রেলওয়ে
রানিং স্টাফদের কর্মবিরতির কারণে ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকার সিদ্ধান্তের কথা
জানতেন না অনেক যাত্রী। এর ফলে কুমিল্লা স্টেশন ও লাকসাম রেলওয়ে জংশনসহ
যাত্রী উঠানামায় ব্যবহৃত কুমিল্লার ১৫টি স্টেশনে আটক পড়েন বিভিন্ন গন্তব্যে
পৌঁছানোর উদ্দেশ্যে আসা যাত্রীরা। পড়তে হয়েছে ভোগান্তিতে। আটকে পড়া
যাত্রীদের অনেককেই হতাশ হয়ে ভিন্ন পরিবহনে গন্তব্যে পৌঁছাতে হয়েছে। এর
মধ্যে আটকা পড়া অনেক যাত্রীকে গন্তব্যে পৌঁছাতে বিআরটিসি বাস সেবার
মাধ্যমে নেয়া হয়েছে বিকল্প ব্যবস্থা। এছাড়া যাত্রা বাতিল হওয়া ট্রেনের
টিকিট অনলাইনে মাধ্যমে যাত্রীকে ফেরতও দেওয়া হয়েছে।
কুমিল্লা রেলওয়ে
সূত্র জানায়, কর্মবিরতি ঘোষণার পর থেকে চাঁদপুর থেকে চট্টগ্রামগামী
আন্তঃনগর মেঘনা এক্সপ্রেস ও নোয়াখালী থেকে ঢাকাগামী আন্তঃনগর উপকূল
এক্সপ্রেস এবং চট্টগ্রাম থেকে ঢাকাগামী চট্টলা, চট্টগ্রাম থেকে সিলেট
পাহাড়িরা, চট্রগ্রাম থেকে জামালপুর বিজয় এক্সপ্রেসসহ ৫ যাত্রা বাতিল করা
হয়েছে। এতে ওই ৫টি যাত্রীবাহী ট্রেনের শতশত যাত্রী আটকা পড়ে নানা দূর্ভোগ
পোহাচ্ছেন।
এদিকে যাত্রীরা জানান, ট্রেন বন্ধের এ খবরটি তাদের জানা ছিল না। তাই তারা স্টেশনে এসে বিপাকে পড়েছে।
কুমিল্লা
থেকে বোনকে নিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া যাওয়ার জন্য কুমিল্লা রেলওয়ে স্টেশনে
এসেছিলেন ইমাম হোসেন, তিনি বলেন স্টেশনে এসে দেখি ট্রেন চলাচল বন্ধ। আমার
মত অসংখ্য যাত্রী ট্রেনের অপেক্ষায় রয়েছেন। কিন্তু ট্রেন আসার কোন খবর নেই।
এই কর্মবিরতি কবে থামবে কিংবা কবে নাগাদ ট্রেন চালু হবে তাও বলতে পারছেন
না কর্তৃপক্ষ। ট্রেনের পরিবর্তে এখন বাসে ব্রাহ্মণবাড়িয়া যেতে হবে।
কুমিল্লা
রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার আনোয়ার হোসেন বলেন, আটকে পড়া যাত্রীদেরকে রেলের
টিকিটের মাধ্যমে গন্তব্যে পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে বিআরটিসি বাস সেবার মাধ্যমে।
আর যারা টিকিট কাটেননি তারাও নিজ খরচে বিআরটিসি বাস সেবা নিতে পারছেন।