কুমিল্লার
লালমাইয়ে ব্যবসায়ী সুমন দে হত্যাকান্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে রাব্বি হোসেন
বিজয় (২০) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার ( ১৫ জানুয়ারি)
দুপুরে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় চাঁদপুর জেলার হাজীগঞ্জ বাজারের মহাশ্মশান
এলাকা থেকে তাকে আটক করে লালমাই থানা পুলিশ। আটককৃত রাব্বি, মো: হাবিব এর
ছেলে তারা হাজীগঞ্জ পৌরসভার ফায়ার সার্ভিস স্টেশন সংলগ্ন ৫ নং ওয়ার্ডে ভাড়া
বাসায় থাকেন।
নিহতের পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত বছরের ২৫
জুলাই রাতে উপজেলার পেরুল উত্তর ইউনিয়নের পূর্ব আলীশ্বর গ্রামের নিজ
শয়নকক্ষে খুন হন কৃষ্ণ দে এর ছোট ছেলে সুমন দে (৩২)। পেশায় তিনি একজন
কাঁচামাল ব্যবসায়ী ছিলেন।ব্যক্তিগত জীবনে তিনি ছিলেন অবিবাহিত। নিহত সুমনের
জন্মস্থান লক্ষীপুর জেলার রামগঞ্জ উপজেলার শেফালীপাড়া গ্রামে। ২০১৫ সালে
পরিবারসহ তারা লালমাই উপজেলার আলীশ্বর গ্রামে জমি কিনে বাড়ি করে বসবাস শুরু
করেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা লালমাই থানার উপ- পরিদর্শক মো :
শাহাদাত সিরাজী বলেন, তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে প্রথমে আমরা হাজীগঞ্জ বাজারে
রামগঞ্জ সড়কে সামির মটর হোন্ডা গ্যারাজের মালিক শামীমকে সন্দেহ ভাজন
হিসেবে আটক করি। পরে তার মোবাইল থেকে কল দিয়ে রাব্বি হোসেন বিজয়কে আটক করে
লালমাই থানায় নিয়ে আসি। জিজ্ঞেসাবাদে শামীমের সম্পৃক্ততা না থাকায় তাকে
ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। মূলত গ্রেফতারকৃত আসামি রাব্বি শামীমের গ্যারেজ থেকে
হোন্ডা ভাড়া নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় যেতো।
নিহতের ভাই শ্রীবাস চন্দ্র দে
বলেন, আমার ভাই নোয়াখালী থেকে নারিকেল ও সুপারি এনে এলাকায় খুচরা বিক্রি
করতো। গত ২৫ জুলাই রাতে তাকে তার বসত ঘরে ছুরিকাঘাত করে ও পিটিয়ে নির্মম
ভাবে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিরা হত্যা করে। হত্যাকান্ডের সময় আমার ভাইয়ের কাছে
বেশকিছু টাকা ছিলো। ধৃত আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে এই হত্যাকাণ্ডের রহস্য
উদঘাটন করা সম্ভব হবে। আমরা এই হত্যাকাণ্ডের বিচার চাই।
লালমাই থানার
অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো: শাহ আলম বলেন, প্রযুক্তির সহায়তায় আমরা
সন্দেহভাজন দুজনকে আটক করেছি। শামীম নামে একজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে ছেড়ে
দেওয়া হয়েছে। রাব্বি নামে অপরজন থেকে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে।
মামলা তদন্তের স্বার্থে সব তথ্য প্রকাশ করা যাচ্ছে না। আসামি রাব্বিকে
আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।