বুধবার ৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
২৩ মাঘ ১৪৩১
শ্রীলঙ্কা পারলে আমরা কেন নয়!
ড. মোহাম্মদ আবদুল মজিদ
প্রকাশ: মঙ্গলবার, ৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ১:২৯ এএম আপডেট: ০৪.০২.২০২৫ ১:৫৬ এএম |


 শ্রীলঙ্কা পারলে আমরা কেন নয়! মাত্র দুই তিন বছরের ব্যবধানে দ্বীপরাষ্ট্র শ্রীলঙ্কা যেভাবে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে। ভূ-রাজনৈতিক ভুল সিদ্ধান্তের খেসারত এবং পরিবারতন্ত্রেও আর্থিক কেলেঙ্কারি ও স্বেচ্ছাচারিতার জন্য শতভাগ শিক্ষিতের দেশ শ্রীলঙ্কা সাফল্যের পথ থেকে ছিটকে পড়েছিল। জনরোষ ও গণবিক্ষোভের প্রেক্ষাপটে সেখানে চালিকাশক্তিতে পরিবর্তন আসে। তারা এখন আগের অবস্থায় ফিরছে।...
মাত্র দুই-তিন বছরের ব্যবধানে দ্বীপরাষ্ট্র শ্রীলঙ্কা ঘুরে দাঁড়াচ্ছে। ভূ-রাজনৈতিক ভুল সিদ্ধান্তের খেসারত এবং পরিবারতন্ত্রে, আর্থিক কেলেঙ্কারি ও স্বেচ্ছাচারিতার জন্য শতভাগ শিক্ষিতের দেশ শ্রীলঙ্কা সাফল্যের পথ থেকে ছিটকে পড়েছিল। জনরোষ ও গণবিক্ষোভের প্রেক্ষাপটে সেখানে চালিকাশক্তিতে পরিবর্তন আসে। তারা এখন আগের অবস্থায় ফিরছে। গেল শতাব্দীর ৫০-এর দশকে জাপান যেমন দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে পর্যুদস্ত অবস্থা থেকে মাত্র ১০ বছরের অবসরে যুদ্ধ-পূর্ববর্তী অবস্থায় ফিরতে শুধু সক্ষমই হয়নি, পরের দশকগুলোতে দাপটের সঙ্গে অগ্রগামী জাপানি অর্থনীতি। সেই জাপানে ৮০ দশকের বাবল বা বেলুন অর্থনীতি ৯০-এর প্রথম দিকে ফেটে যায়। তখন অনেক চ্যালেঞ্জ এবং করণীয় জাপানের সামনে উপস্থিত হয়। প্রথমে দেখা গেল যেসব ব্যাংক ক্ষুদ্র-মাঝারি ঘরবাড়ি নির্মাণ কোম্পানিকে জমি কেনা ও বাড়ি বানানোয় ঋণ দিত, তারা দারুণ দুর্গতির সম্মুখীন হয়। অর্থনৈতিক মন্দা এবং করপোরেট দেউলিয়াত্বের কারণে ব্যাংকগুলোর কুঋণের পরিমাণ হুহু করে বাড়ে এবং জমি ও শেয়ার স্টকের দাম পড়ে যাওয়ায় ব্যাংকগুলোর ব্যালেন্সশিটে তার প্রভাব পড়ে। 
জাপানি ব্যাংকগুলো সাধারণত জমিকে বন্ধক হিসেবে গ্রহণ করত এবং পারস্পরিক ভিত্তিতে স্টক ব্যবসা করত- এমতাবস্থায় তারা বেশ বিপাকে পড়ে যায়। নন পারফর্মিং কুঋণের লোনের পরিমাণ বেড়ে যাওয়ায় ব্যাংকগুলো বিআইএস ক্যাপিটাল মেশিনারি রিকোয়ারমেন্ট রেশিও মেইনটেন্যান্সে সমস্যায় পড়ে যায়, যেখানে বলা আছে আন্তর্জাতিক ব্যাংক হিসেবে টিকে থাকতে হলে ব্যাংকের ঝুঁকিবহুল সম্পদও সম্পত্তির শতকরা ৮ ভাগ ব্যাংকের পুঁজি হিসেবে থাকতে হবে। যদি কোনো সময় পুঁজির হার শতকরা ৪-এর নিচে নেমে যায়, তাহলে ব্যাংকিং ব্যবসা বন্ধ করে দেওয়ার নিয়ম রয়েছে। ১৯৯৭ সালের শেষ দিকে এসে ব্যাংক ব্যবসায় চরম হতাশার পরিস্থিতি ফুটে ওঠে। যখন হোক্কাইডোর তাকুশোকি ব্যাংক এবং ইয়ামাইসি সিকিউরিটিজের মতো প্রতিষ্ঠান দেউলিয়া হয়ে পড়ে তখন সমস্যার বাস্তবতা আরও প্রকাশ পেল। ঝুঁকিযুক্ত সম্পদের পরিমাণ কমিয়ে ব্যাংকগুলো বিআইএস রেশিও কমানোর প্রচেষ্টা শুরু করল।
