অনার্স ফাইনাল ইয়ারের ফলাফলে জিপিএ- ৪.০০ এর মধ্যে ৪:০০ অর্জন করেছে ভিক্টোরিয়ার সরকারি কলেজের ছাত্রী সাদিয়া। তার অবিশ্বাস্য ও অবিস্মরণীয় ফলাফলে খুশি ভিক্টোরিয়া পরিবার। শিক্ষকরা বলছেন, অসাধ্য-সাধন করেছে এই শিক্ষার্থী।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্যমতে, ২০২২ সালের অনার্স ৪র্থ বর্ষ পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করা হয় গত ১৭ নভেম্বর। গড় পাসের হার ৭০ শতাংশ। এই পরীক্ষায় ৩১টি বিষয়ে মোট ৮৪৬টি কলেজে ২ লাখ ৬৫ হাজার ৩৯৭ জন পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন।
বিভাগীয় তথ্যমতে, সর্বশেষ প্রকাশিত অনার্স ৪র্থ বর্ষের ফলাফলে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের ছাত্রী সাদিয়া আক্তার অনি জিপিএ- ৪.০০ এর মধ্যে ৪:০০ অর্জন করেছেন। যা বিগত কয়েক বর্ষের মধ্যে সবার্ধিক পয়েন্ট।
সাদিয়া আক্তার অনি বলেন, শিক্ষকদের দিকনির্দেশনা, মা-বাবার দোয়া আর অধ্যবসায়ের ফলাফল এটি। এটা চ্যালেঞ্জিং, কিন্তু ফলপ্রসূ যাত্রা ছিল। আমি কোনো ক্লাসে অনুপস্থিত ছিলাম না।
আমার বাড়ি দেবিদ্বারে। সেখান থেকে আসা-যাওয়া করতাম। তারপরও কোনোদিন ক্লাস মিস করিনি। পরীক্ষায় প্রতিটা প্রশ্নের উত্তর করার সময় ধারাবাহিকতা বজায় রেখেছি এবং যথাসম্ভব চেষ্টা করেছি চিত্র সংযোজন করার। তাছাড়া সঠিক উত্তরটিই আমি শুধুমাত্র পরীক্ষার উত্তরের খাতায় লিখেছি। অপ্রাসঙ্গিক কোনো কিছু লিখিনি।
সামনের দিনে স্নাতকোত্তর করার পরিকল্পনা করছি। ভবিষ্যত পেশায় অবদান রাখার জন্য আমি উন্মুখ।
কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ড. মহিউদ্দিন মো. শাহজাহান ভূঁইয়া বলেন, সাদিয়া আক্তার অনির অধ্যবসায়, নিয়মিত ক্লাসে ও সার্বিক প্রস্তুতির কারণে ভালো রেজাল্ট করেছে। বিভাগের শিক্ষকরাও আন্তরিকতার সাথে সময় দিয়েছে।
আল্লাহর দয়া ও সকলের ঐকান্তিক প্রচেষ্টা সাদিয়া অনার্স চতুর্থ বর্ষে সর্বোচ্চ জিপিএ করেছে। চারে চার পাওয়া একটা কঠিন বিষয়। তার প্রতি বর্ষের ফলাফলে হায়ার ফার্স্ট ক্লাস ছিল। সে ২০১৮-১৯ বর্ষের অনার্সের ছাত্রী। তাদের এখনো সার্টিফিকেট ও চূড়ান্ত নম্বর পর্যন্ত কলেজে আসেনি। আসলে আরো বিস্তারিত বলা যাবে।
অসাধ্য-সাধন করেছে সাদিয়া। থিসিস করার সকল যোগ্যতা মেয়েটির আছে। আমার বিশ্বাস সে ভালো করবে। এ জ্ঞান যেনো প্রাণিবিদ্যায় কাজে লাগে, এ দোয়া করি।
এ বিষয়ে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মো. আবুল বাশার ভূঁঞা বলেন, ভালো ফলাফলে আমরা সব সময় খুশি হই। চারে চার পাওয়া এমন রেজাল্ট খুব কম হয়। তাকে অভিনন্দন জানাই।