তানভীর দিপু: কুমিল্লা এলজিইডি’র নির্বাহী প্রকৌশলীর গাড়ি অফিসের করিডোর পার্কিং থেকে চুরি করে নিয়ে যাওয়ার সময় গাড়িসহ এক যুবককে আটক করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় এলজিইডি কার্যালয় থেকে এই গাড়ি চুরির ঘটনা ঘটে।
আটক যুবকের নাম মারুফ হোসেন। সে কুমিল্লা নগরীর কাটাবিল এলাকার গদার মা কলোনির মৃত নুরুল ইসলামের ছেলে। পরে তাকে কোতয়ালী থানা পুলিশকে সোপর্দ করেন অফিসের কর্মকর্তা কর্মচারীরা।
এলজিইডি অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা জানায়, আটক মারুফ গাড়ি চুরির পূর্বে এলজিইডি মসজিদে সবার সাথে মাগরিবের নামাজ আদায় করে - তারপরই সে গাড়িটি চুরি করে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। লোকজন উত্তম মধ্যম দিলে সে তার নাম মারুফ বলে জানায়। এছাড়া সুমন নামে আরো একজন ব্যক্তি তার ওস্তাদ বলে সে জানিয়েছে।
সরকারি গাড়িটির চালক মো: রবিউল্লাহ বলেন, মাগরিবের নামাজের পর পর ঘটনা। এলজিডি নির্বাহী প্রকৌশলী স্যারের পাজারো স্পোর্টস গাড়িটি অফিস ভবনের করিডোরে রেখে আমি পাশেই চা খেতে গিয়েছিলাম। এরই মধ্যে ফোন পেয়ে থেকে দৌড়ে গিয়ে দেখি মুখোমুখি দুটো গাড়ি দাঁড় করানো। একজনের ঠিকাদারের গাড়িটি সামনে না পড়লে চোর গাড়িটি নিয়ে যেত।
চালক রবিউল্লাহ দাবি করেন, পাজেরো স্পোর্টস ঢাকা মেট্রো- ১৩- ৯৭৩০ গাড়ির চাবিটি তার সাথেই ছিল। চোর অন্য কোন কৌশলে গাড়িটি চুরি করে চালু করে।
প্রত্যক্ষদর্শী এলজিইডির ঠিকাদার মোঃ মাহবুবুল আলম সরকার জানান, এলজিইডি কার্যালয় একটি কাজে আসছিলাম। এলজিইডি সড়কে ঢুকতেই এক্সইএনের গাড়িটির মুখোমুখি হয় আমার গাড়ি। এর মধ্যেই কে যেন পেছন থেকে গাড়ি চোর বলে চিৎকার দেয়। তারপরই আমরা তাকে আটকাই।
মাহবুবুল আলম বলেন, এত নিরাপদ একটি জায়গা থেকে সরকারি দামি গাড়ি চুরি করে নিয়ে যাবার দুঃসাহস দেখে অবাক হচ্ছি।
এলজিইডি মসজিদে কর্মরত আবদুল আলীম জানান, আমি নামাজ পড়া ফাঁকে দেখেছি ওই ছেলে মসজিদের কোরআন শরীফে চুমু খেয়ে বের হচ্ছিলো।
এ সময় এলজিইডি কার্যালয়ে নিরাপত্তার কাজে নিয়োজিত থাকা আনসার সদস্য রফিকুল জানান, সারাদিনই অনেক গাড়ি আসা-যাওয়া করে। আমরা কাউকে থামিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ কিংবা চেক করি না। স্যারের গাড়িও বেশ কয়েকবার আসা যাওয়া। তাই স্যারের গাড়িও যখন যাচ্ছিলো তখনও জিজ্ঞাসা করা হয়নি।
সরকারি গাড়ি অফিস থেকে চুরির চেষ্টায় নিরাপত্তার কোনো ঘাটতি আছে কিনা এমন প্রশ্নে এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ আব্দুল মতিন জানান, আমি বৃহস্পতিবার সারাদিন কোথাও বের হইনি। গাড়ি অফিসেই ছিল। চোরকে পুলিশে দেওয়া হয়েছে তারা ব্যবস্থা নিবে।
কোতোয়ালি থানার ওসি মোঃ মহিনুল ইসলাম জানান, এলজিইডি অফিসের লোকজন এক গাড়ি চোরকে ধরে আমাদের কাছে দিয়েছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।