নির্ধারিত
সূচি অনুযায়ী গত বছরের ডিসেম্বরে হওয়ার কথা ছিল লিভারপুল-এভারটন ম্যাচ।
তবে ঝড়ের কারণে তখন ম্যাচটি মাঠে গড়ায়নি। দর্শকদের অপেক্ষায় রাখা এই ম্যাচ
শেষ পর্যন্ত সেই প্রতিক্ষার প্রতিদান দিয়েছে। দারুণ লড়াইয়ে জয়ের পথেই ছিল
লিভারপুল। তবে ম্যাচের অন্তিম মুহুর্তের গোলে বদলে যায় চিত্রনাট্য।
শেষ
পর্যন্ত ম্যাচটি ড্র হয়েছে ২-২ গোলে। লিভারপুলের হয়ে গোল করেছেন
অ্যালেক্সিস ম্যাক অ্যালিস্টার ও মোহাম্মদ সালাহ। আর এভারটনের হয়ে গোল
করেছেন বেতো ও জেমস তারকোস্কি।
এই ম্যাচ থেকে পাওয়া এক পয়েন্ট পেলেও লিগ
শিরোপা জয়ের পথে সবার সামনেই আছে লিভারপুল। ২৪ ম্যাচে ১৭ জয় ও ৬ ড্রয়ে ৫৭
পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে তারা। ৭ পয়েন্ট পিছিয়ে দুইয়ে আর্সেনাল।
ম্যাচের ১১তম
মিনিটেই লিড নেয় এভারটন। মাঝমাঠে ফ্রি কিক পেয়ে দারুণ থ্রু বল বাড়ান
ব্র্যাথওয়েইট, সেখান থেকে বল পেয়ে বক্সে ঢুকে কোনাকুনি শটে বল জালে জড়ান
বেতো। মিনিট পাঁচেক পরই গোল শোধ করে লিভারপুল। সালাহর ক্রসে হেডে গোল করেন
অ্যালিস্টার।
এক গোল শোধ করার পর এগিয়েও যায় লিভারপুল। ৭৩তম মিনিটে
কার্টিস জোন্সের শট রক্ষণে প্রতিহত হওয়ার পর, ডান দিকের পোস্টে ফাঁকায় পেয়ে
জোরাল শটে গোল করেন সালাহ। এই লিড ধরে রেখেই খেলা প্রায় শেষ করে ফেলছিল
লিভারপুল। ৯০ মিনিটের পর যোগ করা ৫ মিনিটও পেরিয়ে যখন শেষ বাঁশির অপেক্ষায়
লিভারপুল ভক্তরা, তখন চমকে দেয় এভারটন।
শেষবারের মতো আক্রমণে ওঠে এভারটন
এবং সতীর্থের হেড পাস পেয়ে জেমস তারকোস্কি ডান পায়ের জোরাল শট ঠিকানা
খুঁজে পেতেই উল্লাসে ফেটে পড়ে পুরো এভারটন।
এরপর ঘটেছে আরো নাটকীয় ঘটনা!
শেষের বাঁশি বাজতেই মেজাজ হারিয়ে ফেলেন দুই দলের কয়েকজন। দ্বিতীয় হলুদ
কার্ড দেখেন এভারটনের দুকুরে। লিভারপুল কোচ স্লটকে সরাসরি লাল কার্ড দেখান
রেফারি। পরে লিভারপুলের কার্টিস জোন্স বহিষ্কার হন।