কুমিল্লায়
দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রসহ ছিনতাইকারী চক্রে ৭ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার সকালে নগরীর টাউন হল মাঠে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা
হয়। দুপুরে আদালতের মাধ্যমে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়।তাদের কাছ থেকে,
ছুরি, কিরিচ, হাঁসুয়া, রামদাসহ বিভিন্ন ধরনের দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র উদ্ধার
করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হচ্ছে- মো. শরীফ (২০), মো. ফরহাদ হোসেন (২০),
জসিম উদ্দিন (২০), মো. আকাশ (২০), মো. রবিউল (২১), মো. সবুজ আলী (২১), মো.
বাবু সওদাগর (২১)।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গ্রেপ্ততারকৃতরা নগরীর
বিভিন্ন এলাকায় বসবাস করলেও তারা ছিনতাইকারী চক্রের সদস্য। দিনের বেশিরভাগ
সময় নেশাগ্রস্ত থাকা এসব ছিনতাইকারী সন্ধ্যার পর থেকে বিভিন্ন এলাকায়
ছিনতাইয়ের তৎপরতা চালাতে থাকে। তবে বেশিরভাগ সময়ই এরা টাউনহল ও আশপাশের
এলাকায় অবস্থান করে। এদের অনেকে আবার কিশোর গ্যাংয়ের সাথে জড়িত।
বৃহস্পতিবার ভোরে নগরী টাউন হল এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে
অস্ত্রশস্ত্রসহ তাদেরদুটি গ্রুপ মুখোমুখি অবস্থান নেয়। খবর পেয়ে কান্দিরপাড়
ফাঁড়ি এবং কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে অভিযান চালায়। অভিযানে
চক্রের ৭ সদস্যকে গ্রেফতার হলেও তাদের অনেকেই পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়।
ছিনতাইকারী এ চক্রের অনেকে কিশোর গ্যাংয়ের সাথেও জড়িত।
কোতোয়ালি মডেল
থানার ওসি মহিনুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, বৃহস্পতিবার ভোরে অস্ত্রের মহড়া
দিতে তারা টাউন হল মাঠে জড়ো হয়। মূলত অভ্যন্তরীণ আধিপত্য বিস্তার করতেই
সেখানে অবস্থান নেয় তারা। আমরা সেখানে অভিযান চালিয়ে চক্রের ৭ সদস্যকে
গ্রেফতার করি। কিশোর গ্যাং প্রথা দমনে আমরা তৎপর আছি।
তবে থানার তদন্ত
কর্মকর্তা শিবেন বিশ^াস কুমিল্লার কাগজকে বলেন, কিশোর গ্যাংয়ের পাশাপাশি
এরা মূলত ছিনতাইকারী। এ চক্রটি শহরকে অস্থির করে তুলেছে। এদের সাথে সবসময়
ছোটোখাটো অস্ত্র থাকে। কেউ ধরতে গেলেই আহত হওয়ার শঙ্কা থাকে। এসব
ছিনতাইকারী বেশিরভাগ সময়ই নেশাগ্রস্ত থাকে। রাত বাড়ার সাথে সাথেই ওরা
বেপরোয়া হয়ে উঠে। তবে আমাদের অভিযান অব্যাহত আছে। সে অভিযানের অংশ হিসেবে
বৃহস্পতিবার সকালে কুমিল্লা টাউন হল এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৭ জনকে গ্রেপ্তার
করা হয়েছে।