সৃজনশীল
প্রতিভার স্বীকৃতি ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের সংযোগে কুমিল্লায় অনুষ্ঠিত হলো
"মননে দিগন্তের সূর" সিজন ২-এর পুরস্কার বিতরণ ও কাওয়ালী সন্ধ্যা। জাতীয়
কবি নজরুল ইনস্টিটিউট কেন্দ্র, কুমিল্লায় নাশিদ একাডেমি আয়োজিত এই
অনুষ্ঠানে বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ, প্রশাসনিক কর্মকর্তা ও সাংস্কৃতিক
ব্যক্তিত্বরা উপস্থিত ছিলেন।
নাশীদ একাডেমির পরিচালক আবু জাফর খানের
সভাপতিত্বে এবং জয়নাল আবেদীন রনির উপস্থাপনায় অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি
ছিলেন কুমিল্লা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ড চেয়ারম্যান প্রফেসর
মো: শামছুল ইসলাম।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কুমিল্লা জিলা
স্কুলের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ আবদুল হাফিজ, নবাব ফয়জুন্নেছা সরকারি
বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় এর প্রধান শিক্ষকা রাশেদা আক্তার, ইবনে তাইমিয়া স্কুল
অ্যান্ড কলেজ এর অধ্যক্ষ শফিকুল আলম হেলাল, রেসিডেন্সিয়াল স্কুল অ্যান্ড
কলেজ অধ্যক্ষ মো: আবদুল হান্নান, এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট ও ইসলামী
ব্যাংক কুমিল্লা জোন প্রধান মোঃ মনিরুল ইসলাম।
"মননে দিগন্তের সূর" প্রতিযোগিতার বিভিন্ন ক্যাটাগরির বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন আগত অতিথিরা।
আয়োজকরা জানান, এই আয়োজন শিক্ষার্থীদের সৃজনশীলতা ও সাংস্কৃতিক চর্চায় উদ্বুদ্ধ করবে এবং ভবিষ্যতে আরও বড় পরিসরে আয়োজন করা হবে।
বক্তারা
বলেন, "মননে দিগন্তের সূর" প্রতিযোগিতা নতুন প্রজন্মের সৃজনশীল বিকাশের পথ
উন্মুক্ত করবে। কুমিল্লার সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যকে এগিয়ে নিতে ভবিষ্যতে আরও
উন্নত পরিকল্পনার মাধ্যমে এ ধরনের আয়োজন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
পুরস্কার
বিতরণ শেষে ঐতিহ্যবাহী কাওয়ালী সন্ধ্যা অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে
সঙ্গীতশিল্পীদের অসাধারণ পরিবেশনা দর্শকদের মুগ্ধ করে। সুরের মূর্ছনায় এক
অভূতপূর্ব সন্ধ্যা উপভোগ করেন অতিথি ও দর্শনার্থীরা।
অনুষ্ঠানটির সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিলেন গোলাম মো. সামদানী, আহ্বায়ক, ইনকিলাব মঞ্চ।