নিজস্ব
প্রতিবেদক: চার বছরে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অনার্স ও
ডিপ্লোমা কোর্স করিয়ে দুটি সনদ দেওয়ার বিষয়ে পরিকল্পনা করা হচ্ছে বলে
জানিয়েছেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিশেষ সহকারী প্রফেসর এম আমিনুল ইসলাম।
রবিবার
(৯ ফেব্রুয়ারি) আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে আন্তর্জাতিক শিক্ষা
দিবস-২০২৫ উপলক্ষ্যে আয়োজিত আলোচনা অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা জানান।
প্রফেসর
আমিনুল ইসলাম বলেন, অসাধারণ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হচ্ছে যে, জাতীয়
বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন ছাত্র-ছাত্রীরা চার বছরের অনার্স কোর্সের মধ্যে
তিনবছর অনার্স পড়াশুনা এবং একবছর ডিপ্লোমা পড়াশুনা করবে। এক্ষেত্রে তাদের
দুটি সার্টিফিকেট দেওয়া হবে। একটি হলো অনার্স ও অন্যটি ডিপ্লোমা
সার্টিফিকেট। আমাদের ভবিষ্যত প্রজন্মের কর্মেক্ষেত্র তৈরির জন্য কারিগরি ও
পলিটেকনিক শিক্ষার ওপর গুরুত্বারোপ করতে হবে।
প্রাথমিক ও মাধ্যমিক
পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের গণিত ও বিজ্ঞানের ওপর জোর দিতে হবে উল্লেখ করে তিনি
বলেন, সমগ্র পৃথিবীজুড়ে এখন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ে হৈচৈ পড়েছে। কৃত্রিম
বুদ্ধিমত্তার উদ্ভাবন ও বহুমাত্রিক প্রয়োগ নিয়ে বিশ্বব্যাপী প্রতিযোগিতা
শুরু হয়েছে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তায় আগামী দিনে বিশ্বকে নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য
আমাদের বিশ্বিবদ্যালয়গুলোকে এআই এর উপযোগী করে গড়ে তুলতে হবে। যেখানে
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ওপর মৌলিক, তাত্ত্বিক ও ব্যবহারিক গবেষণা করে আমাদের
পরবর্তী প্রজন্মকে গড়ে তোলা যায়।
চ্যাটজিপিটি শিক্ষার্থীদের
চিন্তা-চেতনাকে নিয়ন্ত্রণ করছে জানিয়ে তিন বলেন, সাম্প্রতিককালে
ছাত্র-ছাত্রীরা বই পড়া থেকে দূরে চলে এসেছে। তারা বই পড়ে জ্ঞান অর্জন করে
অ্যাসাইনমেন্ট তৈরি ও প্রশ্নের উত্তর প্রদান না করে ছাত্র-ছাত্রীরা চ্যাট
জিপিটির মাধ্যমে অ্যাসাইমেন্ট তৈরি ও প্রশ্নপত্রের উত্তর প্রদানে খুব বেশি
ঝুঁকে পড়েছে। বর্তমানে এমফিল ও পিএইচডির ক্ষেত্রে চ্যাটজিপিটির ভূমিকা
ন্যাক্কারজনক। এসব কারণে আমাদের দেশের উচ্চশিক্ষায় ডিগ্রিধারী বেকারের
সংখ্যা বেড়ে গিয়েছে।