সারা
বিশ্বের জনস্বাস্থ্যবিজ্ঞানী, প্রাণিচিকিৎসক, পরিবেশবিজ্ঞানীরা এ
সিদ্ধান্তে একমত হয়েছেন যে, মানুষের স্বাস্থ্য, প্রাণীর স্বাস্থ্য ও
স্বাস্থ্যকর পরিবেশ এক সূত্রে গাঁথা। মানুষ নতুন নতুন যেসব সংক্রামক রোগে
আক্রান্ত হচ্ছেন, তার শতকরা ৭০টির বেশি প্রাণী থেকে সংক্রমিত। পরিবেশ
বিপর্যয়ের কারণে মানুষ ও প্রাণী প্রতিনিয়ত অসুস্থ হয়ে পড়ছে। অপরদিকে
মানুষের কারণে প্রাণিজগৎ রোগে আক্রান্ত হচ্ছে, পরিবেশ দূষিত হচ্ছে।
বাংলাদেশে ২০১৭ সালে সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞরা প্রাণিবাহিত সাতটি রোগকে অগ্রাধিকার দেওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন। সেগুলো হচ্ছে-
১.
অ্যানথ্রাক্স। এটা ‘তড়কা’ নামেও পরিচিত। ব্যাকটেরিয়াবাহিত রোগ। দেশের কোনো
কোনো অঞ্চলে শতাধিক মানুষ এ রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা দেখা যায়। সাধারণত,
তৃণভোজী চতুষ্পদ প্রাণী (গরু-ছাগল প্রভৃতি) এতে আক্রান্ত হয়। প্রায়
প্রতিবছর বাংলাদেশে হাজার হাজার প্রাণী অ্যানথ্রাক্স বা তড়কায় আক্রান্ত হয়।
অ্যানথ্রাক্স চিকিৎসার মাধ্যমে সারিয়ে তোলা যায়। এর জন্য কার্যকর টিকা
আছে।
২. ব্রুসেলোসিস। ব্যাকটেরিয়াবাহিত রোগ। একটা গবেষণায় দেখা গেছে যে,
বাংলাদেশে যারা প্রাণীর দুধ দোহন করেন, তাদের মধ্যে ১৮ দশমিক ৬ ভাগ এ রোগে
আক্রান্ত হন। প্রাণীর মধ্যে প্রায় ১০ শতাংশ গবাদি ও ২০ শতাংশ ছাগলের মধ্যে
ব্রুসেলোসিস পাওয়া গেছে।
৩. নিপাহ। ভাইরাসবাহিত রোগ। ২০০১ সাল থেকে
এখানে এ রোগটি শনাক্ত হয়েছে। রোগী অনুপাতে মৃত্যুর হার গড়ে ৭১ শতাংশ, এটা
কোনো কোনো সময় ১০০ শতাংশ হতে পারে। খেজুরের কাঁচা রস খেলে নিপাহ আক্রান্ত
হওয়ার ঝুঁকি আছে। বাদুড় এ রোগের বাহক, কিন্তু বাদুড় এ রোগে আক্রান্ত হয় না।
এ রোগের সরাসরি কোনো ওষুধ নেই, এ পর্যন্ত টিকা আবিষ্কৃত হয়নি।
৪.
রেবিস। এটি জলাতঙ্ক নামেও পরিচিত। ভাইরাসবাহিত রোগ। এ দেশে প্রতিবছর দুই
থেকে আড়াই হাজার মানুষ জলাতঙ্ক রোগে আক্রান্ত হন। প্রাণীদের মধ্যে এটা চলতি
(এন্ডেমিক) রোগ, ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে আছে। প্রাণীদের জন্য কার্যকর টিকা আছে।
জলাতঙ্কে আক্রান্ত প্রাণীর দ্বারা মানুষ দংশিত হলে সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসা
নিলে তা খুবই কার্যকর। চিকিৎসা না নিলে রোগের লক্ষণ দেখা দিলে মৃত্যুর
আশঙ্কা প্রায় শতভাগ।
৫. প্রাণিবাহিত ইনফ্লুয়েঞ্জা। এটি ‘বার্ড ফ্লু’
নামেও পরিচিত। ভাইরাসবাহিত রোগ। বাংলাদেশে মানুষের মধ্যে এ পর্যন্ত এইচ৫এন১
ইনফ্লুয়েঞ্জায় আক্রান্ত হয়েছেন আটজন, মৃত্যু হয়েছে একজনের এবং এইচ৯এন২
