নিজস্ব
প্রতিবেদক: রেলওয়ে রানিং স্টাফদের কর্মবিরতি প্রত্যাহারের পর সকাল থেকে
ট্রেন চলাচল শুরু হলেও সিডিউল বিপর্যয়ে যাত্রী ভোগান্তি চরমে। ঘন্টার পর
ঘন্টা ট্রেনের অপেক্ষায় স্টেশনে থাকা যাত্রীরা দুর্ভোগে পড়েছেন নারী, শিশু
এবং বয়োবৃদ্ধদের নিয়ে।
ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম, লাকসাম জংশন থেকে নোয়াখালী
এবং লাকসাম জংশন থেকে চাঁদপুর রেলপথে কুমিল্লার ১৫ টি স্টেশনে গন্তব্যে
পৌঁছার অপেক্ষায় রেলযাত্রীরা। ঢাকা ও চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে আসা কুমিল্লায়
যাত্রা বিরতি করা এমন চারটি ট্রেনের সিডিউল বিপর্যয় ঘটেছে প্রায় দুই থেকে
আড়াই ঘণ্টা সময়ের উপরে।
রেল সূত্রে জানা যায়, কর্মবিরতি প্রত্যাহারের পর
ট্রেন চলাচলের প্রথম দিন হওয়ায় একের পর এক এ সিডিউল বিপর্যয়ের মূল কারণ
হতে পারে। সিডিউল বিপর্যয়ের কারণে নোয়াখালী থেকে ঢাকাগামী উপকূল এক্সপ্রেস
৪০ মিনিট, চট্টগ্রাম থেকে ঢাকাগামী চট্টলা দুই ঘণ্টা ১৯ মিনিট, চট্টগ্রাম
থেকে সিলেটগামী পাহাড়িকা ২ ঘন্টা এবং ঢাকা থেকে চট্টগ্রামগামী মহানগর
প্রভাতী ১ ঘন্টা ২৫ মিনিট সময় দেরিতে এসে কুমিল্লায় যাত্রা বিরতি করে।
ট্রেন
চলাচল শুরুর সংবাদ শুনে পরিবার নিয়ে ঢাকায় যাওয়ার উদ্দেশ্যে কুমিল্লা
স্টেশনে আসেন আল আমিন হোসেন। চট্রগ্রাম থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী চট্টলা
এক্সপ্রেস ট্রেন সকাল ১০টা ২০ মিনিটের সময় যাত্রা বিরতি করার কথাছিল।
টিকিটও কেটেছেন। সকাল ১০টা থেকে তিনি পরিবার নিয়ে স্টেশনে গন্তব্যে পৌছায়
অপেক্ষায়। কিন্তু সেই ট্রেন প্রায় ২ ঘন্টা ১৯ মিনি পর চট্টলা এক্সপ্রেস
ট্রেনটি কুমিল্লায় যাত্রা বিরতি করে। এ প্রায় আড়াই ঘন্টা সময় ধরে চরম
ভোগান্তিতে পড়েন তিনি।
ট্রেনের সূচি বিপর্যয়ে ভোগান্তির কথা জানিয়ে
পাহাড়িকা এক্সপ্রেসের যাত্রী আরিফুর রহমান। সিলিটে জরুরি কাজ আছে। দুদিন
আগে টিকিট কেটেছেন। নির্দিষ্ট সময় থেকে বসে আছেন স্টেশনে। তিনি বলেন, আদৌ
যেতে পারবেন কি না সিলেটে, তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় ছিলেন তিনি। মধ্যরাতের পর
কর্মবিরতি প্রত্যাহারের খবর শুনেছেন। এরপর ভোরে তাড়াহুড়ো করে প্রস্তুতি
নিয়ে স্টেশনে চলে আসেন। কিন্তু এসে দেখেন, ট্রেন ঠিক সময়তো দূরের কথা
কুমিল্লায় ট্রেন আসার খবরই নেই।
কুমিল্লা রেলওয়ে স্টেশনের স্টেশন
মাস্টার আনোয়ার হোসেন বলেন, আগামীকাল থেকে এই শিডিউল বিপর্যয় অনেকাংশ কমে
যাবে। কারণ মঙ্গলবার দিনভর চলা রেলওয়ে রানিং স্টাফদের কর্মবিরতির একটু
প্রভাব পড়েছে বুধবার। কুমিল্লা স্টেশনগুলোতে যাত্রীর চাপও রয়েছে ব্যাপক।
তাদের ভোগান্তি আগামীকাল থেকে থাকবে না।