বিএনপির
ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক প্রতিমন্ত্রি কাজী শাহ মোফাজ্জল হোসেন কায়কোবাদ
বলেছেন, ‘সংস্কার তো করবে গণতান্ত্রিক সরকার, জনগন যাদেরকে ভোট দিয়ে
নির্বাচিত করবে, তারাই সংস্কার করবে।’ তিনি শহীদদের রক্তের সঙ্গে বেইমানী
করার বিরুদ্ধে সতর্ক করে বলেন, সকল প্রকার অন্যায়, অত্যাচার, অবিচার,
জুলুম, ঘুম, খুন, চাদাবাজি, দখলবাজি থেকে জনগণকে রক্ষা করতে হবে।’
কায়কোবাদ
১৩ বছর পর সৌদি আবর থেকে একটি ফ্লাইটে শনিবার দুপুরে ঢাকার হযরত শাহজালাল
আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেন। পরে নেতা কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে তিনি
বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের মাজারে গিয়ে শ্রদ্ধা
নিবেদন করেন। তাকে স্বাগত জানাতে মুরাদনগর থেকে চারশ বাসসহ সহস্্রাধিক
মাইক্রোবাস যোগে নেতা কর্মীরা বিমান বন্দরে যান। ওই সময় বিমানবন্দন এলাকা
জনসমুদ্রে পরিনত হয়।
এ সময় তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ১৯৯৬ সালে ইসলামী
দলগুলোর ভুল সিদ্ধান্তের কারণে আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় এসেছে। যারা আমরা একত্রে
থেকে আন্দোলন করেছিলাম, ব্যক্তি স্বাথের্র জন্য যদি আমরা বিভক্তি হই, তাহলে
১৯৯৬ সালের মতো ঘটনা ঘটবে। ২০০১ সালের সরকারের পারবর্তী যে ঘটনা ঘটেছে, সে
ঘটনা আবারো ঘটতে পারে, যদি আমরা একত্রে না থাকতে পারি। যেমনি ভাবে লগি
বৈঠার ঘটনা ঘটেছিল। তিনি বলেন, বিগত জালিম সরকারের সময়ে যে ভাবে ঘুম, খুন,
চাদাবাজি, দখলবাজি এবং নির্যাতন করা হয়েছে। এর যদি পুনরাবৃত্তি হয়, তাহলে
আমাদেরকে আবার সেই আগের রূপ ভোগ করতে হবে।
তিনি আরো বলেন, বিগত সরকার
সবচেয়ে বেশী জুলুম করেছেন আমার নেত্রী সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা
জিয়ার উপর। গ্রেফতার করা হলে অনেক নেতাই জামিন পেয়েছেন, কিন্তু খালেদা
জিয়াকে জামিন দেওয়া হয়নি। বর্তমান অন্তর্বর্তী কালীন সরকার গঠন হওয়ার পর
খালেদা জিয়া মিথ্যা মামলা থেকে অব্যাহতি পেয়েছেন। বেগম খালেদা জিয়া থেকে
বেশী কষ্ট কেউ করে নাই। তিনি বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের জন্য
দেশবাসীর দোয়া কামনা করেন।
তিনি দলীয় নেতা-কর্মীদের সাবেক রাষ্ট্রপতি
বহু দলীয় গণতন্ত্রের প্রবক্তা জিয়াউর রহমানের আদর্শ, সততা, দেশপ্রেম, দেশের
প্রতি ভালবাসাকে অনুসরণের আহবান জানিয়ে বলেন, যদি আল্লাহ আমাদের ক্ষমতায়
নেয়, তাহলে একটি সুন্দর শাসন ব্যবস্থা কায়েম করতে পারবো ইনশাল্লাহ।