 তারা ক্ষুদ্র ও মাঝারি প্রতিষ্ঠানকে ঋণ দেওয়া কমিয়ে দিল, ফলে ঋণ সংকোচনের কারণে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড হ্রাস পেয়ে ঋণ পরিশোধের সক্ষমতা আরও হারিয়ে ফেলল খেলাপিরা। ব্যাংকের সহায় সম্পদে আরও ঘাটতি হতে লাগল। এই দারুণ ঘূর্ণায়মান চক্রে ১৯৯৭-৯৮-এ জাপানি ব্যাংকগুলোর বিশ্বাসযোগ্যতা কমে যায় এবং আন্তর্জাতিক বাজারে জাপান প্রিমিয়াম প্রকৃতির ধারকর্জের প্রবণতা শুরু হয়ে যায়। জনগণ উৎকণ্ঠায় কাটাতে লাগল এরপর না জানি কোন ব্যাংক ভুট হয়ে যায়। আমানতকারীর ঝুঁকিপূর্ণ থেকে নিরাপদ ব্যাংকে টাকা সরিয়ে নিতে শুরু করল। ১৯৯৭-৯৮ সালের ব্যাংকিং সেক্টরের এই দুর্গতির দিনে তা সামাল দেওয়ার জন্য সরকার ১৯৯৮ সালের অক্টোবরে ফাইন্যান্সিয়াল সুপারভাইজরি এজেসি এবং ডিসেম্বর মাসে ফাইন্যান্সিয়াল কমিশন গঠন করে। এই দুই উদ্যোগ ২০০০ সালে ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস এজেন্সিতে একীভূত হয় যায়। সরকার ৬০ ট্রিলিয়ন ইয়েন (জিডিপির শতকরা ১২ ভাগ) দিয়ে ব্যাংকগুলোকে পুনরুদ্ধারকল্পে একটা বিশেষ তহবিল গঠন করে। এ দিয়ে মন্দ ব্যাংক বন্ধ, দুর্বল ব্যাংককে সবল করা এবং কুঋণের হালহকিকত ঠিক করার কাজে লাগানো হয়। 
ব্যাংক অব জাপান ব্যাপকভাবে লিকুইডিটি সরবরাহ করে ১৯৯৭-৯৮ পরিস্থিতির সামাল দিতে এগিয়ে আসে। তারা কলরেটের সুদের হার শূন্যে নামিয়ে আনল (যেটা কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নিয়ন্ত্রণ ক্ষমতার মধ্যে)। ২০০০ সালের আগস্ট মাস পর্যন্ত ব্যাংক অব জাপান এ ব্যবস্থা বলবৎ রাখে কিন্তু ইতোমধ্যে অর্থনীতিতে জিরো ইন্টারেস্ট রেট দাবি তুঙ্গে ওঠে। অফিশিয়াল ডিসকাউন্ট রেট বেশ নামানো হয় ১৯৯০ সালের ৬ শতাংশ থেকে ১৯৯৩ সালে ১ দশমিক ৭৫ শতাংশ এবং ২০০১ সালে তা শূন্য দশমিক ১০ শতাংশে নামানো হয়।
ব্যাংক অব জাপানও তাদের সাধ্যের শেষ সীমায় পৌঁছে সুদের হার শূন্য করে ফেলে। এমতাবস্থাতেও কোনো কাজ না হওয়ায় প্রণোদনা দেওয়ার মাধ্যমে অর্থনীতিকে চাঙা করার দাবি জোরদার হতে থাকে এবং নিম্নবর্ণিত পদক্ষেপ গ্রহণের পরামর্শ আসে।
অর্থ সরবরাহ বাড়ানো: যেভাবে হোক যত দ্রুত হোক অর্থ সরবরাহ বাড়ানোর ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়। এটা করতে খোলাবাজার থেকে যত প্রকার বন্ড আছে তা কেনা শুরু করে। অতীতে ব্যাংক অব জাপান শুধু সরকারি বন্ড কিনত।