ইনফ্লুয়েঞ্জায় আক্রান্ত হয়েছেন তিনজন। মুরগির মধ্যে এ দেশে ২০০৭ সাল থেকে
এটা ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ে এবং লাখ লাখ মুরগি মারা যায় এবং নিধন করা হয়। এ
রোগের সরাসরি ওষুধ নেই।
৬. প্রাণিবাহিত যক্ষ্মা। এটি ব্যাকটেরিয়াবাহিত
রোগ। সারা পৃথিবীর মধ্যে যক্ষ্মারোগে আক্রান্ত সর্বাধিক ১১টি দেশের মধ্যে
বাংলাদেশ একটি। কিন্তু এর মধ্যে কত অংশ মানুষ প্রাণীর যক্ষ্মা থেকে
আক্রান্ত হয়েছেন, তা খুঁজে দেখা হয়নি। সারা পৃথিবীতে প্রতিবছর ১ লাখ ২০
হাজারের বেশি মানুষ প্রাণিবাহিত যক্ষ্মা দ্বারা আক্রান্ত হন এবং ১০ হাজারের
বেশি মানুষ এর মধ্যে মৃত্যুবরণ করেন।
বিশ্বব্যাপী ‘এক স্বাস্থ্য’
কার্যক্রম সমন্বয় করছে চারটি আন্তর্জাতিক সংস্থা: বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা
(ডব্লিউএইচও), জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও), প্রাণিস্বাস্থ্যের
বিশ্ব সংস্থা (ডব্লিউএইচ) এবং জাতিসংঘের পরিবেশ কর্মসূচি (ইউএনইপি)।
বাংলাদেশে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ
মন্ত্রণালয় এবং বন, পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় ‘এক
স্বাস্থ্য’ব্যবস্থা বাস্তবায়ন কাজে নিয়োজিত। এ তিন মন্ত্রণালয়ের কাজকর্মকে
সমন্বয় করার জন্য ২০১৭ সালে রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট
(আইইডিসিআর)-এ ‘ওয়ান হেলথ সেক্রেটারিয়েট’ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
সরকার এবং
এর বাইরে বেসরকারি সংস্থা/ সংগঠন, উন্নয়ন সহযোগী সংস্থাগুলো ‘এক স্বাস্থ্য’
কার্যক্রম বাস্তবায়ন করবার জন্য কী করবে, সেটা নির্ধারণ করার জন্য ২০১২
সালে ‘এক স্বাস্থ্য কর্মকৌশল’ প্রণয়ন করা হয়। এটা পাঁচ বছরমেয়াদি ছিল। ২০১৭
সালে এটাকে নবায়ন করা হয়। পাঁচ বছর পরে ২০২২ সালে এর মেয়াদ শেষ হলে তা
আবার নবায়ন করা হয়েছে, যা এখন শেষ পর্যায়ে।
এ কর্মকৌশলের রূপকল্প হচ্ছে-
মানুষ, প্রাণী, উদ্ভিদ ও বৃহত্তর পরিবেশের একটি সুষম ও সর্বানুকূল
স্বাস্থ্য; যা বাংলাদেশের টেকসই উন্নয়নে অবদান রাখবে। কর্মকৌশলে ১১টি অংশ
রয়েছে। এই ১১টি অংশ বাস্তবায়নে পাঁচটি দীর্ঘমেয়াদি ফলাফল আশা করা যায়।
প্রথম
প্রত্যাশিত দীর্ঘমেয়াদি ফলাফল: বহুপক্ষীয় সম্পৃক্ততা এবং সক্ষমতা বাড়ানোর
মাধ্যমে ‘এক স্বাস্থ্য’ পদ্ধতি প্রাতিষ্ঠানিক হয়েছে। এর ভেতরে প্রথম অংশ
(১) সুশাসন ও সমন্বয়। প্রত্যাশিত মধ্যমেয়াদি ফলাফল: ‘এক স্বাস্থ্যে’র
সুশাসনের জন্য টেকসই প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত এবং ‘এক স্বাস্থ্য’
অনুশীলনের গোষ্ঠী গড়ে উঠেছে। কাজগুলো: (ক) ‘এক স্বাস্থ্যে’র সুশাসন ও
সমন্বয়কে শক্তিশালী করা। (খ) ‘এক স্বাস্থ্যে’র জন্য অর্থায়ন নিশ্চিত করা।
