ছাত্র-জনতার
তীব্র গণআন্দোলনে ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সামাজিক
যোগাযোগ মাধ্যমে বক্তব্য দেওয়ার প্রতিবাদে কুমিল্লায় তাৎক্ষণিক মিছিল ও
সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করেছে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন। রাত ৯টায় কান্দিরপাড়ে
মিছিল করে ছাত্ররা। বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের পূর্ণঘোষণা মতে, রাত ৯টা সাত
মিনিটে ফেসবুকে বক্তব্য রাখেন শেখ হাসিনা। কুমিল্লা টাউন থেকে রাত ৯টা১১
মিনিট মিছিল বের করে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন।
মিছিলে নেতৃত্ব দেন
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন ,কুমিল্লা মহানগরের আহ্বায়ক আবু রায়হান।
মিছিলে উপস্থিত ছিলেন আন্দোলনের মুখপাত্র জাবেদ আহাম্মেদ ভুইয়া,মুখ্য সংগঠক
মোস্তফা জিহান এবং যুগ্ন আহ্বায়ক ওহি তাজওয়ার আরো উপস্থিত ছিলো নাগরিক
কমিটির সদস্যবৃন্দ।
এসময় গণহত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেফতার ও বিচার দাবি
করে বক্তব্য দেন নেতারা। এছাড়া নানা শ্লোগানে বিচারে দাবিতে প্রকম্পিত হয়
কান্দিরপাড়ের পূবালী চত্বর। এসময় তারা নানা শ্লোগানে বলেন, ফাঁসি ফাঁসি
ফাঁসি চাই, খুনি হাসিনার ফাঁসি চাই। ‘রশি লাগলে রশি নে, হাসিনারে ফাঁসি দে।
আমার ভাই কবরে, খুনি কেন বাহিরে’, ‘জাস্টিস জাস্টিস, উই ওয়ান্ট জাস্টিস’,
বিচার চাই বিচার চাই, ভাই হত্যার বিচার চাই। বাপ জ্বি মিল্লা, দেশটা খাইছে
গিল্লা। জেগেছেরে জেগেছে, ছাত্র সমাজ জেগেছে, লেগেছেরে লেগেছে, রক্তে আগুন
লেগেছে।
টাউনহল থেকে মিছিল বের হয়ে পূবালী চত্বরে গিয়ে সমাবেশ করে
ছাত্ররা। বক্তব্যে কুমিল্লা মহানগরের আহ্বায়ক আবু রায়হান বলেন, হাসিনা
হাজার মানুষ হত্যা করেছে। ভারতে বসে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে চক্রান্ত করছে।
ছাত্রলীগ, আওয়ামীলীগ কর্মীদের যেখানে পাবেন, পুলিশের হাতে তুলে দিবেন।