ও কর্মবিরতী পালন করা হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন,
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মোঃ মাসুদ রানা, ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. মোঃ মনিরুল ইসলাম,
মেডিকেল অফিসার ডাঃ তোফায়েল আহমেদ ভূঁইয়া, ডাঃ শঙখজিৎ সমাজপতি, ডাঃ উম্মে
সালমা মৌ, ডাঃ আসিফ মোহাম্মদ তকি প্রমুখ।