(গ) কার্যকর ‘এক স্বাস্থ্য’ আন্তযোগাযোগ ও অংশীদারি গঠন। (ঘ) আঞ্চলিক ‘এক
স্বাস্থ্য’ সহযোগিতা প্রতিষ্ঠা করা (ঙ) ‘এক স্বাস্থ্য’ পর্যবেক্ষণ ও
মূল্যায়ন ব্যবস্থা গঠন।
(২) জনসম্পৃক্তকরণ ও পক্ষে আনার কাজ। প্রত্যাশিত
মধ্যমেয়াদি ফলাফল: ‘এক স্বাস্থ্য’ অনুশীলনকারী, অংশীজন, গোষ্ঠী ও
নীতিনির্ধারক মানব, প্রাণী, পরিবেশের আন্তসংস্পর্শের ফলে ঘটে যাওয়া
স্বাস্থ্যঝুঁকি ও প্রশমন সম্পর্কে সচেতন হয়েছেন। কাজগুলো: (ক) ‘এক
স্বাস্থ্য’ যোগাযোগের কর্মকৌশলের উন্নয়ন। (খ) ‘এক স্বাস্থ্যে’র পক্ষে আনার
কাজকে শক্তিশালী করা।
(৩) জনবল উন্নয়ন। প্রত্যাশিত মধ্যমেয়াদি ফলাফল:
স্বাস্থ্যঝুঁকি প্রতিরোধ, শনাক্তকরণ ও সাড়াদানে সক্ষম দক্ষ ‘এক স্বাস্থ্য’
জনশক্তি তৈরি হয়েছে এবং বিভিন্ন শাখায় তাদের পদায়ন করা হয়েছে। কাজগুলো: (ক)
‘এক স্বাস্থ্য’ কর্মী পরিকল্পনা তৈরি করা। (খ) ‘এক স্বাস্থ্য’ শিক্ষা
জোরদারকরণ। (গ) চাকরিকালীন প্রশিক্ষণ ও অব্যাহত শিক্ষা জোরদারকরণ। (ঘ) সঠিক
পদে ‘এক স্বাস্থ্য’ জনবল পদায়ন।
(৪) ল্যাবরেটরি সক্ষমতা বাড়ানো।
প্রত্যাশিত মধ্যমেয়াদি ফলাফল: বিশ্বমারি, চলমান রোগসমূহ দ্রুত শনাক্তকরণ,
প্রতিরোধ ও সাড়াদানের জন্য ও ওষুধ প্রতিরোধী জীবাণু নিয়ন্ত্রণের জন্য একটি
শক্তিশালী ল্যাবরেটরি ব্যবস্থা তৈরি হয়েছে। কাজগুলো: (ক) কার্যকর
ল্যাবরেটরি আন্তযোগাযোগ প্রতিষ্ঠা। (খ) ল্যাবরেটরির রোগ নির্ণয় ক্ষমতা
বাড়ানো। (গ) ল্যাবরেটরির নিরাপদতা ও নিরাপত্তা উন্নয়ন। (ঘ) ল্যাবরেটরির
সেবার মান নিশ্চিত করা।
(৫) জ্ঞানের একাধিক শাখাকে ব্যাপ্ত করে গবেষণা।
প্রত্যাশিত মধ্যমেয়াদি ফলাফল: সমন্বয়, সম্পদের সর্বোচ্চ ব্যবহার,
জ্ঞান-দক্ষতা আদান-প্রদানের মাধ্যমে প্রমাণ তৈরির জন্য একটি কার্যকর
বিভিন্ন শাখাব্যাপী ‘এক স্বাস্থ্য’ গবেষণা পদ্ধতি তৈরি হয়েছে। কাজগুলো: (ক)
‘এক স্বাস্থ্য’ বিষয়ে বিভিন্ন শাখাব্যাপী গবেষণা উৎসাহিত করা। (খ) গবেষণার
ফলগুলোকে কাজ ও নীতিতে কাজে লাগানো।
দ্বিতীয় প্রত্যাশিত দীর্ঘমেয়াদি
ফলাফল: কার্যকর ও টেকসই ‘এক স্বাস্থ্যে’র মাধ্যমে বিশ্বমারির অভিঘাত কমানো;
অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত চলমান প্রাণিবাহিত রোগ, কীটপতঙ্গবাহিত রোগ ও অবহেলিত
গ্রীষ্মমণ্ডলীয় রোগ নিয়ন্ত্রণ। এর ভেতরে (৬) বিশ্বমারি প্রতিরোধ ও
প্রস্তুতি। প্রত্যাশিত মধ্যমেয়াদি ফলাফল: বিশ্বমারি প্রতিরোধ, প্রস্তুতি,
সাড়াদান এবং চলমান প্রাণিবাহিত রোগ ও অবহেলিত গ্রীষ্মমণ্ডলীয় রোগ
নিয়ন্ত্রণের জন্য ‘এক স্বাস্থ্য’ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা। কাজগুলো: (ক)
বিশ্বমারির আশঙ্কাগুলো গোড়াতেই প্রতিরোধ (প্রাণী থেকে রোগ ছড়িয়ে পড়া বন্ধ)।
