রোববার ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪
১৫ পৌষ ১৪৩১
জুলাই অভ্যুত্থান:
বিদ্যমান সীমাবদ্ধতা ও সম্ভাবনা
মোহাম্মাদ মনিরুজ্জামান
প্রকাশ: শনিবার, ২৮ ডিসেম্বর, ২০২৪, ১২:০৩ এএম |

 বিদ্যমান সীমাবদ্ধতা ও সম্ভাবনা
জুলাই অভ্যুত্থান বাংলাদেশের রাজনীতির মোড় পরিবর্তন করে দিয়েছে। এটি কেবল বিদ্যমান রাজনৈতিক কাঠামোর সীমাবদ্ধতা নয়, বরং জনগণের মধ্যে পরিবর্তনের আকাঙ্ক্ষাকেও স্পষ্টভাবে তুলে ধরেছে। দীর্ঘদিন ধরে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মধ্যে বিদ্যমান প্রতিদ্বন্দ্বিতা এবং পারস্পরিক দোষারোপের রাজনীতি দেশের উন্নয়ন ও গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করেছে। ফলে জনগণের প্রকৃত চাহিদা ও আকাঙ্ক্ষা উপেক্ষিত থেকেছে। এই প্রেক্ষাপটে, একটি নতুন রাজনৈতিক দলের প্রয়োজনীয়তা অত্যন্ত জরুরি হয়ে পড়েছে।
নতুন রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি ও কার্যকর নেতৃত্বের অভাব সাধারণ মানুষের মধ্যে সুশাসন, জবাবদিহি এবং স্থায়ী উন্নয়নের প্রতি আকাঙ্ক্ষা তৈরি করেছে। যদি নতুন দলটি জনগণের আশা-আকাক্সক্ষাকে সঠিকভাবে ধারণ করতে পারে, তবে তা বিদ্যমান দলগুলোর দুর্নীতি, অপব্যবস্থা এবং উদাসীনতার বিরুদ্ধে একটি শক্তিশালী বিকল্প হিসেবে গড়ে উঠতে পারে। এটি দেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে ইতিবাচক পরিবর্তন এনে গণতন্ত্র ও উন্নয়নের পথে একটি নতুন দিগন্ত উন্মোচিত করতে পারে।
বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে নতুন দল গঠনের প্রয়োজনীয়তা অত্যন্ত জরুরি হয়ে উঠেছে, যেখানে রাজনীতিতে তরুণদের আগমন, জনমনে প্রত্যাশা এবং সুশীল সমাজের দাবিগুলো ক্রমেই প্রবল হচ্ছে। দুর্নীতি, ক্ষমতার অপব্যবহার এবং জবাবদিহির অভাবে দেশের রাজনৈতিক কাঠামো জনগণের আস্থার সংকটে পড়েছে। সরকারি কার্যক্রমে স্বচ্ছতার অভাব এবং সাধারণ মানুষের চাহিদার প্রতি উদাসীনতা দীর্ঘদিন ধরে জনগণের মধ্যে গভীর অসন্তোষ সৃষ্টি করেছে। ফলে, একটি বিশ্বাসযোগ্য বিকল্প রাজনৈতিক শক্তি যা সঠিক নেতৃত্ব ও কার্যকর শাসনব্যবস্থা দিতে সক্ষম, তার প্রয়োজনীয়তা অনস্বীকার্য হয়ে পড়েছে।
এদিকে বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যার একটি বড় অংশ তরুণ, যারা পরিবর্তনশীল বিশ্বের সুযোগ ও উন্নয়নের আশা নিয়ে এগিয়ে যেতে চায়। বর্তমান রাজনৈতিক কাঠামো তাদের চাহিদার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ না হওয়ায় তরুণদের মধ্যে রাজনৈতিক উদাসীনতা বাড়ছে। একটি নতুন দল তরুণদের উদ্ভাবনী চিন্তা ও নেতৃত্বের দক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে তাদের সম্পৃক্ত করতে পারে, যা দেশের ভবিষ্যৎ নেতৃত্ব গঠনে একটি শক্তিশালী ভিত্তি স্থাপন করবে।
পাশাপাশি সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা দীর্ঘদিন ধরে একটি শক্তিশালী, স্বচ্ছ এবং দায়িত্বশীল রাজনৈতিক দলের অভাব অনুভব করছেন। তারা এমন একটি দলের প্রত্যাশা করছেন, যা সুশাসন, স্বচ্ছতা এবং নৈতিক নেতৃত্বের ভিত্তিতে কাজ করবে। বিদ্যমান রাজনৈতিক দলগুলোর সীমাবদ্ধতা ও ব্যর্থতা সুশীল সমাজকে একটি নতুন দলের প্রয়োজনীয়তার দিকে নজর দিতে বাধ্য করেছে। নতুন দলটি সুশীল সমাজের সক্রিয় অংশগ্রহণ নিশ্চিত করে গণতান্ত্রিক সংস্কৃতিকে শক্তিশালী করতে পারে। এই প্রেক্ষাপটে নতুন একটি রাজনৈতিক দল শুধু একটি বিকল্প শক্তি হিসেবে নয়, বরং দেশের রাজনৈতিক ও সামাজিক পুনর্গঠনের একটি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম হিসেবে আবির্ভূত হতে পারে।
