কুমিল্লার
মেঘনা উপজেলার তুলাতুলী ঈদগাঁ সংলগ্ন তিন রাস্তার মোড় থেকে বকসিকান্দা
গ্রামের উত্তর পাশ হয়ে বৈদ্যনাথপুরের বটতলা বাজার পর্যন্ত প্রায় চার
কিলোমিটার রাস্তায় দীর্ঘ দেড় দশকেও উন্নয়নের ছোয়া লাগেনি। এই রাস্তা দিয়ে
প্রতিদিন শতশত মানুষ চলাচল করলেও এর কোনো উন্নয়নের উদ্যোগ নেয়নি প্রশাসন।
ঝড়বৃষ্টি বা বর্ষায় কাদা ও শুষ্ক মৌসুমে ধুলা বালুর এই রাস্তা দিয়ে চলাচল
করতে গিয়ে প্রতিনিয়ত চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয় স্থানীয়দের।
তুলাতুলী
গ্রামের বাসিন্দা ডিপ্টি মিয়া তার অসহায়ত্বের কথা জানিয়ে বলেন, এই রাস্তা
দিয়ে চলাচল করা আমাদের জন্য দুঃস্বপ্নের মতো। বছরের পর বছর এভাবেই পড়ে আছে,
দেখার কেউ নেই। আমরা যদি একটু সহযোগিতা পাই তাহলে আমাদের অনেক উপকার হবে।
আপনাদের মাধ্যমে কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করছি, আমাদের এই কষ্ট থেকে মুক্তি
দিন।
বকসিকান্দা গ্রামের বাসিন্দা শাকিল আহম্মেদ বলেন, আমরা দীর্ঘদিন
ধরে এই রাস্তার দুরবস্থার কারণে চরম কষ্টে আছি। রাস্তার এমন অবস্থায়
অটোরিকশা ব্যবহার করাও দুঃসাধ্য হয়ে পড়েছে। একদিন অটোরিকশায় বাজারে গেলে
দুই দিন বিছানায় পড়ে থাকতে হয়। অনেক নেতা আসছেন, গেছেন কিন্তু কেউই এই
রাস্তার সমস্যার সমাধানে উদ্যোগ নেননি। রাস্তা দিয়ে রোগী নিয়ে হাসপাতালে
যেতে হলে কাঁধে করে নিতে হবে কিংবা বিমানে। তাছাড়া আমাদের আর উপায় নেই।
প্রায়
১৫ বছর ধরে অবহেলিত এই রাস্তাটি সংস্কারের দাবি জানিয়ে আসছেন স্থানীয়রা।
তাদের একটাই চাওয়া-যত দ্রুত সম্ভব এই রাস্তাটির উন্নয়নকাজ সম্পন্ন হোক,
যাতে মানুষের দুর্ভোগ লাগব হয়। এলজিইডি কর্তৃপক্ষের দ্রুত হস্তক্ষেপ এই
সমস্যার সমাধানে আশার আলো দেখাতে পারে বলে দাবী এলাকাবাসীর।
এ বিষয়ে
মেঘনা উপজেলার প্রকৌশলী মোসাঃ সাবরীন মাহফুজ বলেন, তুলাতুলীর ঈদগাঁ সংলগ্ন
তিন রাস্তার মোড় থেকে বকসিকান্দা গ্রাম হয়ে বৈদ্যনাথপুরের বটতলা বাজার
পর্যন্ত রাস্তাটি বৃহত্তর কুমিল্লা জেলার গুরুত্বপূর্ণ পল্লী অবকাঠামো
শীর্ষক প্রকল্পের আসন্ন চতুর্থ পর্যায়ের ডিপিপিতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
প্রকল্পটি অনুমোদন পেলে দ্রুত প্রাক্কলন পাঠিয়ে কাজ শুরু করার উদ্যোগ নেওয়া
হবে।