প্রিমিয়ার লিগে দুর্বার পথচলা ধরে রাখল মোহামেডান। শুরুর দিকে পাওয়া গোলটি শেষ পর্যন্ত আগলে রেখে জয়ের উচ্ছ্বাসে মাতল সাদাকালো জার্সিধারীরা। আলফাজ আহমেদের দল বছর শেষ করল জয়ের রঙে রঙিন হয়ে।
কুমিল্লার শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত স্টেডিয়ামে শুক্রবার ফর্টিস এফসিকে ১-০ গোলে হারায় মোহামেডান। সপ্তদশ মিনিটে এমানুয়েল সানডের করা গোলটি গড়ে দেয় ম্যাচের ভাগ্য।
পাঁচ ম্যাচের সবগুলো জিতে ১৫ পয়েন্ট নিয়ে লিগ টেবিলে শীর্ষস্থান আরও সংহত করে বছর শেষ করল মোহামেডান। দ্বিতীয় হারের স্বাদ পাওয়া ফর্টিসের পয়েন্ট ৫।
দারুণ ছন্দে থাকা মোহামেডানের বিপক্ষে অবশ্য শুরুতে চোখে চোখ রেখে খেলছিল ফর্টিস। আক্রমণ, পাল্টা আক্রমণে জমে ওঠে ম্যাচ। সপ্তদশ মিনিটে এগিয়ে যাওয়ার আনন্দ সঙ্গী হয় মোহামেডানের।
বাম দিক থেকে আর্নেস্ট বোয়াটেংয়ের বাড়ানো আড়াআড়ি ক্রস বুঝেই উঠতে পারেননি ফর্টিসের ডিফেন্ডারেরা। ডিফেন্স লাইনের সামনে দিয়ে সরাসরি চলে যায় ডান দিকে থাকা সানডের কাছে; নিচু প্লেসিং শটে জালে জড়িয়ে দেন এই নাইজেরিয়ান ফরোয়ার্ড।
পিছিয়ে পড়লেও পাল্টা আক্রমণের মনোভাব নিয়ে খেলতে থাকে ফর্টিস, কিন্তু মোহামেডান গোলরক্ষককে পরীক্ষা নিতে পারছিল না তারা। ৪০তম মিনিটে ভালো সুযোগ পায় মোহামেডানও। মোজাফ্ফর মোজাফ্ফরভের ক্রসে দূরের পোস্টে গোলমুখে থাকা বোয়াটেংয়ের টোকায় বল যায় ক্রসবারের বাইরে।
দ্বিতীয়ার্ধেও খেলা চলতে থাকে একই ধাঁচে; তবে সুযোগ তৈরিতে এগিয়ে ছিল মোহামেডান। ৬৪তম মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণের আরেকটি ভালো সুযোগ নষ্ট হয় তাদের। বাম দিক দিয়ে আক্রমণে ওঠা আরিফ হোসেন এক ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে বক্সে জায়গা করে নিয়েছিলেন, কিন্তু নিজের শট না নিয়ে বাড়ান অন্য প্রান্তে থাকা সানডেকে। নাইজেরিয়ান ফরোয়ার্ড উড়িয়ে মেরে বসেন।
একটু পরই জালে বল জড়ান ফর্টিসের পা ওমর সার, কিন্তু তার আগেই সহকারী রেফারি তোলেন অফসাইডের পতাকা। ৮৩তম মিনিটে ভ্যালেরি রিশিনের উচুঁ করে বাড়ানো বলে মাথা ছোঁয়ানোর কেউ ছিল না। তাতে আর সমতায় ফেরা হয়নি ফর্টিসের।
হারের বৃত্তেই চট্টগ্রাম আবাহনী
দিনের অন্য ম্যাচে গাজীপুরের শহীদ বরকত স্টেডিয়ামে ৪২তম মিনিটে শাকিল আলি দারুণ আড়াআড়ি শটে এগিয়ে নেন ঢাকা ওয়ান্ডারার্সকে। এই গোলই শেষ পর্যন্ত গড়ে দেয় ব্যবধান। চট্টগ্রাম আবাহনী পায় টানা পঞ্চম হারের তেতো স্বাদ।
পয়েন্টের খাতা খুলতে না পারা চট্টগ্রাম আবাহনী পয়েন্ট টেবিলের তলানিতে আছে। লিগে প্রথম জয়ের অনির্বচনীয় আনন্দ সঙ্গী হওয়ার পাশাপাশি ওয়ান্ডারার্স ৪ পয়েন্ট নিয়ে অবনমন অঞ্চল থেকে বেরিয়ে উঠে এসেছে অষ্টম স্থানে।