(খ) অগ্রাধিকার তালিকাভুক্ত চলমান প্রাণিবাহিত রোগগুলো প্রতিরোধ,
নিয়ন্ত্রণ বা নির্মূল। (গ) কীটপতঙ্গবাহিত ও গ্রীষ্মমণ্ডলীয় অবহেলিত
গুরুত্বপূর্ণ রোগগুলো নিয়ন্ত্রণ। (ঘ) সম্ভাব্য বিশ্বমারি মোকাবিলায়
প্রস্তুতি বাড়ানো। (ঙ) বিশ্বমারি মোকাবিলার সক্ষমতা জোরদার।
(৭) খাদ্য
নিরাপদতা। প্রত্যাশিত মধ্যমেয়াদি ফলাফল: ‘এক স্বাস্থ্য’ সমন্বয়ের মাধ্যমে
খাদ্য নিরাপদতার ঝুঁকি কমানো। কাজগুলো: (ক) খাদ্য নিরাপদতার জন্য সুশাসনকে
প্রাতিষ্ঠানিকীকরণ ও সমন্বিত করা। (খ) খাদ্য নিরাপদতার জন্য খাদ্য উৎপাদনের
ভালো অনুশীলন নিশ্চিতকরণ। (গ) খাদ্য নিরাপদতার জন্য (খাদ্যশিল্পে) ভালো
উৎপাদন অনুশীলন নিশ্চিতকরণ। (ঘ) খাতগুলোজুড়ে একটি সমন্বিত খাদ্য নিরাপদতা
ল্যাবরেটরি বিশ্লেষণের আন্তযোগাযোগ প্রতিষ্ঠা। (ঙ) খাদ্য নিরাপদতাজনিত
জরুরি পরিস্থিতিতে দ্রুত সাড়া দেওয়া।
তিনটি পথে এ প্রত্যাশিত
পরিবর্তনকে বাস্তবায়িত করতে হবে। এক. নীতি, আইন, পক্ষে আনার কাজ ও অর্থায়ন।
এটি জাতীয় বহু খাতভিত্তিক ‘এক স্বাস্থ্য’ সমন্বয় ব্যবস্থার সব দিককে
অন্তর্ভুক্ত করে। পক্ষে আনার জন্য উচ্চ স্তরের কাজ, অগ্রাধিকার, নিয়ন্ত্রণ
কাঠামো সক্ষম করা, নিবেদিত অর্থায়ন ও বিনিয়োগের মাধ্যমে আন্ত খাত প্রশাসনের
প্রাতিষ্ঠানিকীকরণ, নীতি উন্নয়ন, রাজনৈতিক সদিচ্ছার মাধ্যমে এটি প্রকাশিত
হয়। এর মধ্যে রয়েছে অংশীজনদের গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে ‘এক স্বাস্থ্য’ পদ্ধতির
সচেতনতা বাড়ানো।
দুই. সাংগঠনিক উন্নয়ন, বাস্তবায়ন ও সেক্টরগুলোর
সমমুখীকরণ। এর মধ্যে রয়েছে জাতীয় পর্যায়ে বহু খাতীয় ও বহুবিষয়ী সক্ষমতা গড়ে
তোলা, জনসম্পৃক্ততা ও কাজের জন্য মানুষকে সমাবিষ্ট করা, সেক্টরগুলোকে
সমতাভিত্তিক সমমুখী করাসহ ‘এক স্বাস্থ্য’কে কার্যকর করার সব দিক।
তিন.
তথ্য, প্রমাণ ও জ্ঞান। এর মধ্যে রয়েছে বৈজ্ঞানিক প্রমাণের ভিত্তি ও
তথ্যব্যবস্থাকে শক্তিশালী করা; জ্ঞানকে রূপান্তরিত করা- প্রমাণের জন্য
তথ্যে, কারিগরি অস্ত্রে, কর্মবিধিতে, নির্দেশিকায়, তথ্যে ও রোগ নজরদারিতে;
এবং খাতসমূহ, অংশীজনদের গোষ্ঠী ও দেশগুলোর মধ্যে তথ্য ও প্রমাণ বিনিময়।
‘এক
স্বাস্থ্য’ কার্যক্রম বাংলাদেশ বলিষ্ঠ পদক্ষেপে এগিয়ে যাচ্ছে। একটি সুস্থ
মানবসমাজ, প্রাণিজগৎ ও পরিবেশ গড়ে তোলাই এর লক্ষ্য। শুধু এ-সংশ্লিষ্ট
পেশাজীবীই নয়, স্বাস্থ্যপ্রত্যাশী মানুষদেরও এ বিষয়ে সক্রিয়ভাবে এগিয়ে আসা
প্রয়োজন।
লেখক: খণ্ডকালীন শিক্ষক, জনস্বাস্থ্য ও তথ্য বিভাগ জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়,
সাবেক প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা, আইইডিসিআর