নতুন রাজনৈতিক দলটি দেশের রাজনৈতিক, সামাজিক এবং অর্থনৈতিক ব্যবস্থায় ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে সুশাসন, সমতার নীতি এবং টেকসই উন্নয়নের ওপর বিশেষভাবে জোর দেবে। দুর্নীতি প্রতিরোধ, ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা এবং স্বচ্ছ প্রশাসনের মাধ্যমে সুশাসনের আদর্শ বাস্তবায়ন দলটির অন্যতম লক্ষ্য। প্রান্তিক জনগোষ্ঠী, নারী এবং গ্রামীণ সম্প্রদায়ের উন্নয়নকে অগ্রাধিকার দিয়ে অন্তর্ভুক্তিমূলক নীতিমালা প্রণয়ন করা হবে। তরুণদের ক্ষমতায়নের জন্য মানসম্মত শিক্ষায় বিনিয়োগ, কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং উদ্ভাবনী উদ্যোগে সহায়তা প্রদান করা হবে। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলা এবং পরিবেশবান্ধব উন্নয়নের জন্য নবায়নযোগ্য জ্বালানি ব্যবহার ও টেকসই কৃষিনীতির বাস্তবায়ন নিশ্চিত করা হবে। 
প্রযুক্তিনির্ভর শিক্ষাব্যবস্থা, সাশ্রয়ী ও মানসম্মত স্বাস্থ্যসেবা এবং গ্রামীণ অর্থনীতি শক্তিশালী করতে কৃষি ও অবকাঠামো উন্নয়নে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হবে। নারীর ক্ষমতায়ন, কর্মক্ষেত্রে লিঙ্গসমতা এবং নেতৃত্বে তাদের অংশগ্রহণ বাড়ানোর জন্য কার্যকর আইন ও নীতি বাস্তবায়ন করা হবে। পাশাপাশি নির্বাচন কমিশনের স্বাধীনতা নিশ্চিত করে পক্ষপাতমুক্ত ও দুর্নীতিমুক্ত নির্বাচনব্যবস্থা গড়ে তোলা হবে। দারিদ্র্যবিমোচন, অর্থনৈতিক বৈষম্য হ্রাস এবং ক্ষুদ্র ও মধ্যম উদ্যোক্তাদের জন্য সহজ ঋণসুবিধা নিশ্চিত করার মাধ্যমে একটি ন্যায্য অর্থনৈতিক ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করা হবে। এই নীতিসমূহের মাধ্যমে দলটি একটি সমতাভিত্তিক, অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং টেকসই সমাজ গঠনে কাজ করবে, যা দেশের গণতন্ত্র, উন্নয়ন এবং পরিবেশ রক্ষার ক্ষেত্রে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে সক্ষম হবে।
নতুন রাজনৈতিক দলের সামনে রয়েছে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ চ্যালেঞ্জ, যা তাদের সাফল্যের পথে প্রধান বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে: 
১. জনসমর্থন গঠন: দেশব্যাপী একটি শক্তিশালী নেটওয়ার্ক তৈরি করা এবং জনগণের আস্থা অর্জন করা নতুন দলের জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। বিদ্যমান রাজনৈতিক কাঠামোর প্রতি জনসাধারণের হতাশা থাকা সত্ত্বেও একটি নতুন দলকে প্রথমে তাদের কার্যক্রম ও উদ্দেশ্যগুলো পরিষ্কারভাবে উপস্থাপন করতে হবে। গ্রামীণ এবং শহুরে উভয় জনগোষ্ঠীর সঙ্গে কার্যকর যোগাযোগ স্থাপন এবং তাদের অন্তর্ভুক্তি নিশ্চিত করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। 
২. রাজনৈতিক প্রতিরোধ: বিদ্যমান দলগুলো নতুন দলের কার্যক্রম ও প্রভাবকে সীমিত করতে প্রতিরোধ গড়তে পারে। রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র, মিথ্যা প্রচার এবং প্রশাসনিক চাপ নতুন দলের অগ্রগতিতে বাধা সৃষ্টি করতে পারে। তাই দলটিকে এই প্রতিরোধ মোকাবিলায় কৌশলী হতে হবে এবং জনমুখী কর্মসূচির মাধ্যমে তাদের অবস্থান শক্তিশালী করতে হবে। 
