রোববার ৫ জানুয়ারি ২০২৫
২২ পৌষ ১৪৩১
যে কাজের বিনিময়ে মেলে জান্নাত
প্রকাশ: শুক্রবার, ৩ জানুয়ারি, ২০২৫, ১২:২৭ এএম |


মানবতার মুক্তির দূত হজরত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হাদিসে ইরশাদ করেন, ‘যে ব্যক্তি আমাকে তার দুই চোয়ালের মধ্যবর্তী জিনিস (জিহ্বা) এবং দুই উরুর মধ্যবর্তী জিনিসের (লজ্জাস্থান) হেফাজতের নিশ্চয়তা দিবে। আমি তার জন্য, জান্নাতের নিশ্চয়তা দেব’।
হাদিসে বর্ণিত এই তাৎপর্যপূর্ণ বক্তব্য বর্তমান প্রেক্ষাপটে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ বর্তমান সমাজের বাস্তবতা হচ্ছে, দুনিয়ার যত গোনাহ, মারামারি, কাটাকাটি, দাঙ্গা-হাঙ্গামা, জেল-জুলুম, খুন-খারাবি, নারী-নির্যাতন, বেহায়াপনা, অশ্লীলতা থেকে শুরু করে যত ধরনের অপরাধ সংঘটিত হয়- তার প্রধান কারণ এ দু’টিই জিনিস।
যেমন, জিহ্বার অসংলগ্নতা- যাতে খারাপ ভাষা, যেমন সম্পৃক্ত, তেমনি পেটের চাহিদা পূরণ করার জন্য কৃত অপরাধ কিংবা কুপ্রবৃক্তি। মানুষ যদি নামাজ-রোজা ইত্যাদি ব্যক্তিগত আমলে ত্রুটি করে তবে তার কুফল ও পরিণতি ওই ব্যক্তি পর্যন্ত সীমাবদ্ধ থাকে। অথচ জিহ্বা ও লজ্জাস্থানের অসংলগ্নতার কারণে সমাজের সর্বত্র এর কুপ্রভাব বিস্তার লাভ করে থাকে। এমনকি অবশেষে তা পুরো সমাজকে ধ্বংসের অতলে ডুবিয়ে ছাড়ে।
সুতরাং ইসলাম উপযুক্ত কারণেই এ দু’টি অসংলগ্নতা দূর করার শিক্ষা প্রদানের পাশাপাশি পূর্ণাঙ্গ আহকাম দান করেছে। জৈবিক চাহিদা হচ্ছে, মানুষের সহজাত, যার ভারসাম্যপূর্ণ অবস্থায় কাঙ্ক্ষিত। পবিত্রতার সঙ্গে তার প্রয়োগ করতে পারলে তা জীবনে প্রশান্তি আনয়ন করে। এটা মানব সৃষ্টির ধারা টিকিয়ে রাখার উপায়। এর মাধ্যমে সম্পর্ক ও ভালোবাসা মজবুত বন্ধনে স্থাপিত হয়। কিন্তু এ চাহিদা যদি সীমালঙ্ঘন করে আর পশুত্বসূলভ পথ অবলম্বন করে, তাহলে পুরো জীবন ধারাকে পারস্পারিক সম্পর্ক ও বন্ধন কেবলই কৃত্রিমতার রূপ প্ররিগ্রহ করে। চারিত্রিক ও শারীরিক অসুখের ব্যাপকতা দেখা দেয়। পারস্পরিক হিংসা ও বিদ্বেষের দহন বাড়তে থাকে। ঐক্যবদ্ধ কর্মপন্থায় ব্যাঘাত ঘটে।
যে সব কাজের মাধ্যমে মানুষের চিন্তাধারা বিকৃত হতে পারে, যার দ্বারা তাদের কুপ্রবৃত্তি লাগামহীন হতে পারে। যার কারণে, জৈবিক উন্মাদনা বাড়তে পারে এবং যা সমাজের মধ্যে কোনো না কোনোভাবে নগ্নতা ও অশ্লীলতা ছড়ানোর জন্য দায়ী- ইসলাম এসব কিছুর পথ গোড়াতেই বন্ধ করে দিয়েছে।
এ লক্ষ্য অর্জনের জন্যই পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে, ‘হে নবী! আপনি মুসলমানদের বলে দিন, তারা যেন তাদের দৃষ্টি অবনত রাখে এবং নিজেদের লজ্জাস্থানের হেফাজত করে। এটা তাদের জন্য পবিত্রতার মাধ্যম। নিশ্চয় আল্লাহ সব কিছু জানেন যা কতিপয় লোক করে থাকে। ’ -সূরা আন নূর : ৩০
