বুধবার ১২ মার্চ ২০২৫
২৮ ফাল্গুন ১৪৩১
খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতে যেসব পদক্ষেপ নিলো সরকার
প্রকাশ: সোমবার, ১০ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ১:৩৩ এএম |



খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে সরকার নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করছে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। রোববার (৯ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর বেইলি রোডের ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা জানান।
শফিকুল আলম জানান, অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ রোববার প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠককালে বাংলাদেশের অর্থনীতি: সাম্প্রতিক চ্যালেঞ্জ এবং ভবিষ্যৎ করণীয় বিভিন্ন তথ্য তুলে ধরেন।
খাদ্য নিরাপত্তার বর্তমান পরিস্থিতি এবং গৃহীত পদক্ষেপ তুলে ধরে বলা হয়, চলতি অর্থবছরে দুই দফা ভয়াবহ বন্যায় ফসলের ক্ষতি হওয়ায় আউশ ও আমনের উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে যথাক্রমে ৯ দশমিক ৫৫ লাখ এবং ৩.৫৮ লাখ মেট্রিক টন কম হয়েছে। সরকারি পর্যায়ে খাদ্যশস্যের মোট কার্যকরী মজুত সক্ষমতা ২১ লাখ ৩৪ হাজার ৫৩৮মেট্রিক টন। তবে বর্তমানে খাদ্যশস্যের মজুত রয়েছে প্রায় ১৩ লাখ মেট্রিক টন যা বিগত অর্থবছরের তুলনায় ২৩ দশমিক৬ শতাংশ কম।
গৃহীত পদক্ষেপ তুলে ধরে বলা হয় মজুত ও সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে চলতি অর্থবছরে আরও ৯ লাখ মেট্রিক টন খাদ্যশস্য আমদানির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ইউরিয়া সার এর বাসার স্টক প্রায় ৮ লাখ মেট্রিক টনে উন্নীত করা হয়েছে যা আগামী মার্চ মাস পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে।
সারের মূল্য স্থিতিশীল রাখার লক্ষ্যে ভর্তুকি দেওয়া অব্যাহত রয়েছে। চলতি অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটে এ বাবদ ২৮ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে।
খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি বাবদ চলতি অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটে ৮ হাজার ৫৯ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে। মূলত ওএমএস, টিসিবি খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি সারা বছর চলমান রাখার লক্ষ্যে বর্ধিত হারে বরাদ্দ রাখা হয়েছে।
এছাড়াও অধিকতর খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতে করণীয় সম্পর্কে বলা হয়, কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রকৃত চাষীদের ন্যায্য মূল্যে প্রাপ্তি নিশ্চিত করা, মাঠ পর্যায়ে উৎপাদিত পণ্য সরাসরি ভোক্তার কাছে পৌঁছে দেওয়ার কার্যকর পদ্ধতি দ্রুত খুঁজে বের করা প্রয়োজন। এ ক্ষেত্রে অনলাইন ভিত্তিক প্ল্যাটফর্ম সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম কিংবা অন্যান্য উপায়ে যেসব ব্যবসা সফলভাবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে তা অনুসরণে চাষীদের জন্য একটি ব্যবসা মডেল তৈরি করার বিষয়টি বিবেচনা করা।
চাল, ডাল, তেল, আলু ইত্যাদি নিত্য প্রয়োজনীয় খাদ্যদ্রব্যের বার্ষিক চাহিদা দেওয়ার সঙ্গে বর্তমান মজুতের তুলনাভিত্তিক বিশ্লেষণের মাধ্যমে মধ্যমেয়াদি চাহিদার প্রক্ষেপণ এবং এসব পণ্য সরবরাহের রূপরেখা তৈরি করা।
চাল, আলু, পেঁয়াজসহ কৃষি পণ্যের ক্ষেত্রে উৎপাদন পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে সাময়িক ভিত্তিতে তাৎক্ষণিক শুল্ক হ্রাস/অব্যাহতির বিষয়টি বিবেচনায় নেওয়া।
খাদ্যদ্রব্যের পাশাপাশি কৃষি উৎপাদনের জন্য প্রয়োজনীয় অন্যান্য উপকরণ সরবরাহের রূপরেখাও তৈরি করা। কৃষি ও খাদ্যদ্রব্য মজুত সংরক্ষণে সক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে গুদাম ও হিমাগার এর সংখ্যা বৃদ্ধি করা।












সর্বশেষ সংবাদ
স্ত্রীসহ সাবেক এমপি বাহারের ফ্ল্যাট ও ব্যাংক হিসাব জব্দ
৫ দফা দাবি আদায়ে কুমিল্লায় ইন্টার্ণ চিকিৎসকদের কর্মবিরতি - ভোগান্তিতে রোগী ও স্বজনরা
তাওবা ও ক্ষমা
কুমিল্লায় র‌্যাবের অভিযানে অস্ত্র ও গুলিসহ যুবক গ্রেফতার
কুমিল্লায় বিদেশী পিস্তলসহ দুই ডাকাত গ্রেফতার
আরো খবর ⇒
সর্বাধিক পঠিত
স্ত্রীসহ সাবেক এমপি বাহাউদ্দিনের ফ্ল্যাট ও ব্যাংক হিসাব জব্দ
কুমিল্লায় সর্প দংশনে এক যুবক নিহত
চাঁদাবাজির অভিযোগে দেবিদ্বারের দুই ভুয়া সাংবাদিক খাগড়াছড়িতে গ্রেপ্তার
‘বিয়ের জন্য চাপ দেয়ায় খুন!’ গ্রেপ্তার ২
‘ফারজানা’ কাউন্টারে তালা ঝুলিয়ে বাস চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে বিক্ষুব্ধরা
Follow Us
সম্পাদক ও প্রকাশক : মোহাম্মদ আবুল কাশেম হৃদয় (আবুল কাশেম হৃদয়)
বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ১২২ অধ্যক্ষ আবদুর রউফ ভবন, কুমিল্লা টাউন হল গেইটের বিপরিতে, কান্দিরপাড়, কুমিল্লা ৩৫০০। বাংলাদেশ।
ফোন +৮৮ ০৮১ ৬৭১১৯, +৮৮০ ১৭১১ ১৫২ ৪৪৩, +৮৮ ০১৭১১ ৯৯৭৯৬৯, +৮৮ ০১৯৭৯ ১৫২৪৪৩, ই মেইল: [email protected]
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত, কুমিল্লার কাগজ ২০০৪ - ২০২২