৩. ধারাবাহিকতা বজায় রাখা: নতুন রাজনৈতিক দলগুলোর ক্ষেত্রে একসময়কার জনসমর্থন দীর্ঘমেয়াদি না হওয়া একটি সাধারণ চ্যালেঞ্জ। জনসাধারণের মনোযোগ ধরে রাখা এবং তাদের আস্থার প্রতিফলন ঘটাতে ধারাবাহিকভাবে কার্যকর ও স্বচ্ছ নেতৃত্ব দিতে হবে। এটি দলটির দীর্ঘস্থায়ী সাফল্যের জন্য অপরিহার্য। 
৪. আর্থিক চ্যালেঞ্জ: একটি নতুন দল পরিচালনা ও প্রচারণার জন্য পর্যাপ্ত তহবিল সংগ্রহ করা বড় একটি সমস্যা। তহবিলের অভাবে অনেক উদ্যোগ ব্যাহত হতে পারে। তাই নতুন দলকে আর্থিক স্বচ্ছতা বজায় রেখে দেশ-বিদেশে সমর্থকদের কাছ থেকে বৈধ উপায়ে তহবিল সংগ্রহের কার্যক্রম চালাতে হবে। 
৫. সংগঠনের অভ্যন্তরীণ স্থিতিশীলতা: দলের অভ্যন্তরে নেতৃত্বের বিরোধ, মতভেদ এবং সদস্যদের মধ্যে বিভাজন নতুন দলের কার্যক্রম ব্যাহত করতে পারে। একটি কার্যকর সাংগঠনিক কাঠামো এবং সুস্পষ্ট আদর্শিক ভিত্তি প্রতিষ্ঠা করে এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হবে। 
৬. নির্বাচনি চ্যালেঞ্জ: বিদ্যমান নির্বাচনব্যবস্থার সীমাবদ্ধতা এবং পক্ষপাতমুক্ত নির্বাচন নিশ্চিত করার অভাব নতুন দলের জন্য বড় প্রতিবন্ধক হতে পারে। একটি সুষ্ঠু ও স্বচ্ছ নির্বাচন নিশ্চিত করতে দলটিকে জনগণের সমর্থনে নির্বাচন কমিশন ও সংশ্লিষ্ট প্রশাসনিক ব্যবস্থায় পরিবর্তনের দাবি জানাতে হবে। 
৭. গণমাধ্যম ও সামাজিক প্রভাব: গণমাধ্যমে উপস্থিতি এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রভাব বজায় রাখা নতুন দলের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ। বিদ্যমান দলগুলো প্রায়শই মিডিয়া নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে নতুন দলের প্রচারণাকে দুর্বল করার চেষ্টা করতে পারে। তাই দলটিকে নতুন প্রযুক্তি ও মাধ্যম ব্যবহার করে তাদের বার্তা ছড়িয়ে দেওয়ার কৌশল রপ্ত করতে হবে।
৮. সামাজিক বৈষম্য ও প্রথাগত চ্যালেঞ্জ: বাংলাদেশের সমাজে লিঙ্গবৈষম্য, ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের প্রতি বৈষম্য এবং প্রথাগত সামাজিক বাধাগুলো নতুন দলের নীতিমালার কার্যকর বাস্তবায়নে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করতে পারে। দলটিকে এ ক্ষেত্রে দৃঢ় অবস্থান নিতে হবে এবং একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ গঠনের জন্য সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে হবে।
বাংলাদেশের রাজনৈতিক কাঠামোয় মৌলিক পরিবর্তন আনার জন্য সংস্কার কমিশনের সুপারিশগুলো নতুন দলের জন্য একটি গাইডলাইন হিসেবে কাজ করতে পারে। দলে সবার ঐকমত্য থাকতে হবে, যাতে দেশের নির্বাচন-প্রক্রিয়া, প্রশাসনিক সংস্কার, দুর্নীতি প্রতিরোধ এবং আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে দৃশ্যমান পরিবর্তন আনা সম্ভব হয়। বিশেষত, নির্বাচনব্যবস্থা নিয়ে কমিশনের সুপারিশগুলো বাস্তবায়নে নতুন দলটির তৎপরতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
