হোমনা
প্রতিনিধি: ইতালি পাঠানোর প্রলোভন দেখিয়ে কুমিল্লা জেলার হোমনা উপজেলার
চার তরুণকে লিবিয়া নিয়ে মাফিয়া চক্রের হাতে তুলে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে এক
দালালের বিরুদ্ধে। ভুক্তভোগী পরিবারের অভিযোগ উপজেলার গোয়ারীভাঙ্গা
গ্রামের মৃত বাচ্চু মিয়ার ছেলে লিবিয়া প্রবাসি আক্তার হোসেন তার স্ত্রী
পিয়ারা বেগমের মাধ্যমে ১৩ লাখ টাকার বিনিময়ে লিবিয়া নিয়ে ইতালি পৌছে কাজ
দেয়ার শর্তে লিবিয়া নেয়। কিন্ত আক্তার হোসেন সহ একটি চক্র তাদের
লিবিয়া নিয়ে তাঁদের বন্দি করে রেখে নির্যাতন চালায়। তাঁদের নির্যাতনের
শব্দ, ঘোঙানি ও আর্তচিৎকার মোবাইল ফোনে রেকর্ড করে সেগুলো পাঠানো হচ্ছে
তাদের স্বজনের কাছে। মুক্তিপণ হিসেবে দাবি করা হচ্ছে বড় অঙ্কের টাকা।
এ
ঘটনায় ভুক্তভোগী মো জয় (২৪) এর পিতা মাথাভাঙ্গা ইউনিয়নের ছয়ফুল্লাহ
কান্দি গ্রামের সোহেল মিয়া দালাল চক্রের সদস্য গোয়ারীভাঙ্গা গ্রামের মৃত
বাচ্চু মিয়ার ছেলে মো. আক্তার হোসেনের স্ত্রী পিয়ারা বেগমের বিরুদ্ধে
হোমনা থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।
পরে স্থানীয় ইউপি চেয়ার ম্যান জাহাঙ্গীর
আলম মোল্লা জয়কে দেশে আনার জন্য জয়ের পিতাকে আরো ৮ লাখ টাকা দেবার
রফাদফা হয়। কিন্ত রায়ের সমস্ত টাকা পরিশোধ করার পরও জয়কে দেশে আনতে
গড়িমসি করছে পিয়ারা বেগম। কয়েক দিন যাবৎ জয়ের কোন খোঁজ খবর পাচ্ছে না।
এতে জয়ের পরিবারের মধ্যে হাহাকার বিরাজ করছে।
পিয়ারা বেগম জানান,
লিবিয়া হয়ে ইতালি দেয়ার চুক্তিতে সোহেল মিয়া কাছ থেকে ১৩ লাখ টাকা
নিয়েছি। কিন্ত লিবিয়া যাওয়ার পর সোহেলের ছেলে জয় দালালের খপ্পরে পড়ে। তাই
তাকে দেশে আনতে আরো ৮ লাখ টাকা লাগে। এ টাকা শরিয়তপুরের এক দালালের
মাধ্যমে পাঠানো হয়েছে। আশা করি দ্রুত তারা দেশে ফিরে আসবে। এই বলে ফোন
কেটে দেয।
বিষয়টি উপজেলা আইনশৃঙ্খলা মাসিক সভায় হোমনার প্রেস ক্লাবের
সভাপতি সাংবাদিক আবদুল হক সরকার উপস্থাপন করলে ১ নং মাথাভাঙ্গা ইউনিয়নের
চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম মোল্লা জানান, সোহেল মিয়া পিয়ারা বেগমের বিরুদ্ধে
অভিযোগ করলে উভয় পক্ষের সাথে আলোচনা করে জয় কে দেশে আনার জন্য পিয়ারা
বেগম চেষ্টা করবে টাকা সোহেল দিবে। শুনেছি টাকা পাঠিয়েছে।
এ বিষয়ে ওসি)
মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, বিষয়টি দেশের বাহিরের হওয়ায় ব্যবস্থা নিতে
বিলম্ব হচ্ছে। শুনেছি চেয়ারম্যান সাহেবের মাধ্যমে এর মিমাংশা হয়েছে। না
হলে অবশ্যই আমরা আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।