বাংলাদেশ
টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) ও ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন
মনিটরিং সেন্টারের (এনটিএমসি) কাছে থাকা জুলাই-অগাস্টে অভ্যুত্থানের সব
তথ্য অক্ষুণ্ণ অবস্থায় সংরক্ষণের নির্দেশ দিয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ
ট্রাইব্যুনাল। এছাড়া আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থাকে
তদন্ত কাজে সহযোগিতা করতে দেশের সব মোবাইল ফোন অপারেটর ও ইন্টারনেট
প্রোভাইডারদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল এ আদেশ দেন।
পরে
নিজ কার্যালয়ে ট্রাইব্যুনালের প্রধান কৌঁসুলি মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম
সাংবাদিক বলেন, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা আদেশ ছাড়াই
যেকোনো ব্যক্তি, কর্তৃপক্ষকে ডাকতে ও যে কোনো ডকুমেন্ট চাওয়ার আইনি এখতিয়ার
রাখে।
“ডিজিটাল এভিডেন্সগুলো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সে কারণে ডিজিটাল
এভিডেন্সগুলো যাতে ডিলিট না হয় এবং এ ব্যাপারে আমাদের ফরেনসিক করার জন্য,
তদন্ত করার জন্য ফ্রি একসেসটা যাতে দেয়; আইনে আমাদের সে সুযোগ আছে। তারপরও
আমরা ট্রাইব্যুনালের আদেশ নিয়েছি যাতে কারও মধ্যে ভুল বোঝাবুঝির সৃষ্টি না
হয়।”
এসময় গাজী এম এইচ তামিমসহ আরও কয়েজনজন প্রসিকিউটর উপস্থিত ছিলেন।
সরকারি
চাকরিতে কোটা সংস্কার আন্দোলন জুলাইয়ে তীব্র আকার ধারণ করে। পরে তা সরকার
পতনের আন্দোলনে রূপ নেয়। ছাত্র-জনতার তুমুল সেই আন্দোলনের মুখে গত ৫ অগাস্ট
শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে যান। আওয়ামী লীগ সরকার পতনের আগে এ আন্দোলনে
ব্যাপক সহিংসতার ঘটনা ঘটে।
পরে জুলাই-আগস্টের সরকার পতন আন্দোলনের
প্রাণহানির ঘটনাকে ‘গণহত্যা’ বিবেচনা করে ট্রাইব্যুনালে বিচারের উদ্যোগ
নিয়েছে মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্র্বতী সরকার।