ক্যাম্পের
অবস্থা কী? বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের এক অফিসিয়ালের কাছে প্রশ্ন করতেই
তিনি বলছেন, “এই যেমন চলছে।” এই যেমন চলছে মানে ঠিক চলছে না। আসলে চলছে
অচলাবস্থা! প্রধান কোচ পিটার জেমস বাটলারের বিরুদ্ধে ‘বিদ্রোহ’ করেছেন
ফুটবলাররা!
পিটারের কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনিও মুখে ছিপি দিয়ে
রাখলেন। শুধু বললেন, “এই মুহূর্তে এ বিষয়ে কথা বলতে বাফুফের নিষেধ আছে।
আপনি সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলুন।”
বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের নারী
উইংয়ের চেয়ারম্যান মাহফুজা আক্তার কিরণের কাছে পিটারের বিরুদ্ধে খেলোয়াড়দের
‘বিদ্রোহ’ নিয়ে জানতে চাইলে তিনিও বিস্তারিত বলতে রাজি হননি।
“খেলোয়াড়, কোচ, সব পক্ষের সাথে আমাদের আলোচনা চলছে। বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা চলছে। এখন এ বিষয়ে এর বেশি কিছু বলতে পারছি না।”
আনুষ্ঠানিকভাবে
কেউ কিছু না বলতে চাইলেও আসলে আড়ালে নেই কিছুই। এই বিতর্কের শুরু গত
অক্টোবরে উইমেন’স সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ চলাকালীন সময় থেকে। নেপালে আসর
চলাকালীন বিতর্কের ঢেউ উঠেছিল মনিকা চাকমার বয়ানে। এই মিডফিল্ডার বলেছিলেন,
পিটারের সাথে সিনিয়রদের সম্পর্ক ভালো নয়, কোচ সিনিয়রদের পছন্দ করেন না।
বিতর্ক
সত্ত্বেও নেপালকে হারিয়ে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের মুকুট ধরে রাখে মেয়েরা।
বিতর্কের স্রোতেও পড়ে কিছুটা ভাটার টান। কিন্তু চলতি জানুয়ারির মাঝামাঝি
পিটারের সাথে বাফুফে দুই বছরের চুক্তির মেয়াদ বাড়ালে শুরু হয় কানাঘুষা-
দলের অনেকে নাকি এই ইংলিশ কোচের অধীনে থাকতে চান না।
এমন বিরুদ্ধ
স্রোতের মধ্যেই গত সোমবার ছুটি কাটিয়ে দেশে ফিরেন পিটার। তার অনুপস্থিতিতে
সহকারী কোচ মাহবুবুর রহমান লিটু অনুশীলন চালিয়ে যাচ্ছিলেন। পিটার ঢাকায়
ফেরার পর মেয়েদের সাথে অনুশীলন করতে পারেননি। অথচ আগামী ফেব্রুয়ারিতেই
সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে দুটি প্রীতি ম্যাচ খেলার কথা রয়েছে
বাংলাদেশের।
বাফুফে সুত্রের খবর, ঢাকায় ফিরে মেয়েদের সাথে মিটিংয়ে বসতে
চেয়েছিলেন পিটার, কিন্তু মেয়েদের কাছ থেকে সাড়া পাননি। অনুশীলনেও আসেননি
সিনিয়ররা। এর সঙ্গে যোগ হয়েছে চুক্তি ইস্যুটি। গত অক্টোবরের পর থেকে বাফুফে
তাদের চুক্তি নবায়ন করেনি। কোচ, চুক্তি- সব মিলিয়ে ফুটবলারদের মধ্যে,
বিশেষ করে সিনিয়রদের মধ্যে অসন্তোষ উঠেছে চরমে।