পারফরম্যান্স নিয়ে ক্রিকেটারদের কিছু না বলা, ফেইসবুকে ক্রিকেটারদের সক্রিয়তা কমানোসহ কিছু উদ্যোগের কথা জানিয়ে বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদ বললেন, মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে বড় পরিকল্পনাগুলো অন্তত শুরু করতে চান তিনি।
‘চার মাসে ম্যাজিক কিছু করা যাবে না’
নাটকীয় পালাবদলের পথ ধরে ফারুক আহমেদ বিসিবি সভাপতির দায়িত্ব নেওয়ার পর পেরিয়েছে চার মাস। পঞ্জিকার পাতায় নতুন বছরও শুরু হয়েছে। এই সময়ে বিসিবিতে ইতিবাচকতার ছোঁয়া যেমন কিছু লেগেছে, আছে কিছু প্রশ্ন আর সংশয়ও। তবে বিসিবি সভাপতি বললেন, এত অল্প সময়ে জাদুকরি কিছু করা যাবে না। মেয়াদ শেষের আগে বড় কিছু পরিকল্পনা বাস্তবায়নের পথে হাঁটা শুরুর প্রতিশ্রুতি দিলেন তিনি।
ইংরেজি নতুন বছরের প্রথম দিনে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে বিসিবি সভাপতি ফিরে তাকালেন গত বছরের বাংলাদেশ দলের পারফরম্যান্সে। সেখানে ভালো আর মন্দের মিশেল দেখতে পাচ্ছেন তিনি।
“পরিসংখ্যান যদি দেখেন, এটা মিশ্র ছিল বছরটি। আমরা পাকিস্তানে দুটি টেস্টে জিতেছি, ভারতে দুটি হেরেছি। ওয়েস্ট ইন্ডিজে ১-১ হয়েছে টেস্ট সিরিজ, ঢাকায় (দেশের) দুটি হোম সিরিজ হেরেছি। টি-টোয়েন্টি ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারিয়েছি ওয়েস্ট ইন্ডিজে গিয়ে। সব মিলিয়ে মিশ্র ছিল।”
ফারুক আহমেদ সভাপতির দায়িত্ব নেওয়ার কিছুদিন পর জাতীয় দলের প্রধান কোচের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে চান্দিকা হাথুরুসিংহেকে। নতুন কোচ হিসেবে ফিল সিমন্সকে নিয়োগ দেওয়ার কথাও জানানো হয় সেদিনই।
সিমন্সের কোচিংয়ে দেশের মাঠে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে হতাশাজনক হার এলেও ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে টেস্ট সিরিজ ও টি-টোয়েন্টি সিরিজ ছিল সাফল্যময়।
ফারুকের দাবি, কিছু প্রক্রিয়া তারা শুরু করেছেন। কয়েকটি নমুনাও তিনি তুলে ধরলেন। ফলাফল পাওয়ার জন্য ধৈর্য ধরতে বললেন সাবেক এই অধিনায়ক।
“আমরা যা-ই করি, ফলাফল ভিত্তিক অবশ্যইৃ তবে ফল পেতে চাইলে কিছু প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যাওয়া দরকার। প্রক্রিয়া ঠিক করতে পারলে যৌক্তিক ক্রমেই ফল আসবে। এজন্য ধৈর্য ধরতে হবে। আমার মাত্র চার মাস.. চার মাসে ম্যাজিক কিছু করা যাবে না।”
“তবে কিছু জিনিসৃ যেমন ক্রিকেটাররা যেমনই খেলুক, বোর্ড থেকে আমি সবাইকে বলেছি, এটা নিয়ে কোনো কথা বলা যাবে না কারও। আবার ক্রিকেটাররা যখন খুব ভালো খেলে, আগে দেখতাম তারা ফেইসবুকে স্ট্যাটাস দিত। এগুলা একটু কমেছে। সংগঠনের ভেতরে এই সমন্বয়টা খুব প্রয়োজনৃ কারণ, আমরা সবাই একসঙ্গে কাজ করি।”
এই প্রক্রিয়ায় ক্রীড়া সাংবাদিকদের দায়িত্বের কথাও মনে করিয়ে দিলেন বিসিবি সভাপতি।
“এমনকি আপনারা, ক্রীড়া সাংবাদিকৃ সমালোচনা তো হবেই, করবেন। কিন্তু আমার কথা হলো, যদি এটা গঠনমূলক হয়, তাহলে আমাদের সংশোধন করতে সুবিধা হয়। কিন্তু (সমালোচনা) স্রেফ করার জন্য করলে আমরা এগোতে পারব না।”
বিসিবির পরবর্তী নির্বাচনের আগে যে কয়েক মাস সময় আছে, সেখানে বড় পরিকল্পনাগুলি নিয়ে কাজ করার কথা জানালেন ফারুক।
“আমার যে যে পরিকলপনা মাথায় আছে, সবই যেন দেখতে পাই, মেয়াদ যে কদিন আছেৃ সম্ভবত আর সাত-আট মাস আসে। বড় পরিকল্পনাগুলো অন্তত শুরু করতে চাই।”