নিজস্ব
প্রতিবেদক: কুমিল্লার মনোহরগঞ্জে যুবদলের কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে বিএনপির
দুই গ্রুপের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় গ্রুপের
১০ জন আহত হয়েছে। এদিকে সংঘর্ষ চলাকালে অবরুদ্ধ হয়ে পড়েন জেলা যুবদলের
সাংগঠনিক টিমের নেতারা। বৃহস্পতিবার দুপুরে জেলার মনোহরগঞ্জ উপজেলা সদরে এ
ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, মনোহরগঞ্জ উপজেলা যুবদলের কমিটি গঠনকে
কেন্দ্র করে জেলা যুবদলের একটি সাংগঠনিক টিমের সফর নিয়ে স্থানীয় বিএনপির
বিদ্যমান সাবেক এমপি কর্নেল (অব.) আনোয়ার উল আজীম ও কেন্দ্রীয় বিএনপির
শিল্প বিষয়ক সম্পাদক আবুল কালামের সমর্থিতদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ও
সংঘর্ষ সৃষ্টি হয়। এ সময় পুরো উপজেলা সদরে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এতে উভয়
গ্রুপের ১০ জন আহত হয়। এক পর্যায়ে সাংগঠনিক সভার জন্য মনোহরগঞ্জ কলেজ মাঠে
তৈরিকৃত মঞ্চ ও অনুষ্ঠানস্থল ছেড়ে কালাম গ্রুপ সমর্থিতরা চলে যান। পরে
সেনাবাহিনীসহ আইন শৃঙ্খলা বাহিনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ আনেন।
এদিকে জেলা
টিমের সদস্যরা আজিম সমর্থিতদের কার্য্যালয়ে তাদের সাথে ঘন্টা ব্যাপী বৈঠক
করেন বলে জানান উপজেলা যুবদলের সাবেক নেতা জাফর ইকবাল বাচ্চু ও মাসুদুল আলম
বাচ্চু।
জেলা সাংগঠনিক টিমের প্রধান এডভোকেট মাসুদ হাসান ধাওয়া পাল্টা
ধাওয়া কথা স্বীকার করে জানান, দলীয় পদ পদবী নিয়ে স্থানীয় মতবিরোধ আছে। তাই
তাদের কথা শুনেছি এবং তা সমাধানের চেষ্টা চলছে।
এদিকে কালাম গ্রুপের
নেতা সরোয়ার জাহান দোলন জানান, যুবদলের বাদপড়া কিছু লোক বহিরাগতদের নিয়ে
ঝামেলা করতে চেয়েছে। পরে জেলা কমিটির হস্তক্ষেপে তা সমাধান হয়।
এদিকে
মনোহরগঞ্জে যুবদলের কমিটি নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষের সময় অভিনব ও ‘ভয়ঙ্কর’
অস্ত্রের প্রদর্শনী দেখা গেছে। রিকশা-সাইকেলের ধারালো চেইন-হুইল কেটে অভিনব
কায়দায় বানানো কুড়াল আকৃতির এসব অস্ত্র দিয়ে ধাওয়া ও মহড়ায় আতঙ্ক দেখা
দিয়েছে স্থানীয়দের মাঝে।
মনোহরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)
বিপুল চন্দ্র দে বলেছেন, সংঘর্ষের সময়ে দেখা যায়নি কারো হাতে কোন অস্ত্র।
তবে অনেকেই লোহার তৈরি দেশীয় অস্ত্র ব্যবহার করেছেন বলে তিনি শুনেছেন। এ
ঘটনায় রাত পর্যন্ত থানায় কোনো মামলা হয়নি।