এ ছাড়া, প্রশাসনিক সংস্কারের জন্য যে সুপারিশগুলো প্রদান করা হয়েছে, যেমন- সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের শুদ্ধাচার এবং স্বচ্ছতা বৃদ্ধি, তা বাস্তবায়নের জন্য কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে। দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর আইন প্রণয়ন এবং সরকারের দায়িত্বশীলতা নিশ্চিত করার জন্য দলটি আইনি সংস্কারেও মনোনিবেশ করবে। সুশীল সমাজের প্রতিনিধি ও নাগরিকদের সঙ্গে যোগাযোগ এবং সহযোগিতা বাড়িয়ে, জনগণের মধ্যে সংস্কার প্রক্রিয়া সম্পর্কে সচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে, যাতে তারা এগুলোর গুরুত্ব বুঝতে পারে। সংস্কার কমিশনের সুপারিশগুলো দলের রাজনৈতিক অঙ্গীকারের অংশ হয়ে উঠবে এবং দলটি সেগুলোকে তাদের প্রচারণা ও কর্মসূচিতে অন্তর্ভুক্ত করে জনগণের মধ্যে আস্থা সৃষ্টি করবে। এর মাধ্যমে দলটি বাংলাদেশের রাজনৈতিক সংস্কারে ব্যাপক পরিবর্তন আনতে সক্ষম হবে, যা দেশের উন্নয়ন ও গণতন্ত্রের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
নতুন রাজনৈতিক দলের সফলতা অনেক গুরুত্বপূর্ণ উপাদানের ওপর নির্ভর করে। প্রথমত, দলের নেতৃত্বের সততা, ন্যায্যতা এবং জনগণের সমস্যার প্রতি সমাধানমুখী মনোভাব থাকতে হবে, যা জনগণের আস্থা অর্জনে সাহায্য করবে। দলের কর্মীদের জনগণের সঙ্গে কার্যকর যোগাযোগ এবং তাদের চাহিদা বুঝতে পারা গুরুত্বপূর্ণ এবং এ জন্য একটি শক্তিশালী সংগঠন গঠন প্রয়োজন। সুশাসন, স্বচ্ছতা এবং দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান গ্রহণের মাধ্যমে জনগণের আস্থা অর্জন করা যাবে।
 এ ছাড়া সামাজিক মিডিয়া ও প্রযুক্তির মাধ্যমে তরুণ প্রজন্মকে যুক্ত করা এবং উদ্ভাবনী চিন্তা ও কার্যক্রম বাস্তবায়ন দলটির সফলতার পথে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। দলের এজেন্ডা স্পষ্ট ও বাস্তবসম্মত হলে জনগণ তা গ্রহণ করবে এবং আর্থিক স্বচ্ছতা ও সংগ্রহের মাধ্যমে কার্যক্রম চালানো সম্ভব হবে। বিদ্যমান রাজনৈতিক কাঠামোর প্রতিরোধ মোকাবিলা করে একটি শক্তিশালী নেটওয়ার্ক গড়ে তুলতে দলটি সক্ষম হলে, তা তাদের দীর্ঘমেয়াদি সাফল্য নিশ্চিত করবে।
লেখক: সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী












সর্বশেষ সংবাদ
দেবিদ্বারে বিনামূল্যে ৩শ’ চক্ষু রোগীর চিকিৎসা
বরুড়া গুণীজন সম্মাননা ও মতবিনিময় সভা
বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন নাঙ্গলকোট উপজেলার দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন
তিতাসের নারান্দিয়া ইউনিয়ন বিএনপির কর্মী সম্মেলন উপলক্ষে প্রস্তুতি সভা
কুমিল্লার মাশরা রেজভীয়া হোসাইনীয়া দরবার শরীফে বার্ষিক ওরস মাহফিল অনুষ্ঠিত
আরো খবর ⇒
সর্বাধিক পঠিত
জেল-জরিমানায়ও থামছে না ফসলি জমির মাটি কাটা
৫ হাজার ইয়াবা পাচারকালে একই পরিবারের ৩ জন আটক
১৩ বছর পর কায়কোবাদ দেশে আসছেন আজ
রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ সক্ষমতা প্রয়োগ করে তদন্ত করতে হবে: জুনায়েদ সাকি
ব্রাহ্মণপাড়ায় আলোচিত শফিউল্লাহ হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার ১
Follow Us
সম্পাদক ও প্রকাশক : মোহাম্মদ আবুল কাশেম হৃদয় (আবুল কাশেম হৃদয়)
বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ১২২ অধ্যক্ষ আবদুর রউফ ভবন, কুমিল্লা টাউন হল গেইটের বিপরিতে, কান্দিরপাড়, কুমিল্লা ৩৫০০। বাংলাদেশ।
ফোন +৮৮ ০৮১ ৬৭১১৯, +৮৮০ ১৭১১ ১৫২ ৪৪৩, +৮৮ ০১৭১১ ৯৯৭৯৬৯, +৮৮ ০১৯৭৯ ১৫২৪৪৩, ই মেইল: [email protected]
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত, কুমিল্লার কাগজ ২০০৪ - ২০২২