কোরআনে কারিমে বারবার সমগ্র সমাজ কাঠামোতে মানুষের কামনা-বাসনা, পূতঃপবিত্র রাখার জন্য প্রচারমাধ্যমকে সতর্ক করা হয়েছে। এ জাতীয় অসংখ্য নির্দেশনা দ্বারা মানুষের কান, চোখ অন্তর এবং তার সমস্ত ধ্যান- ধারণার ওপর আল্লাহর ভয় ও পরকাল ভাবনার ব্যাপারটি প্রয়োগ করা হয়েছে। এত কিছুর পরও যদি কোনো সুযোগ তালাশের মাধ্যমে অসদুপায় অবলম্বন করে- তবে তার জন্য রয়েছে ভয়াবহ ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি।
পবিত্র কোরআনের নির্দেশনা ও প্রিয়নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের শিক্ষার প্রভাব এমন ছিল যে, নবী আমলের লোকেরা নিষ্কলুষ চরিত্র, সতীত্ব ও পবিত্রতা এবং জৈবিক চাহিদা নিয়ন্ত্রণ করার ব্যাপারে সমগ্র পৃথিবীতে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছিল। সত্যিকারের মুসলমানদের এমন চরিত্রের হওয়া দরকার।
আমাদের সামনে বেহায়াপনা ও চারিত্রিক স্খলনের যে সব কাহিনী দৃশ্যমান- তা খুবই পীড়াদায়ক। বর্তমানে অন্য সব অসৎ ক্রিয়া-কর্মের সঙ্গে এ বিষয়টি সমাজের প্রকৃতিকে অস্বাভাবিক ক্ষিপ্রতায় বদলে দিচ্ছে। যা কোনোভাবেই কাম্য নয়। তাই বলা চলে, বিপথগামিতার এই জোয়ার রুখে দাঁড়ানোর সময় এখনই।












সর্বশেষ সংবাদ
কেন ভাঙলো কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির কমিটি ?
কুমিল্লায় শীতে কাবু শিশুরা
অবিলম্বে নির্বাচনী রোডম্যাপ ঘোষণা ও কুমিল্লা-৯ নির্বাচনী এলাকা পুনর্বহালের দাবীতে জনসভা আজ
এড. নাজমুস সা’দাত বাংলাদেশ জাতীয় সমবায় ইউনিয়নের সিনিয়র সহ-সভাপতি নির্বাচিত
কুমিল্লা জেলা ব্রেড, বিস্কুট প্রস্তুতকারক মালিক সমিতির ত্রি-বার্ষিক নির্বাচন অনুষ্ঠিত
আরো খবর ⇒
সর্বাধিক পঠিত
হঠাৎ আসিফ আকবরের বাসায় কুমিল্লার সাবেক মেয়র সাক্কু
কেন ভাঙলো কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির কমিটি ?
শহরে আবারো কিশোর গ্যাং গ্রুপের অস্ত্রসহ মহড়া
কুমিল্লা মহানগর ১১ নং ওয়ার্ড বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি গঠন
কুমিল্লায় মাদক পরিবহনে বাড়ছে নারীদের সম্পৃক্ততা
Follow Us
সম্পাদক ও প্রকাশক : মোহাম্মদ আবুল কাশেম হৃদয় (আবুল কাশেম হৃদয়)
বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ১২২ অধ্যক্ষ আবদুর রউফ ভবন, কুমিল্লা টাউন হল গেইটের বিপরিতে, কান্দিরপাড়, কুমিল্লা ৩৫০০। বাংলাদেশ।
ফোন +৮৮ ০৮১ ৬৭১১৯, +৮৮০ ১৭১১ ১৫২ ৪৪৩, +৮৮ ০১৭১১ ৯৯৭৯৬৯, +৮৮ ০১৯৭৯ ১৫২৪৪৩, ই মেইল: [email protected]
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত, কুমিল্লার কাগজ ২০০৪ - ২০২২