ব্রাজিল জাতীয় দলের হয়ে সাফল্যের জন্য যা কিছু প্রয়োজন, সবই এই তরুণের আছে বলে মনে করেন বেবেতো।
পেশাদার
ক্যারিয়ার কেবল এক বছরের। বয়স মাত্র ১৭। তবে এরই মধ্যে নিজের প্রতিভা ও
সামর্থ্য দিয়ে ফুটবল বিশ্বের নজর কেড়েছেন এস্তেভো উইলিয়ান। ব্রাজিল জাতীয়
দলের হয়ে সাফল্যের জন্য যা কিছু প্রয়োজন, সবই তার আছে বলে মনে করছেন দেশটির
১৯৯৪ বিশ্বকাপ জয়ী ফরোয়ার্ড বেবেতো। দারুণ প্রতিভাবান এই উইঙ্গারের মাঝে
দুবারের বিশ্বকাপ জয়ী সাবেক স্ট্রাইকার রোনালদো নাজারিওর ছায়া দেখছেন তিনি।
ব্রাজিলিয়ান
ক্লাব পালমেইরাসের একাডেমি থেকে ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে মূল দলে অভিষেক হয়
এস্তেভোর। বার্সেলোনা, বায়ার্ন মিউনিখ, পিএসজি, ম্যানচেস্টার সিটির মতো
ক্লাবের সঙ্গে লড়াইয়ে জিতে গত জুনে তার সঙ্গে চুক্তি করে চেলসি।
দুর্দান্ত
ড্রিবলিং দক্ষতার জন্য ‘ছোট মেসি’ নামে পরিচিতি পেয়ে যাওয়া এস্তেভো চলতি
বছরে নতুন আঙ্গিকের ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপে খেলবেন পালমেইরাসের হয়েই। এরপর
তিনি যোগ দেবেন ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের ক্লাব চেলসিতে।
সম্প্রতি ফিফাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এস্তেভোর উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেন ব্রাজিলের ১৯৯৪ বিশ্বকাপ জয়ের নায়কদের একজন বেবেতো।
“সবাই
জানে, ব্রাজিল বারবারই দারুণ খেলোয়াড়দের বের করে আনে। এখানে প্রতিদিন একজন
করে ফুটবলার জন্ম নেয়, অসাধারণ ব্যাপার। এস্তেভোকে নিয়ে আমি খুবই আশাবাদী,
সে বিশেষ একজন। ব্রাজিলের হয়ে আলো ছড়ানোর জন্য যা যা প্রয়োজন, সবই তার
আছে।”
“রোনালদো যখন তরুণ ছিল, ঠিক যেন তেমনই। যখন সে ১৯৯৪ সালে আমাদের
সঙ্গে ছিল, আমি, মুলার ও রোমারিও, তখন এটা ছিল তার জন্য শেখার দারুণ জায়গা।
আমরা বলতে পারি, সে ছিল ভিন্ন ধাঁচের। এস্তেভোও তাই, দেখতেই পাবেন।”
ব্রাজিলের
শীর্ষ লিগ সেরি আয় গত মৌসুমে পালমেইরাসের দ্বিতীয় হওয়ায় বড় অবদান রাখেন
এস্তেভো। ৩১ ম্যাচে ১৩ গোল করার পাশাপাশি ৯টি অ্যাসিস্ট করেন তিনি।
গত
সেপ্টেম্বরে বিশ্বকাপ বাছাইয়ে একুয়েডরের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে ব্রাজিলের
জার্সিতে অভিষেক হয় তার। এখন পর্যন্ত জাতীয় দলের হয়ে চারটি ম্যাচ খেলেছেন
তিনি।