কুমিল্লার
মেঘনা উপজেলায় নদীর তলদেশ থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন কিছুতেই থামছে না।
রাতের আধারে নদীর পাড় ঘেঁষে বালু দস্যুরা বালু উত্তোলন করে,তাদের বিরুদ্ধে
একাধিক মামলা করে আইনের আওতায় এনে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করলেও
পরবর্তীতে জামিনে এসে পুনরায় অবৈধভাবে বালু উত্তোলনে জরিয়ে পড়ে। ফলে বাড়ি
ঘর ও ফসলী জমি বিলিন হয়ে যাচ্ছে নদী গর্ভে । এমন অবস্থা থেকে নদীর পাড়ের
বাসিন্দাদের নদী ভাঙ্গন থেকে মুক্ত রাখতে এবং কৃষি জমি রক্ষায় ও কৃষিজমির
উর্বর মাটি (টপ সয়েল) কর্তন প্রতিরোধে নড়েচড়ে বসেছেন স্থানীয় প্রশাসন।
সোমবার (২৭ জানুয়ারি) বিকেলে উপজেলা পরিষদের সভাকক্ষে এক বিশেষ সভার আয়োজন
করে উপজেলা প্রশাসন।
সভায় সভাপতিত্ব করেন মেঘনা উপজেলার নির্বাহী
কর্মকর্তা (ইউএনও) হ্যাপী দাস। তিনি বলেন, "বালু উত্তোলন এবং টপ সয়েল কর্তন
শুধু পরিবেশের জন্য নয়, আমাদের অর্থনীতি এবং জীববৈচিত্র্যের জন্যও
মারাত্মক হুমকিস্বরূপ। এ বিষয়ে সকলের সমন্বিত উদ্যোগ ও সচেতনতা জরুরি।"
সভায়
অন্যান্য বক্তারাও বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন এবং স্থানীয় প্রশাসনের
সঙ্গে সহযোগিতা করে অবৈধ কার্যক্রম বন্ধে দৃঢ় প্রতিশ্রুতি দেন। সভায় আরও
উপস্থিত ছিলেন কোস্টগার্ডের লেফটেন্যান্ট কমান্ডার ডা. তাকিউল আহসান ও
ক্যাপ্টেন আদিল, মেঘনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল জলিল,
নৌপুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. আজমগীর হোসেন, চালিভাঙ্গা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান
হুমায়ুন সরকার, উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি মাহমুদুল হাসান বিপ্লব সিকদার,
গণধিকার পরিষদের মেঘনা উপজেলা সভাপতি মোখলেছুর রহমান, যুবদল নেতা মাসুরুল,
উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক কেফায়েত উল্লাহ, কবি নজরুল সরকারি কলেজের
সমন্বয়ক রুপ মিয়া হোসাইন (রাজ), ছাত্র প্রতিনিধি আকিব হাসান পলাশ ও
নাদিমুজ্জামানসহ অন্যরা।
উপজেলা প্রশাসন ও স্থানীয় নেতৃবৃন্দের
অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত এই সভায় অবৈধ বালু উত্তোলন ও টপ সয়েল কর্তনের বিরুদ্ধে
কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়।
সভা শেষে স্থানীয় জনগণের সহযোগিতা
কামনা করে ইউএনও হ্যাপী দাস বলেন, "সকলের আন্তরিক প্রচেষ্টায় মেঘনাকে আমরা
একটি পরিবেশবান্ধব, সুরক্ষিত এবং উন্নয়নমুখী এলাকা হিসেবে গড়ে তুলতে চাই।"