কুমিল্লার
মুরাদনগরে অনাবাদি পতিত জমি ও বসতবাড়ির আঙিনায় ২০২৩-২০২৪ অর্থ বছরে
পারিবারিক পুষ্টি বাগান স্থাপন প্রকল্পের আওতায় উঠান বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। একই
সাথে প্রকল্প কার্যক্রম পরিদর্শন ও ক্ষুদ্র কৃষকদের সাথে মতবিনিময় করেন।
সোমবার
সকালে উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ দপ্তরের আয়োজনে উপজেলার যাত্রাপুর ইউনিয়নের
ছিলমপুর গ্রামে উঠান বৈঠকে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা কৃষি
সম্প্রসারণ কর্মকর্তা কৃষিবিদ মোঃ নুর আলম। কৃষক হুমায়ুন কবীরের সভাপতিত্বে
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন উপ-সহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা মোশারফ
হোসেন সরকার, উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি হাবিবুর রহমান, সাংবাদিক আবুল
কালাম আজাদ ভ্ইুয়া।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে আরো উপ-সহকারী কৃষি
কর্মকর্তা মোঃ সাম মিয়া ও মোসাঃ সীমা আক্তারসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন। একই
সাথে উপজেলার ১৩টি গ্রামের অনাবাদি পতিত জমি ও বসতবাড়ির আঙিনায় পারিবারিক
পুষ্টি বাগান স্থাপন করা হয়। ওঠান বৈঠকে কৃষকদের উন্নয়নে করণীয় সম্পর্কে
বিভিন্ন দিক নির্দেশনা দেওয়া হয়।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপজেলা কৃষি
সম্প্রসারণ কর্মকর্তা কৃষিবিদ মোঃ নুর আলম বলেন, সরকার অনাবাদি পতিত জমি ও
বসত বাড়ির আঙিনাসহ প্রতি ইঞ্চি জমিতে আবাদ করতে এবং খাদ্য নিরাপত্তায়
সর্বোচ্চ গুরত্ব দিয়ে যাচ্ছেন। এ প্রকল্পের আওতায় গ্রামের মানুষ বসতবাড়ির
আঙিনায়, পুকুর, খালের পাড়, বাড়ির আশ-পাশে ছায়াযুক্ত ব্যবহৃত ও অনাবাদি
জমিতে শাক-সবজি ও ফলমূল উৎপাদন করতে হবে। এতে মানুষের পুষ্টিহীনতা দূর
হওয়ার পাশাপাশি খাদ্য নিরাপত্তাও নিশ্চিত হবে। একজন কৃষক সারা বছরই খামার
থেকে কিছু না কিছু পাবেন। এতে করে বসত বাড়ির আঙ্গিনা বা নিকটস্থ পতিত জমি
ব্যবহার করে শাক-সবজি উৎপাদনের মাধ্যমে স্বল্প খরচ ও শ্রমে পরিবারের পুষ্টি
চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি অতিরিক্ত সবজি বিক্রি করে বাড়তি আয় করা সম্ভব।
উঠান বৈঠক শেষে পুষ্টি পরিবারের মাঝে প্লেট, পুষ্টি কার্ড, সবজির বীজ ও গাছের চারা বিতরণ করা হয়।