ভৈরব
থেকে এসেছেন ওমর নামে ফরচুন বরিশালের এক ভক্ত। স্টেডিয়াম সংলগ্ন সুইমিংপুল
এলাকা থেকে চারশ টাকার টিকিট কিনেছেন ১৫০০ টাকা দিয়ে। কিন্তু প্রবেশ করতে
গিয়ে পারেননি, স্ক্যানে ধরা পড়ে জাল টিকিট।
শুক্রবার (৭ জানুয়ারি)
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের ফাইনালে দেখতে গিয়ে এমন ঘটনার সাক্ষী হওয়ার পর
চার নাম্বার গেটের সামনে কাঁদছিলেন ওমর। তাকে ঘিরে রয়েছে উৎসুক জনতা। কেউ
কেউ এসে স্ক্যান করছেন, এ প্রশ্ন ও প্রশ্ন জিজ্ঞেষ করছেন। হতাশার সঙ্গে
উত্তরও দিচ্ছিলেন সব ওমর।
রাইজিংবিডিকে ওমর বলেন, “আমি ভৈরব থেকে এসে
এখানের একজনের কাছ থেকে টিকিট কিনি। কিন্তু ঢুকতে গিয়ে পারিনি। স্ক্যান করে
আমাকে বের করে দেয়। এখন আমার চলে যাওয়া ছাড়া কোনো উপায় নেই। চারগুণ টাকা
খরচ করেছি। আসা যাওয়ার ভাড়াও লস।”
ওমর যখন জাল টিকিট নিয়ে চেঁচামেচি
করছিলেন তখন আরও চারজন আসেন জাল টিকিট হাতে। তাদের মধ্যে একজন সাভারের
তরিকুল ইসলাম। চাকরিসূত্রে থাকেন রাজধানীর শ্যামলীতে। গতকাল সন্ধ্যায় তারা
১০টি টিকিট কেনেন। তার মধ্যে ৩টি ছিল জাল।
রাইজিংবিডিকে তরিকুল বলেন,
“আমরা ১০টা টিকিট কিনি। প্রতিটির দাম ১৫০০ টাকা। ৬ জন ঢুকতে পেরেছে, আমরা
চারজন ঢুকতে গিয়ে পারিনি। এভাবে ঠকলাম, বুঝতেও পারিনি।”
তরিকুল প্রশ্ন
তোলেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডসহ (বিসিবি) আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি, “আগে
ব্ল্যাক হতো, এখনও হচ্ছে। অনলাইনে ছাড়ার পর টিকিট জাল করে বিক্রি হচ্ছে।
আমরা বাধ্য হয়ে কিনেছি। আমরা যাব কোথায়?”
সন্ধ্যা ৬টায় ফাইনালের লড়াইয়ে
মুখোমুখো হবে ফরচুন বরিশাল-চিটাগং কিংস। কিন্তু দুপুরের আগেই মিরপুর
শের-ই-বাংলা এলাকা লোকে লোকারণ্য হয়ে যায়। এদিকে টিকিট ছাড়া প্রধান ফটক
সংলগ্ন রাস্তায় কাউকে ঢুকতে দিচ্ছে না সেনাবাহীনী।