মূল্যস্ফীতির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে দেওয়া: ব্যাংক অব জাপান কয়েক বছরের মূল্যস্ফীতির লক্ষ্যমাত্রা ঘোষণা করে তা অর্জন বা মেনে চলতে বাধ্য থাকে। একই সঙ্গে ব্যাংক অব জাপানই এ ব্যাপারে সরকারের ওপর রাজনৈতিক চাপ সৃষ্টি করে। পল ক্রগমানসহ বিশ্ববরেণ্য অর্থনীতিবিদরা এই ধারণা সমর্থন করেন যে মূল্যস্ফীতির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে দিলে জনগণের মধ্যে ভোগ ও সঞ্চয় সম্পর্কে একটা পূর্বপ্রস্তুতি গ্রহণের চেতনা জাগ্রত হবে এবং পরিকল্পনা সুশৃঙ্খলা আসবে। ব্যাংক অব জাপানের অর্থনীতিবিদসহ অনেকে অবশ্য এর সঙ্গে ভিন্নমত পোষণ করেন। তারা মনে করেন অর্থনীতিতে ধার দেওয়ার এ প্রক্রিয়া স্থিতিশীল কোনো প্রবণতাকে দাঁড়াতে দেবে না। আরও খারাপ হবে পরিস্থিতি স্ফীতির ঘোড়াকে যদি বাগে না আনা যায় তাহলে ক্ষয়ক্ষতি আরও ব্যাপক হবে।
ইয়েনের অবমূল্যায়ন: বলা হলো অধিক অর্থ সরবরাহের সঙ্গে সঙ্গে ইয়েনের দাম যদি কমানো হয় তাহলে জাপানের প্রতিযোগিতামূলক অবস্থানের উন্নতি হবে। বিদেশে ও দেশে চাহিদা সৃষ্টি হবে জাপানি পণ্যের। সরকার ও ব্যাংক অব জাপান মাঝে মধ্যে এ ধারণার বশবর্তী হয়ে ইয়েনের দাম কমানোর পদক্ষেপ ঘোষণা করে। তাতে সাময়িকভাবে কিছু কাজ হয়। তবে এটা প্রণিধানযোগ্য যে মুদ্রার মান অবনমন হচ্ছে ভিক্ষুকের প্রতিবেশী সখ্যের মতো ট্রেডিং পার্টনারদের সঙ্গে সখ্য বিনষ্ট করার জন্য যথেষ্ট। যদি প্রধান শরিক যুক্তরাষ্ট্র ইয়েনের মান কমানোকে অপছন্দ করে তাহলে এই পদক্ষেপ শেষ। এশীয় শরিকরাও মনঃক্ষুণ্ন হবে। বরং বলা হলো দেখো চায়নাকে। এটা ধ্রুব সত্য যে, মুদ্রার মান কমিয়ে বা নিয়ন্ত্রণ করে স্থায়ী ও কার্যকর সমাধানের পথ কোনো অর্থনীতিই এ পর্যন্ত খুঁজে পায়নি।
ফিসকাল পলিসি: সরকারের দেনার পাহাড় বেড়েই চলে। ২০০৪ অর্থবছরের (মার্চ ২০০৫) শেষে দেখা গেল বকেয়া সরকারি ঋণের পরিমাণ ৭৮২ ট্রিলিয়ন-জিডিপির শতকরা ১৫৫ ভাগ। এগুলো বাড়ছে-বিভিন্ন সংস্থা ব্যাংককে ভর্তুকি কিংবা কোরামিন ট্যাবলেট খাওয়ানোর জন্য। বড় বড় ব্রিজ, রোড, সিনকানসেনের লাইন বাড়িয়ে টাকা ঢালা হচ্ছে অর্থনীতিতে। ঋণ বাড়ছে। আয় নেই। এসব বড় খরচের রিটার্নসহ যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। সরকার একদিকে প্রণোদনা দিয়ে ডুবন্ত শিল্প ব্যবসা-বাণিজ্যকে তীরে আনতে টাকা ঢালে, অন্যদিকে পাবলিক ডেটের মাত্রা বেড়ে সরকারের পরিশোধ ক্ষমতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করে তুলে। ক্ষমতাসীন সরকার (এলডিপি) পল্লি ভোটারদের খুশি রাখতে বরাবর আগ্রহী তারা এ জাতীয় ব্যয়ে অভ্যস্ত কিন্তু অর্থনীতির স্বাভাবিক গতি ও দাবি তা গ্রহণযোগ্য মনে করে না। ফলে জাপানকে সে সময় আইএমএফের অনুশাসন মানার মতো পরিস্থিতি সৃষ্টি হয় বাজেটীয় নিয়ন্ত্রণের প্রশ্নে। কিন্তু জাপান আইএমএফের অনুশাসন মানতে বাধ্য ছিল না- কেননা তার রিজার্ভ প্রচুর দেশে-বিদেশে ছিল অঢেল সম্পদ ও স্টক। সুতরাং সরকার অর্থনীতিকে চাঙা করা স্বার্থে ফিসকাল পলিসিতে যা যা করা সমীচীন মনে করবে তা করতে পারবে। 
