বাংলাদেশের
ওপর শান্তি কামনা করে ফিলিস্তিনের মাসজিদুল আকসার খতিব শায়েখ আলী ওমর
ইয়াকুব আব্বাসী বলেছেন,ফিলিস্তিনে বছরের পর বছর মুলমানরা জুলুম-নির্যাতনের
শিকার হচ্ছেন, মুসলমানদের পাখির মত গুলি করে মারা হচ্ছে, আমি আমার দেশ
ফিলিস্তিনবাসীর জন্য চাই, আল্লাহ তায়ালা যেন ফিলিস্তিনের মুসলমানদের হেফাজত
করেন। তিনি আরও বলেন, আমি প্রায় ৪০ বছর ধরে মুসলমানদের প্রথম কিবলা
মাসজিদুল আকসার খতিবের দায়িত্ব পালন করছি, আমি আল্লাহর রাসুল (সা.) এর
সর্বকনিষ্ঠ চাচা হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাসের বংশধর।
মঙ্গলবার (৩১
ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৮টার দিকে দেবিদ্বার রেয়াজ উদ্দিন পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়
মাঠে আয়োজিত ইসলামী মহাসম্মেলনে প্রধান মেহমানের বক্তব্যে এসব কথা বলেছেন
তিনি।
এর আগে ১৭৫ জন হাফেজকে পাগড়ি প্রদান ও চারজন আন্তর্জাতিক
ক্বারীকে ক্রেস্ট, পাগড়ি ও সম্মাননা দেওয়া হয়। হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের
মহাসচিব আল্লামা শায়েখ সাজিদুর রহমানের সভাপতিত্বে ও বাবুস সালাম মাদরাসার
প্রতিষ্ঠাতা মাও. মো. আনিছুর রহমানের সঞ্চালনায় শায়েখ আলী ওমর ইয়াকুব
আব্বাসী আরও বলেন, বাংলাদেশের অনেক আলেম ওলামাকে বছরের পর বছর জেলে রেখে
নির্যাতন ও জুলুম করা হয়েছে। মিথ্যা অপবাদে ফাঁসি দেওয়া হয়েছে। আল্লাহ
তায়ালা সেই জুলুম-নির্যাতন থেকে বাংলাদেশকে মুক্তকরেছেন। আমিবাংলাদেশের ওপর
আল্লাহ তায়ালার শান্তি বর্ষণের দোয়া করছি। বক্তব্যে শুরুতে তিনি আল্লাহর
প্রশংসা করে বলেছেন, আল্লাহ তায়ালা এই পৃথিবীতে যা কিছু সৃষ্টি করেছেন সবই
মানুষের কল্যাণের জন্য সৃষ্টি করেছেন, আমি স্বাক্ষ্য দিচ্ছি, আল্লাহ ছাড়া
কোন ইলাহা নেই, পালনকর্তা নেই। তিনি সিরিয়া প্রসঙ্গে বলেন, প্রায় ৫০ বছরের
ওপর সিরিয়াবাসীর ওপর জুলুম-নির্যাতন চলে আসছিল, আল্লাহর রহমতে সিরিয়াতে
জুলুম দূর হয়েছে। সিরিয়াবাসীর ওপর আল্লাহ তায়ালার রহমত বর্ষিত হয়েছে।
ইনশাল্লাহ ফিলিস্তিনও একদিন মুক্তি লাভ করবে। মহাসম্মেলনে প্রধান অতিথির
বক্তব্য রাখেন, চট্টগ্রাম হাটহাজারী মাদরাসার মহাপরিচালক আল্লামা খলিল
আহমাদ কোরাইশী কাসেমী। বিশেষ মেহমানের বক্তব্য রাখেন, সৌদি আরবের শায়েখ ওমর
বিন আব্দুল লতিফ, ভারতের দারুল উলুম দেওবন্দ এর প্রধান মুফতি হাবিবুর
রহমান খয়রাবাদীসহ আরও অনেক আলেম ওলামাগণ।