কুমিল্লাসহ
দেশের বিভিন্ন স্থানে শনিবার রোদের দেখা পাওয়া গেছে। সকাল থেকে রোদের দেখা
পাওয়ায় জনজীবনে কিছুটা হলেও স্বস্তি নেমে আসে। শীতের কষ্টে থাকা মানুষের
মধ্যে কিছুটা হলেও উষ্ণতা নিয়ে আসে ওই রোদ। যদিও বিকেল গড়াতেই কুয়াশার দাপট
আগের চেয়ে বেড়ে যায়।
আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, আগামী দুই-তিন দিনের
তাপমাত্রা কিছুটা বাড়তির দিকে থাকবে। দিনের বেলায় রোদ উঠবে, শীতও কিছুটা
কমবে। তবে সকাল ও রাতে শীতের কষ্ট রয়ে যাবে। সেই সঙ্গে কুয়াশার দাপটও
থাকবে।
দেশের বেশির ভাগ এলাকা থেকে আপাতত শৈত্যপ্রবাহ বিদায় নিয়েছে
জানিয়ে আবহাওয়া দপ্তর বলেছে, ৮ জানুয়ারি থেকে দেশের অনেক স্থানে আবারও
শৈত্যপ্রবাহ শুরু হতে পারে। মাসের বাকি সময়জুড়ে থেমে থেমে শৈত্যপ্রবাহ
থাকতে পারে। আর মাঝামাঝি সময়ে দেশের উত্তরাঞ্চল এবং দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে
তীব্র শৈত্যপ্রবাহ শুরু হতে পারে। অন্য বছরগুলোর তুলনায় এবার কুয়াশা বেশি
থাকায় শীতের কষ্ট বেশি হতে পারে।
এদিকে শনিবার সকাল থেকে রাজধানীর আকাশে
সূর্যের দেখা পাওয়া গেছে। ফলে সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত শীতের অনুভূতি
কিছুটা কমেছে। তবে ভোরে শুক্রবারের চেয়ে তাপমাত্রা বেশি কমেছে। শুক্রবার
ভোর ছয়টায় দিনের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ১৩ দশমিক ৩ ডিগ্রি
সেলসিয়াস। শনিবার ভোরে তা আরও কমে ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমে আসে। যদিও সকাল
গড়াতে সেই তাপমাত্রা বাড়ে। রাজধানীতে আজ দিনের তাপমাত্র সর্বোচ্চ ১৭
দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে ওঠে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ হাফিজুর
রহমান বলেন, জানুয়ারি মাসের পুরো সময় থেমে থেমে শৈত্যপ্রবাহ চলবে। তবে
আগামী কয়েক দিন দিনে রোদ বেশি দেখা যাবে। এ কারণে শীতের দাপট কিছুটা হলেও
কমতে পারে। দুই-তিন দিনের মধ্যে আবারও শৈত্যপ্রবাহ শুরু হতে পারে।
আবহাওয়া
অধিদপ্তরের পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী, শনিবার দেশের সর্ব-উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ের
তেঁতুলিয়ায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৯ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমে আসে। এর
বাইরে দেশের সব এলাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি ছিল।
কোথাও কোথাও সিলেট, ময়মনসিংহ ও চট্টগ্রামের বেশির ভাগ জেলার সর্বনিম্ন
তাপমাত্রা ১৪ থেকে ১৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে ছিল; অর্থাৎ এসব এলাকায়
শীতের অনুভূতি কিছুটা হলেও কমেছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাসে বলা
হয়েছে, রোববার মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত দেশের বেশির ভাগ এলাকায় মাঝারি
থেকে ঘন কুয়াশা থাকতে পারে। এতে দৃষ্টিসীমা কমে আসতে পারে; অর্থাৎ বেশি
দূরের জিনিস দেখা যাবে না। ফলে নৌপথ, স্থলপথ এবং আকাশপথে যানবাহন চলাচল
বাধাগ্রস্ত হতে পারে। বিশেষ করে নৌপথে সবচেয়ে বেশি সমস্যা হতে পারে।
পূর্বাভাসে
আরও বলা হয়েছে, দিনে কুয়াশা বেশি থাকায় শীতের অনুভূতি বেড়ে যেতে পারে। তবে
দিনের তাপমাত্রা এক থেকে দুই ডিগ্রি সেলসিয়াস বাড়তে পারে।