একবার
সতর্ক করা হয়েছিল, এরপরেও নিজের পরনে থাকা জিনসপ্যান্ট পাল্টাতে চাননি ৫
বারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন দাবাড়ু ম্যাগনাস কার্লসেন। গতকালই দাবার নিয়ন্ত্রক
সংস্থা ফিদে একবার সতর্ক করার পরও পরনের জিনস প্যান্ট তিনি পাল্টাতে চাননি।
ড্রেসকোড নিয়ম ভাঙায় নিউইয়র্কে ওয়ার্ল্ড র্যাপিড চ্যাম্পিয়নশিপে খেলার
জন্য অযোগ্য ঘোষিত হয়েছেন র্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষ দাবাড়ু ম্যাগনাস কার্লসেন।
এই
দ্বন্দ্ব থেকেই সোমবার থেকে শুরু হতে যাওয়া ওয়ার্ল্ড ব্লিটৎজ
চ্যাম্পিয়নশিপ থেকেও নিজেকে সরিয়ে নিয়েছেন দাবায় পাঁচবারের এই বিশ্ব
চ্যাম্পিয়ন।
ফিদে তাদের বিবৃতিতে বলেছে, ‘ম্যাগনাস কার্লসেন জিন্স পরে
পোশাকের নীতিমালা (ড্রেসকোড) ভেঙেছেন, যেটা এই ইভেন্টে দীর্ঘদিন ধরে
আনুষ্ঠানিকভাবে নিষিদ্ধ। প্রধান বিচারক কার্লসেনকে এই নিয়ম ভাঙার বিষয়ে
জানিয়েছেন, ২০০ ডলার জরিমানাও করেছেন এবং পোশাক পাল্টানোর অনুরোধ করেছেন।
দুর্ভাগ্যজনকভাবে কার্লসেন তা প্রত্যাখ্যান করেছেন, যার ফলে নবম রাউন্ডে
(খেলায়) তাকে নেওয়া হয়নি। এই সিদ্ধান্ত পক্ষপাতহীন এবং সবার জন্য সমানভাবে
প্রযোজ্য।’
সপ্তম রাউন্ড শেষে জিনস পরে খেলায় কার্লসেনকে ২০০ ডলার
জরিমানা করা হয়। অষ্টম রাউন্ডে আরিয়ান তারির বিপক্ষে জয়ের পর নবম রাউন্ডের
জন্য তাকে পোশাক পাল্টানোর জন্য বলা হলেও তিনি রাজি হননি। এর ফলে ওই
রাউন্ডের খেলায় তাকে রাখা হয়নি এবং এই কার্লসেনও সরে দাঁড়ান।
এর আগে
রাশিয়ার গ্র্যান্ডমাস্টার ইয়ান নেপোমনিয়াচ্চিও এই নিয়ম লঙ্ঘন করেছিলেন। তবে
তিনি তার পোশাক পরিবর্তন করে ফিরে এসেছিলেন এবং তাই তাকে বাদ দেওয়া হয়নি।
এদিকে,
কার্লসেন অবশ্য ফিদে’র এমন ড্রেস কোড নীতিতে বিরক্ত। তিনি নরওয়েজিয়ান
মিডিয়াকে বলেন, ‘আমি ফিদে-র এই সিদ্ধান্ত নিয়ে বেশ বিরক্ত এবং এটাকে আর
নিতে পারছি না। আমি সকলের কাছে ক্ষমা চাইছি। এটা খুবই হাস্যকর নিয়ম। আমি
কাল আমার জামাকাপড় পরিবর্তন করতে পারতাম কিন্তু তারা শুনতে প্রস্তুত ছিল
না।’
ওয়ার্ল্ড র্যাপিডে পাঁচবার এবং ব্লিটৎজে সাতবারের চ্যাম্পিয়ন
কার্লসেন। ৩৪ বছর বয়সী নরওয়ের এই গ্র্যান্ডমাস্টার দাবার জগতে রীতিমত
কিংবদন্তি। তার এমন ঘটনায় বেশ শোরগোলই পড়েছে ক্রীড়ার দুনিয়াতে।