বাংলাদেশ
জামায়াতে ইসলামী কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারী জেনারেল মাওলানা মোহাম্মদ
শাহজাহান শেখ হাসিনাকে পিলখানা শাপলা চত্তর জুলাই-আগস্টের গণহত্যাসহ সকল
অপরাধের মাষ্টার মাইন্ড উল্লেখ করে বলেন, আসন্ন জাতীয় নির্বাচনের আগে খুনি
শেখ হাসিনার বিচার করতে হবে। বাংলাদেশের মানুষ এ বিচারটি দেখতে
চায়।ছোট-খাটো অনেক বিচার করা সম্ভব না হলে ও শেখ হাসিনার বিচার করে যদি
নির্বাচন দেওয়া হয় তাহলে সেই নির্বাচনে বাংলাদেশের মানুষের আকাংখার
প্রতিফলন ঘটবে।বাংলাদেশের মানুষ অন্তবর্তীকালীন সরকারের পাশে থাকবে।জাতি আজ
অঙ্গীকারবদ্ধ হাসিনার বিচারের জন্য।তার বিচারের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের
বিচার ব্যবস্থ্যা যে ধ্বংস হয়েছে সেটার আইনের শাসনে ফিরিয়ে আনা যাবে।
শনিবার সকাল ৯টায় বুড়িচং মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে আয়োজিত কর্মী সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্য তিনি এই কথা বলেন।
বুড়িচং
উপজেলা জামায়াতের আমীর অধ্যাপক অহিদুর রহমান এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি
আরো বলেন, হাসিনা আমীরে জামায়াত, মাওলানা মতিউর রহমান নিজামী ,মাওলানা
দেলোয়ার হোসেন সাঈদী, আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ, কাদের মোল্লা,
কামরুজ্জামান, মীর কাসেম আলীসহ র্শীষ নেতাদেরকে প্রহসনের বিচারের মাধ্যমে
হত্যা করা হয়েছে।
বিগত ১৫ বছর সবচেয়ে বেশি নিপীড়ন ও নির্যাতন চালিয়েছে
জামায়াতে ইসলামী ও ছাত্রশিবিরের উপর। ফ্যাসিবাদীর আমলে গোটা বাংলাদেশ
কারাগারে রূপান্তরিত করেছিল।
তিনি আরো বলেন, আগস্টের কয়েক দিন আগে
জামায়াতের ইসলামীকে নিষিদ্ধ করেছিল আওয়ামী লীগ। পরিপত্র জারি করে নিষিদ্ধ
করা হয়েছে। ৫ আগস্টের পর সেই আওয়ামী কে মানুষ ঘৃণা ভরে প্রত্যাখ্যান করেছে।
ছাত্রলীগের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের কারণে বাংলাদেশে ছাত্রলীগের রাজনীতি
নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এই আন্দোলনে ঐতিহাসিক ভূমিকা পালন করেছে জামায়াত ইসলামী
ও ইসলামী ছাত্রশিবির। আন্দোলন দমাতে আকাশ থেকে গুলি করা হয়েছিল। তারপরেও
আন্দোলন বন্ধ করা যায়নি। ছাত্র জনতার আন্দোলনে শেখ হাসিনা তার এমপি
মন্ত্রীদের নিয়ে দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেছে।
সম্মেলনে প্রধান বক্তার বক্তব্য
,জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য ও প্রচার সম্পাদক মতিউর রহমান
আকন্দ বলেন,৫৩ বছরের মধ্য জামায়াতে ইসলামীর ২জন মন্ত্রী ২টি মন্ত্রণালয়
সততা স্বচ্চতার মাধ্যমে পরিচালিত করেছে যা সারা বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত।তাদের
বিরুদ্ধে কোন ধরনের দুর্নীতি পায় নি।ছাত্রজনতার আন্দোলনের ১৬৫১জন ছাত্র
যুবকের রক্তের বিনিময় আজ আমরা নতুন একটি পরিবেশ পেয়েছি।এই পরিবেশকে কাজে
লাগাতে হবে।এই বাংলাদেশকে ভারতের করদ রাজ্যে যাতে পরিণত করতে না হয়।ভারতের
ইচ্চায় যাতে পরিচালিত না হয় যে দিকে সবাইকে ঐক্যবন্ধ থাকতে হবে।
বিশেষ
অতিথি হিসাবে আরো বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও কুমিল্লা
মহানগরী আমীর কাজী দ্বীন মোহাম্মদ,কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য ও কুমিল্লা
উত্তর জেলা আমীর অধ্যাপক আব্দুল মতিন,কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য ও বুড়িচং
-ব্রাক্ষনপাড়া আসনের জামায়াত মনোনিত সংসদ সদস্য প্রার্থী ড.মোবারক
হোসাইন.উত্তর জেলা জামায়াতের নায়েবে আমীর অধ্যাপক আলমগীর সরকার,উত্তর জেলা
জামায়াতের সেক্রেটারী সাইফুল ইসলাম শহিদ,ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় স্কুল
কার্যক্রম সম্পাদক নোমান হোসেন নয়ন।
উপজেলা সেক্রেটারী মাওলানা আবুল
হোসাইন এর পরিচালনায় কর্মী সম্মেলনে আরো বক্তব্য রাখেন,উত্তর জেলা
জামায়াতের সহকারি সেক্রেটারী অধ্যাপক লোকমান হাকিম ,অধ্যাপক আব্দুল
আউয়াল,মু. সাইফুল আলম, মাওলানা মিজানুর রহমান আতিকী,অধ্যক্ষ মু. আবু
তাহের,. মু. গিয়াস উদ্দিন, মাও, রেজাউল করিম,অধ্যক্ষ আঃ
হান্নান,ছাত্রশিবির-উত্তর জেলা সভাপতি ছানাউল্লাহ রাসেল জেলা সেক্রেটারী
শাকিল মাহমুদ প্রমুখ।অর্থ সহ কোরআন তেলাওয়াত করেন মাও. মঈনুল ইসলাম।