কুমিল্লার
নাঙ্গলকোটে পারিবারিক কলহের জেরে ফাতেমা আক্তার (২০) নামের এক মালয়েশিয়ান
প্রবাসী স্ত্রী ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করার অভিযোগ উঠেছে।
সোমবার (১৩ জানুয়ারি) উপজেলার মক্রবপুর ইউপির বান্নাঘর শাহ রৌশন দরগাবাড়ি
মাজার এলাকায় এ ট্রেনে কাটার ঘটনা ঘটে। সে বান্নঘর গ্রামের আব্দুল জলিলের
ছেলে মালয়েশিয়ান প্রবাসী সুজনের স্ত্রী। আড়াই মাস বয়সী একটি কন্যা শিশু
রয়েছে তাদের। নিহতের পরিবার দাবি পারিবারিক কলহের জেরে এ আত্মহত্যার ঘটনা
ঘটে।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, বান্নঘর গ্রামের আব্দুল জলিলের ছেলে
প্রবাসী সুজনের সঙ্গে পারিবারিক ভাবে দেড় বছর পূর্বে পাশ্ববর্তী পেরিয়ার
ইউপির পেরিয়া গ্রামের বড় বাড়ির আব্দুল মনাবের মেয়ে ফাতেমা আক্তারের শুভ
বিবাহ হয়। বিয়ের পরে সুখেই চলছিল তাদের সংসার জীবন। আড়াই মাসের একটি কন্যা
সন্তানও রয়েছে তাদের। সুজন প্রবাসে থাকার সুবাদে রবিবার রাতে শ্বশুর
শ্বাশুড়ির সঙ্গে ঝগড়া হয় ফাতিমার। এক পর্যায়ে সোমবার সকাল ৮টায় চট্টগ্রাম
থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী মহানগর এক্সপ্রেস ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা
করেন ওই গৃহবধূ।
এ বিষয়ে নিহতের পিতা আব্দুল মনাব বলেন, সুখের আশায়
প্রবাসী ছেলে দেখে মেয়েকে বিয়ে দিয়েছি। একটা নাতিনও আছে। পারিবারিক কলহের
জেরে আমার মেয়ে আত্মহত্যা করেছে। তিনি এ হত্যার বিচার চান।
এ বিষয়ে সুজনের পিতা আব্দুল জলিলের মুঠো ফোনে একাধিক বার কল দিও বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।
এ
বিষয়ে নাঙ্গলকোট রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার জামাল হোসেন বলেন, সকালে চট্টগ্রাম
থেকে ছেড়ে আসা মহানগর এক্সপ্রেস ট্রেনে কাটা পড়ে ফাতেমা আক্তার নারীর
মৃত্যুর খবর পাই। পরে আমরা জিআরপি পুলিশ খবর দিই। তারা এসে লাশ উদ্ধার করে
নিয়ে যায়। এর থেকো আমরা আর বেশি কিছু জানিনা।
এ বিষয়ে লাকসাম রেলওয়ে
থানার ওসি এমরান হোসেন বলেন, সকাল ৮.৪৫ মিনিটের সময় খবর পাই ট্রেনের নিচে
টাকা পড়ে এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। পরে পুলিশ গিয়ে নিহতের লাশ উদ্ধার করে
ময়না তদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
ময়না তদন্তের রিপোর্ট আসলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যায়। এ ঘটনা একটি
অপমৃত্যুর মামলা প্রস্তুতি চলছে। তবে নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে কোন অভিযোগ
পাইনি।