আগামী
ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন যাতে সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য হয়, সেই
লক্ষ্যে নির্বাচন কমিশন কাজ করছে বলে মন্তব্য করেছেন ইসি আব্দুর রহমানেল
মাছউদ।
পটুয়াখালীতে তিনি বলেছেন, “এখানে আসার উদ্দেশ্য হলো, এই যে ভোটার
কার্যক্রম- এটাকে কীভাবে আরও গতিশীল করা যায়, কীভাবে নির্ভুল করা যায়,
কীভাবে আরও সুষ্ঠু করা যায়- প্রধান উপদেষ্টা মহোদয় কর্তৃক ঘোষিত সময়ে
অর্থ্যাৎ ২০২৫ সনের ডিসেম্বর অথবা ২০২৬ সনের পহেলা- প্রথম মাসে যদি ভোট হয়,
নিশ্চয়ই আইনশৃঙ্খলা পরিবেশ সুন্দর হবে। আমরা জাতিকে একটা সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ
ও সুন্দর এবং গ্রহণযোগ্য একটা ভোট উপহার দিতে পারব।
ভোটার তালিকা হালনাগাদ উপলক্ষে বৃহস্পতিবার পটুয়াখালীতে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করছিলেন ইসি মাছউদ।
তিনি
বলেন, “দেশব্যাপী এখন ৩৫ হাজার কর্মী ভোটার হালনাগাদের কাজ শুরু করেছেন।
তারা বাড়ি বাড়ি যাবেন, তথ্য সংগ্রহ করবেন। যাদের জন্ম ১/১/২০০৮ বা তার আগে
যাদের জন্ম, তারা এখন নতুন ভোটার হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হতে পারবেন।”
এবার
যে ইভিএমের মাধ্যমে ভোট হচ্ছে না তা স্পষ্ট করে ইসি মাছউদ বলেন, “আমরা
আপাতত ব্যালটের মাধ্যমেই নির্বাচন করার জন্য মানসিকভাবে প্রস্তুতি নিয়েছি।
“সত্যিকার অর্থে- এখন জাতীয় নির্বাচন নিয়েই ভাবছি। কাজেই জাতীয় নির্বাচন যাতে সুষ্ঠু করতে পারি, সেই লক্ষ্যে এগিয়ে যাচ্ছি।”
বিজয়
দিবসে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিতে এসে আগামী নির্বাচনের সম্ভাব্য সময়সূচি
নিয়ে ধারণা দিয়েছিলেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।
তিনি
বলেছিলেন, ভোট কবে হবে তা নির্ভর করবে রাজনৈতিক ঐকমত্যের ভিত্তিতে কতটা
সংস্কার করে নির্বাচনে যাওয়া হবে, তার ওপর। মোটাদাগে এক থেকে দেড় বছরের
মধ্যে হতে পারে ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন।
এর মধ্যে গত ১৪ জানুয়ারি বিএনপির তরফে বলা হয়, আগামী জুলাই-অগাস্টের মধ্যে তারা সংসদ নির্বাচন চান।
এরপর
১৯ জানুয়ারি এ এম এম নাসির উদ্দিন সাফ জানিয়ে দেন, ত্রয়োদশ সংসদ
নির্বাচনের যে সম্ভাব্য সময়সূচি দিয়েছেন সরকারপ্রধান, সেই সময়ে ভোট আয়োজনের
লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে ইসি।