ভারতীয়
উপমহাদেশে বেশ প্রচলন রয়েছে খো খো খেলার। এই ডিসিপ্লিনের প্রথম বিশ্বকাপ
অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ভারতের দিল্লিতে। আগামী ১৩-১৯ জানুয়ারি নারী ও পুরুষ
দুই বিভাগেই অংশগ্রহণ করছে বাংলাদেশ।
বিশ্বকাপে অংশগ্রহণ নিয়ে আজ
(বৃহস্পতিবার) দুপুরে বাংলাদেশ অলিম্পিক এসোসিয়েশন অডিটরিয়ামে খো খো
ফেডারেশন সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে। সেই সম্মেলনে ফেডারেশনের সাধারণ
সম্পাদক ফজলুর রহমান বাবুল বাংলাদেশ দুই দলের লক্ষ্যই রৌপ্য অর্জন বলে
জানিয়েছেন।
বিশ্বকাপকে সামনে রেখে মেয়েরা ধানমন্ডির মহিলা ক্রীড়া
কমপ্লেক্সে এবং ছেলেরা মিরপুরের ক্রীড়া পল্লিতে দুই মাসের অনুশীলন করেছে।
বিশ্বকাপের দুই বিভাগেই ২৩টি করে দেশ অংশ নিচ্ছে। পুরুষদের চেয়ে কঠিন
চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হবে নারীরা। কারণ মেয়েদের বিশ্ব র্যাঙ্কিংয়ের তিন
নম্বর নেপাল ও চারে শ্রীলংকা। বিপরীতে, বাংলাদেশ র্যাঙ্কিংয়ের দুই নম্বর
দল। মেয়েদের বিভাগে ১৪ জানুয়ারি ভুটান, পরদিন জার্মানি ও নেপাল এবং ১৬
জানুয়ারি শ্রীলংকার বিপক্ষে খেলবে বাংলাদেশ। অন্যদিকে, ১৪ জানুয়ারি
যুক্তরাষ্ট্র, পরদিন পোল্যান্ড, ১৬ জানুয়ারি দক্ষিণ কোরিয়া এবং শ্রীলংকার
বিপক্ষে খেলবে লাল সবুজের ছেলেরা।
২০১৬ ও ১৯ দুই এসএ গেমসেই বাংলাদেশ
খো খো–তে রৌপ্য পদক জিতেছে। এশিয়ান খো খো–তে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল
চতুর্থ। এশিয়ান পর্যায়ে চতুর্থ হলেও বিশ্বকাপ পদকে চোখ বাংলাদেশের।
অন্য
সব খেলার মতো খো খো নানা প্রতিবন্ধকতার মধ্যেই চলছে। আন্তর্জাতিক খো খো
ম্যাটে অনুষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশে খো খো–র জন্য আলাদা কোনো ভেন্যু নেই। তাই
পৃষ্ঠপোষক প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে ম্যাট পাওয়ার আশ্বাস পেলেও সেটি আলোর মুখ
দেখেনি। নানা প্রতিবন্ধকতা পেরিয়ে বিশ্বকাপের মঞ্চে যাচ্ছেন বাংলাদেশের খো
খো খেলোয়াড়রা। খো খো নারী দলে রয়েছেন বয়সভিত্তিক পর্যায়ে হকি ও ফুটবল খেলা
একজন করে খেলোয়াড়।