জাপানি উদ্যোক্তাদের সামনে করণীয়: জাপান ঐতিহ্যগতভাবে নিখুঁত সামগ্রী উৎপাদনে এবং দক্ষতা ধরে রাখা জীবনব্যাপী চাকরি সূত্রে কর্মী পোষণের পক্ষপাতী। ট্র্যাডিশনাল ও ইনটেগরিটি মেথড। পক্ষান্তরে যুক্তরাষ্ট্র ও দীন মডুলার মেথডে বিশ্বাসী- যখন যেমন প্রয়োজন তখন তেমন উৎপাদন-স্থাপত্য পরিবর্তন তাদের কাছে ডালভাত- চীনে শ্রমবাজার সস্তা সে কারণে সস্তা সামগ্রী সেখানে উৎপাদিত হচ্ছে দেদার। জাপান যেন সেদিকে না ঝুঁকে পড়ে অর্থাৎ সস্তায় বিকানোর জন্য অনিখুঁত সামগ্রী উৎপাদনের মধ্যে ঝাঁপিয়ে না পড়ে। 
জাপানের উৎপাদকরা এক কাতারের নন, তাদের অভ্যন্তরেও ওঠানামা অগ্রপশ্চাদপদতা আছে। ঢালাওভাবে সবাইকে খারাপ বা খুব ভালো বলা ঠিক হবে না, তাদের ভেতরের দুর্বলতা বা সীমাবদ্ধতাগুলো নিরসনে প্রয়োজনীয় সহায়তা বা পদক্ষেপ নেওয়া সমীচীন হবে। কিন্তু বাইরের চাপে বা লোভে জাপানের অভ্যন্তরস্থ ট্র্যাডিশনালও ইন্টাগরেশনাল সক্ষমতাকে দুর্বল বা এড়িয়ে যাওয়া যাবে না বলে সতর্কবার্তা এল। বলা হলো, এগুলোকে বরং জোরদার করতে হবে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধোত্তরকালে জাপানি উৎপাদন ও শিল্প বিকাশে যে ধ্রুপদি পদক্ষেপ গৃহীত হয়েছিল তাকে ধরে রাখাই সংগত সাব্যস্ত হলো। সময়ের অবসরে সবার উপলব্ধিতে সমস্যা থেকে উত্তরণে যেনতেনভাবে নিজের স্টান্ট থেকে সরে যাওয়ার প্রবণতা এড়িয়ে চলতে হবে সচেতন সজাগ্রতায়।
লেখক: স্বয়ম্ভর উন্নয়ন অর্থনীতির বিশ্লেষক












সর্বশেষ সংবাদ
অর্ধলক্ষাধিক বইয়ের সমাহার কুমিল্লার গণগ্রন্থাগারে
চৌদ্দগ্রামে যুবককে পিটিয়ে হত্যা
কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের ফোন নাম্বার হ্যাক
জামায়াত নেতা মাহবুবর রহমানের মায়ের ইন্তেকাল
ব্রাহ্মণপাড়ায় বিজিবি অভিযানে গাঁজাসহ মাদক কারবারি গ্রেপ্তার
আরো খবর ⇒
সর্বাধিক পঠিত
সৌদি আরবে সড়ক দুর্ঘটনায় কুমিল্লার এক যুবক নিহত
কুমিল্লায় একদিনে তিন লাশ উদ্ধার
চৌদ্দগ্রামে যুবককে পিটিয়ে হত্যা
যুবদল নেতা তৌহিদুল ইসলাম স্মরণে শোক সভা
কাউকে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির সুযোগ দেওয়া যাবে না
Follow Us
সম্পাদক ও প্রকাশক : মোহাম্মদ আবুল কাশেম হৃদয় (আবুল কাশেম হৃদয়)
বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ১২২ অধ্যক্ষ আবদুর রউফ ভবন, কুমিল্লা টাউন হল গেইটের বিপরিতে, কান্দিরপাড়, কুমিল্লা ৩৫০০। বাংলাদেশ।
ফোন +৮৮ ০৮১ ৬৭১১৯, +৮৮০ ১৭১১ ১৫২ ৪৪৩, +৮৮ ০১৭১১ ৯৯৭৯৬৯, +৮৮ ০১৯৭৯ ১৫২৪৪৩, ই মেইল: [email protected]
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত, কুমিল্লার কাগজ ২০০৪ - ২০২২