৪-০-১৯-৭।
নির্ধিদ্বায় বলা যায়, যে কোনো বোলারেরই স্বপ্নের মতো স্পেল। বিপিএলের
ম্যাচে আজ তেমন স্বপ্নই ছুঁলেন টাইগার পেসার তাসকিন আহমেদ। দুর্বার
রাজশাহীর তাসকিন আক্ষরিক অর্থেই হয়ে উঠেছিলেন দুর্বার। ১৯ রান খরচায় একে
একে শিকার করলেন ৭ উইকেট। তাতে বিপিএলের ইতিহাসে নতুন করে লেখা হলো এই
পেসারের নাম।
বিপিএলের ইতিহাসে প্রথম বোলার হিসেবে ৭ উইকেট নিয়ে সেরা
বোলিং ফিগারের নজির গড়েন তাসকিন। এতদিন বিপিএলের সেরা বোলিং ফিগারের মালিক
ছিলেন পাকিস্তানের পেসার মোহাম্মদ আমির। ২০২০ সালে রাজশাহী রয়্যালসের
বিপক্ষে ৪ ওভারে ১৭ রানে ৬ উইকেট নিয়েছিলেন খুলনা টাইগার্সের আমির।
স্বীকৃত
টি-টোয়েন্টি ইতিহাসে তৃতীয় বোলার হিসেবে ইনিংসে ৭ উইকেট নিলেন তাসকিন। তার
আগে ইনিংসে ৭ উইকেট করে নিয়েছেন মালয়েশিয়ার পেসার সিয়াজরুল ইদরুস এবং
নেদারল্যাসের অফ-স্পিনার কলিন অ্যাকারম্যান।
টি-টোয়েন্টিতে ইনিংসে
প্রথম বোলার হিসেবে ৭ উইকেট নেওয়ার রেকর্ড গড়েছিলেন অ্যাকারম্যান।
পরবর্তীতে অ্যাকারম্যানের রেকর্ড ভাঙেন ইদরুস। ২০১৯ সালে ইংল্যান্ডের
ভাইটালিটি ব্ল্যাস্ট টি-টোয়েন্টিতে বার্মিংহাম বিয়ার্সের বিপক্ষে
লিস্টারশায়ারের হয়ে ৪ ওভারে ১৮ রানে ৭ উইকেট নিয়েছিলেন অ্যাকারম্যান। ২০২৩
সালে অ্যাকারম্যানের রেকর্ড ভাঙেন ইদরুস। চীনের বিপক্ষে ৪ ওভারে ৮ রানে ৭
উইকেট নিয়ে সেরা বোলিং ফিগারের মালিক হন ইদরুস। যা আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে
এখনও বিশ্ব রেকর্ড।
ইদরুস ও অ্যাকারম্যানের রেকর্ডের পাশে নাম লেখানোর
পথে ঢাকা ক্যাপিটলাসের বিপক্ষে প্রথম ৩ ওভারে ১৭ রানে ৪ উইকেট নেন তাসকিন।
ইনিংসের শেষ ওভারে বল করতে এসে মাত্র ২ রান দিয়ে ৩ উইকেট তুলে নেন তাসকিন।
১৭৩ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারে দ্বিতীয়বারের মত ইনিংসে ৫ উইকেট নিয়ে
ক্যারিয়ার সেরা বোলিং করেন তিনি। আগেরটি ২০১৬ সালের বিপিএলে রাজশাহী কিংসের
বিপক্ষে ৪ ওভারে ৩১ রানে ৫ উইকেট নিয়েছিলেন চট্টগ্রাম ভাইকিংসের হয়ে মাঠে
নামা তাসকিন।
বিপিএলের ইতিহাসে রেকর্ড গড়ে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারের
তালিকায় দ্বিতীয়স্থানে উঠলেন তাসকিন। ৮০ ম্যাচে ২০.৩৬ গড়ে ১১২ উইকেট আছে
তার। বিপিএলের ইতিহাসে সর্বোচ্চ উইকেটের মালিক সাকিব আল হাসান। ১১৩ ম্যাচে
১৪৯ উইকেট শিকার করেছেন সাকিব। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে ৭৩ ম্যাচে ৮২
উইকেট আছে তাসকিনের। সেখানে তার সেরা বোলিং ফিগার ১৬ রানে ৪ উইকেট