কুমিল্লার
মুরাদনগর উপজেলার বাঙ্গরা পূর্ব ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের
সভাপতি শেখ জাকির হোসেনকে শনিবার দুপুরে ঢাকার কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয়
কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ। শুক্রবার সন্ধ্যায় বাঙ্গরা বাজার থেকে তাকে
গ্রেপ্তার করার বিষয়টি নিশ্চিত করেন বাঙ্গরা বাজার থানার ওসি মাহফুজুর
রহমান। তিনি বলেন, শেখ জাকিরের বিরুদ্ধে বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে
ছাত্র-জনতার ওপর হামলার অভিযোগে দু’টি হত্যা মামলাসহ চারটি মামলা রয়েছে।
পুলিশ
সূত্র জানায়, ছাত্র-জনতার আন্দোলনে হামলা ও গুলি করে শিক্ষার্থী হত্যার
ঘটনায় রাজধানীর রামপুরা থানার একটি মামলার পরোয়ানাভুক্ত পলাতক আসামী ছিলেন
আওয়ামী লীগ নেতা শেখ জাকির হোসেন। ওই মামলায় শুক্রবার সন্ধ্যায় পুলিশ
বিশেষ অভিযান চালিয়ে তাঁকে গ্রেপ্তার করে।
পুলিশ ও স্থানীয় লোকজন জানায়,
বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার বিরুদ্ধে ব্যাপক ভূমিকা রাখেন আওয়ামী
লীগ নেতা শেখ জাকির। তিনি দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় চাঁদাবাজি, ড্রেজার ব্যবসা,
জমি দখল থেকে শুরু করে নানা অপকর্মে জড়িত ছিলেন। ২০২২ সালে দলীয় ক্ষমতার
প্রভাবে ইউপি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন তিনি। বিভিন্ন ব্যবসায়ীদের দোকানে
প্রকাশ্যে তালা দিয়ে চাঁদা আদায় করতেন। তাঁর ভয়ে অনেকেই মুখ খুলতেন না। ৫
আগস্টে আওয়ামীলীগ সরকার পতন হলেও এলাকায় তাঁর ছিল প্রভাব।
বাঙ্গরা বাজার
থানার ওসি মাহফুজুর রহমান বলেন, চেয়ারম্যান শেখ জাকির হোসেনকে গ্রেফতার
করার জন্য রাজধানীর রামপুরা থানা থেকে আমাদের সহায়তা চায়। রাতেই তাঁকে
রামপুরা থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও
ডিএমপি রামপুরা থানার এসআই শাহিন মিয়া বলেন, ধৃত শেখ জাকির হোসেনকে শনিবার
দুপুরে আদালতে সোপর্দ করলে বিজ্ঞ বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ
দেয়।