সাবেক
অর্থমন্ত্রী আ হ ম মোস্তফা কামাল ওরফে লোটাস কামাল ও তার স্ত্রী-সন্তানদের
বিরুদ্ধে পৃথক চারটি মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। বৃহস্পতিবার
(১৩ ফেব্রুয়ারি) এক ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান দুদকের মহাপরিচালক (প্রতিরোধ)
মো. আক্তার হোসেন।
তিনি বলেন, ‘আ হ ম মোস্তফা কামাল, তার স্ত্রী কাশমিরি
কামাল, মেয়ে কাশফি কামাল ও নাফিসা কামালের ১০৭টি ব্যাংক হিসাবের মাধ্যমে
৮৪৯ কোটি ৭৮ লাখ ১৯ হাজার ১৬ টাকা লেনদেন হয়েছে। এছাড়াও তারা বিপুল পরিমাণ
অবৈধ সম্পদের মালিক হয়েছেন।’
দুদকের এই কর্মকর্তা জানান, আ হ ম মোস্তফা
কামাল ক্ষমতার অপব্যবহার করে ২৭ কোটি ৫২ লাখ ৫৪ হাজার ৮৩১ টাকার জ্ঞাত আয়
বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করেন। এছাড়া তিনি নিজ নামে ও ব্যবসায়ীক প্রতিষ্ঠানের
নামের ৩২টি ব্যাংক হিসাবের মাধ্যমে ৪৪৬ কোটি ৪২ লাখ ৫৩ হাজার ৭৮৮ টাকার
সন্দেহজনক ও অস্বাভাবিক লেনদেন করেন।
আ হ ম মোস্তফা কামালের স্ত্রী
কাশমিরি কামালের নামে ৪৪ কোটি ১১ লাখ ৬২ হাজার ১৪৬ টাকার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত
সম্পদের তথ্য পাওয়া গেছে। তার নামে ব্যবসায়ীক প্রতিষ্ঠান খুলে প্রতিষ্ঠান ও
নিজ নামে ২৬ কোটি ৬৪ লাখ এক হাজার ১৩৩ টাকার সন্দেহজনক লেনদেনের তথ্য
রয়েছে। এছাড়া ঘুষ ও দুর্নীতির মাধ্যমে আ হ ম মোস্তফা কামালের অর্জিত অবৈধ
সম্পদ গোপনের উদ্দেশ্যে হস্তান্তর, রূপান্তর ও স্থানান্তর করে শাস্তিযোগ্য
অপরাধ করেছেন কাশমিরি কামাল।
আ হ ম মোস্তফা কামালের মেয়ে কাশফি কামালের
নামে ৩১ কোটি ৭৮ লাখ ৮৩ হাজার ১৯৫ টাকার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদের তথ্য
পাওয়া গেছে। তার নিজের নামে ও ব্যবসায়ীক প্রতিষ্ঠানের নামে ৩৮টি ব্যাংক
হিসাবের মাধ্যমে ১৭৭ কোটি ৪৮ লাখ ২৩ হাজার ৫৪৮ টাকার অস্বাভাবিক ও
সন্দেহজনক লেনদেনের তথ্য রয়েছে।
আ হ ম মোস্তফা কামালের আরেক মেয়ে নাফিসা
কামালের নামে ৬২ কোটি ১৪ লাখ ৭৭ হাজার ৫১৬ টাকার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত
সম্পদের তথ্য পেয়েছে দুদক। ব্যক্তিগত ও ব্যবসায়ীক ১৭টি ব্যাংক হিসাবের
মাধ্যমে তিনি ১৯৯ কোটি ২৩ লাখ ৪০ হাজার ৫৪৭ টাকার অস্বাভাবিক ও সন্দেহজনক
লেনদেন করেন।
স্ত্রী-সন্তান সবাই আ হ ম মোস্তফা কামালের অবৈধ উপায়ে
অর্জিত সম্পদ গোপন ও আড়ালের উদ্দেশ্যে হস্তান্তর, রূপান্তর ও স্থানান্তর
করেন। মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, দুর্নীতি
প্রতিরোধ আইন ও দন্ডবিধির সংশ্লিষ্ট ধারায় তাদের নামে পৃথক পৃথক চারটি
মামলা দায়ের করা হয়েছে।