কুমিল্লা
বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) ভর্তি পরীক্ষার আবেদনে জিপিএ'র ওপর নম্বর কমানো এবং
পোষ্য কোটা সংস্কারের দাবিতে উপাচার্য বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেছে
শিক্ষার্থীরা। বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) এ স্মারকলিপি প্রদান করেন
বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীদের একটি দল।
স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা
হয়– ভর্তি পরীক্ষায় জিপিএ'র ওপর নম্বর ৫০ রাখা হয়েছে যা কমিয়ে ২০ এ আনা
প্রয়োজন এবং বিজ্ঞান বিভাগে আবেদনের যোগ্যতা ৮.০০ থেকে কমিয়ে ৭.০০ করা
প্রয়োজন।
এছাড়া, কোটার সিট প্রতিবছর ফাঁকা থাকে তাই মোট সিটের সাথে তা
একিভূত করা, এক বিভাগে পোষ্য কোটায় একটি সিট রাখা এবং তৃতীয় লিঙ্গ, ক্ষুদ্র
নৃগোষ্ঠী ও প্রতিবন্ধীদের জন্য আলাদা কোটা রাখার বিষয় উল্লেখ করা হয়েছে।
এবিষয়ে
গণিত বিভাগের শিক্ষার্থী মোঃ হান্নান রাহিম বলেন, 'কুমিল্লা
বিশ্ববিদ্যালয়ের আবেদনে জিপিএ এর জন্য ৫০ নম্বর রাখা হয়েছে। সাধারণ
শিক্ষার্থী এবং ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের দাবির প্রেক্ষিতে ২০ নাম্বার নিয়ে
আসার জন্য স্মারকলিপি দেওয়া হয়েছে, সাথে সাথে স্মারকলিপিতে কোটাকে মূল
সিটের সাথে একিভূত করা, তৃতীয় লিঙ্গ ও শারীরিক প্রতিবন্ধীদের জন্য আলাদা
কোটা সিস্টেম রাখা এবং পোষ্য কোটার সংস্কারের দাবি জানানো হয়। আর কোটার সিট
খালি থাকার সাপেক্ষে অ-কোটাধারীদেরকে এই কোটার সিটের জন্য মূল্যায়নে নিয়ে
আসা কথাও বলা হয়েছে।'
এবিষয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ হায়দার আলী বলেন,
'আমরা শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের প্রেক্ষিতে গুচ্ছ থেকে বের হয়ে আসি। তাদের
দাবির প্রেক্ষিতে আমরা গুচ্ছ থেকে বের হই। জিপিএ মার্ক বেশি থাকলে তো ভালো
শিক্ষার্থীরাই আসবে। স্মারকলিপিতে কোটার ব্যাপার উল্লেখ আছে এটা আমরা ভেবে
দেখবো।'