কুমিল্লায়
দুদকের চেয়ারম্যান ড. আবদুল মোমেন বলেছেন, ৫ আগস্টের মত বিভিন্ন সময় যে
আন্দোলন সৃষ্টি হয় তার কারণ হলো সমাজে আমরা এক ধরনের অবিচার লালন করি। আর
প্রত্যেকটি অবিচারের বীজ হল দুর্নীতি।আমাদের সবার আকাঙ্খা ন্যায় বিচার
ভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠা করতে প্রয়োজন দুর্নীতি প্রতিরোধ এবং দুর্নীতি
প্রতিরোধের স্বদিচ্ছা।
তিনি বুধবার কুমিল্লায় দূর্নীতি দমন কমিশনের ১৭০
তম গণশুনানির উদ্বোধনী অধিবেশনে একথা বলেন। এসময় আরও বক্তব্য রাখেন দুদকের
কমিশনার (তদন্ত) মিঞা মুহাম্মদ আলি আকবার আজিজী, কমিশনার (অনুসন্ধান)
ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) হাফিজ আহ্সান ফরিদ, এসজিপি, এনডিসি, পিএসসি।
গণশুনানিতে
কুমিল্লা পূবালী ব্যাংকের প্রধান শাখার ম্যানেজারের বিরুদ্ধে মামলা গ্রহন,
দুই পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে ভেরিফিকেশনের নামে উৎকোচ গ্রহন, ভূমি অফিসের
কর্মকর্তা কর্মচারীদের বিরুদ্ধে অনিয়ম করে টাকা নেয়া, অনিয়ম করে বাখরাবাদ
গ্যাস সিস্টেমসের গ্যাস সংযোগ দেয়া, ভুয়া বিদ্যুতের বিল সংক্রান্ত গ্রাহক
হয়রানি, হাসপাতালে সিটের বিনিময়ে অতিরিক্ত টাকা গ্রহণের মত স্পর্শকাতর
অভিযোগের শুনানি করা হয়। এসময় দুদকের কর্মকর্তাগণ অভিযোগশুনে বিভিন্ন
সিদ্ধান্ত দেন।
দুদক চেয়ারম্যান আরো বলেন- দুর্নীতি দমন কমিশনে যারা কাজ
করছে তারা দুর্নীতিগ্রস্ত কিনা সে বিষয়টি সবাই খেয়াল রাখার আহ্বান জানিয়ে
দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যান আরো বলেন, আপনারা এটি যদি নিশ্চিত করতে
পারেন যারা দুর্নীতি দমন কমিশনে কাজ করছেন তারা দুর্নীতিগ্রস্ত নয় তাহলে
দুর্নীতি দমনে বেশ খানিকটা অগ্রগতি হচ্ছে।
দুর্নীতি দমনের প্রধান সঙ্কট
সেবাদাতাকে নিয়ে উল্লেখ করে দুদক চেয়ারম্যান আরো বলেন, সেবা গ্রহীতার ভলো
সেবা পাবার প্রত্যাশা থাকতেই পারে। সেবা দাতা যারা তারা যদি ক্ষমতা
অপব্যবহার না করে ক্ষমতাকে দায়িত্ব মনে করি তাহলে ন্যায় ভিত্তিক সমাজ
প্রতিষ্ঠা করা যাবে।
অন্তর্র্বতীকালীন সরকারের দায়িত্ব গ্রহণের পর
রাজধানীর বাইরে জেলা পর্যায়ে দুদকের এটি প্রথম গণশুনানি। শুনানীতে ৪টি বুথে
সেবা বঞ্চিত জনসাধারণের ১২১ টি অভিযোগ উত্থাপিত হয়।এর মধ্যে থেকে ৪০ টি
অভিযোগ বাছাই করে গণ শুনানিতে উপস্থাপিত হয়।
গণশুনানিতে বাখরাবাদ গ্যাস
সিস্টেমস লিমিটেড, বিদ্যুৎ বিভাগ, জেলা সদর হাসপাতাল, জোনাল সেটেলমেন্ট
অফিস, জেলা পুলিশ, মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস, জেলা সাব
রেজিষ্ট্রি অফিস, ভূমি অফিস, সিটি কর্পোরেশনসহ বিভিন্ন দপ্তরের বিরুদ্ধে
সাধারণ সেবা গ্রাহকদের বিভিন্ন অভিযোগের প্রেক্ষিতে গণ শুনানি করা হয়।