হোমনা
প্রতিনিধি: মোবাইল ফোনের সাহায্যে টাকা আদান প্রদানের মাধ্যম ‘বিকাশ’ এ
ছড়িয়ে পড়েছে নানা প্রতারণার জাল। সারা দেশে প্রতিনিয়ত অসংখ্য গ্রাহক নানা
প্রতারণার শিকার হলেও নিজেদের দায়িত্ব কৌশলে এড়িয়ে যায় বিকাশ কর্তৃপক্ষ।
অপরদিকে এ বিষয়ে পুলিশের কাছে অভিযোগ করেও সহসাই কোনো প্রতিকার পাচ্ছেন না
ভুক্তভোগীরা।
কুমিল্লার হোমনায় বিকাশ প্রতারণার মাধ্যমে একব্যক্তির
নিকট থেকে ৩ লাখ ৪০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ পাওয়াগেছে। এ বিষয়ে
আছাদপুর ইউনিয়নের তেভাগিয়া গ্রামের মো. গোলাম হোসেন(৫০) নামের এক ভুক্তভোগী
৩ জনকে আসামী করে হোমনা থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগ সূত্রে
জানাগেছে, গত১৯/১০/২০২৪ তারিখ উপজেলার আছাদপুর ইউনিয়নের তেভাগিয়া গ্রামের
মো. গোলাম হোসেন তার সৌদি প্রবাসি ভাগিনা অসুস্থ্যের চিকিৎসার জন্য মো.
সিরাজুল ইসলামের বিকাশ দোকান গেলে প্রতারক চক্র তাকে ১৪ নম্বর দেয়। পরে এ
১৪ টি নম্বরে মোট ৩ লাখ ৮৩ হাজার ৪০ টাকা প্রেরণ করা হয়। পরে জানতে পারে
তার ভাগিনা অসুস্থ্য হয়নি। প্রতারক চক্র প্রতারণা করে তার টাকা হাতিয়ে
নিয়েছে।
পরবর্তীতে বিকাশ অফিসে কল করে উল্লেখিত আসামীদের নম্বর এ
টাকা গুলো প্রেরন করা হয়েছে। মর্মে নিশ্চিত হয়ে এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তির
সহযোগীতা তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তার নম্বরে টাকা পাওওয়ার কথা স্বীকার
করে। কিন্ত টাকা অন্য নম্বরে প্রেরণ করা হয়েছে বলে টাকা ফেরৎ না দিয়ে
তালবাহানা শুরু করে। এবং টাকা চাইতে গেলে তাঁকে মিথ্যা মামলাসহ প্রাণ
নাশের হুমকি দেয়।
পরে মো. গোলাম হোসেন বাদী হয়ে বিকাশ এজেন্ট মোমেন,তার শ্যালক আউয়াল মোল্লা ও ম্যানেজার মো. ইসমাইলের নামে হোমনা থানায় অভিযোগ করে।
ভুক্তভোগী মো. গোলাম হোসেন জানান, সমস্ত তথ্য প্রমান ও স্বীকারোক্তি দেয়ার পরও পুলিশ রহস্যজনক কারনে টাকা উদ্ধার করতে গড়িমসি করছে।
তদন্তকারি
কর্মকর্তা হোমনা থানার এস আই নাসির উদ্দিন বলেন, অভিযোতদন্ত করে ঘটনার
সত্যতা পাওয়াগেছে, স্থানীয় ভাবে আপোষ মিমাংশার মাধ্যমে কিছু টাকা আদায়ও
হয়েছে। বাকি টাকা দেয়ার জন্য সময় নিয়েছে। যদি টাকা না দেন আইনগত ব্যবস্থা
গ্রহন করা হবে।