বাংলাদেশ
জাতীয় নারী ফুটবল দলের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড় মাতসুসিমা সুমাইয়া।
তিনি আজ (মঙ্গলবার) একটি ফেসবুক স্ট্যাটাসে গত কয়েকদিন ধর্ষণ ও হত্যার
হুমকি পাওয়ার কথা জানিয়েছেন। যা নিয়ে বেশ ট্রমার মধ্য দিয়ে যাচ্ছেন
সুমাইয়া। কোচ পিটার বাটলারকে ১৮ জন নারী ফুটবলার বয়কট করেছেন। এ নিয়ে
বাফুফে সভাপতি তাবিথ আউয়ালের কাছে ইংরেজি চিঠি লেখার পর থেকেই এমন আক্রমণের
শিকার হচ্ছেন তিনি।
সুমাইয়ার এই স্ট্যাটাসের পর ক্রীড়াঙ্গনে ঝড় উঠেছে।
বেশ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন নাগরিক সমাজও। সুমাইয়ার স্ট্যাটাসের ঘণ্টা
ছয়েক পর বাফুফে আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া দিয়েছে। মিডিয়া ম্যানেজার সাদমান
সাকিব প্রেরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে সুমাইয়াকে দেওয়া হুমকির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা
নেবে বলে উল্লেখ রয়েছে বাফুফে।
সুমাইয়াকে নিয়ে বাফুফের বিবৃতিতে বলা
হয়, ‘বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন জাতীয় নারী ফুটবল দলের খেলোয়াড় মাতসুসিমা
সুমাইয়াকে লক্ষ্য করে হুমকি ও হয়রানির তীব্র নিন্দা জানিয়েছে। বাফুফে
দায়ীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে এবং কর্তৃপক্ষকে অবিলম্বে যথাযথ
ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছে। কোনো ক্রীড়াবিদকে তাদের দেশের
প্রতিনিধিত্ব করার জন্য অপব্যবহারের সম্মুখীন হতে হবে না। বাফুফে তার
খেলোয়াড়দের সুরক্ষা এবং তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’
সুমাইয়া
বাফুফের এই বিবৃতিকে ইতিবাচক হিসেবে দেখলেও তার সতীর্থদের জন্যও এমন
উদ্যোগের প্রত্যাশা করেছেন তিনি, ‘শুধু আমার জন্য কেন? আমার সতীর্থদের জন্য
কেন নয়, তারাও একই রকম পরিস্থিতির শিকার হচ্ছে।’
বাফুফে এখনও কোনো
থানায় জিডি বা আইনি পদক্ষেপ নেয়নি। সমালোচনা এড়াতে শুধু বিবৃতিতেই
সীমাবদ্ধ, নাকি সামনে আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো আইনী পদক্ষেপ গ্রহণ করে সেটাই
দেখার বিষয়। নারী ফুটবলাররা কোচের বিপক্ষে বিদ্রোহ ঘোষণার পর থেকে সামাজিক
মাধ্যমে ব্যক্তিগত আক্রমণের শিকার হচ্ছেন। অনেক কুরুচিপূর্ণ মন্তব্যও আসছে
সামাজিক মাধ্যমে, যা নারী ফুটবলের সংকট আরও ঘনীভূত করছে। সাধারণ
ফুটবলপ্রেমীদের উদ্দেশ্যে এ নিয়ে একটি বিবৃতির প্রয়োজন থাকলেও, তা যেন
বাফুফের কাছে এখনও নিষ্প্রয়োজনীয় বিষয়!