যুক্তরাজ্যের
অন্যতম প্রদেশ স্কটল্যান্ডের ক্লাব সেল্টিক যেভাবে খেলেছে, তাতে বায়ার্ন
মিউনিখের মাঠে জয় আশা করতেই পারে। তবে সফরকারীদের সেই স্বপ্ন ভেঙে তছনছ হয়ে
গেছে শেষ মুহূর্তে বায়ার্নের আলফনসো ডেভিসের গোলে। ৯৪ মিনিটে সমতাসূচক
(১-১) গোল এবং দুই লেগ মিলিয়ে ৩-২ ব্যবধানে জিতে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ
ষোলোতে চলে গেছে বায়ার্ন। বিদায় নিতে হয়ে সেল্টিককে।
এর আগে ঘরের মাঠ
গ্লাসগোতে প্রথম লেগে ২-১ ব্যবধানে হেরেছিল সেল্টিক। পরবর্তী রাউন্ডে যেতে
হলে এই ম্যাচে জিততেই হতো তাদের। দুঃসাহসী পারফরম্যান্স দেখিয়ে অতিরিক্ত
সময় পর্যন্ত ১-০ লিড ধরে রেখেছিল, বায়ার্নকে রেখেছিল চাপে। তবে শেষ পর্যন্ত
জার্মান বুন্দেসলিগার ক্লাবটিকে আটকাতে পারেনি তারা।
প্রথম থেকেই বায়ার্নকে চাপে রাখে সেল্টিক। ম্যাচের ১৬ মিনিটে কুয়েনের শট বায়ার্নের রাফায়েল গুয়েরেইরো গোললাইন থেকে ফিরিয়ে দেন।
গেল
শনিবার বুন্দেসলিগায় বায়ার লেভারকুসেনের সঙ্গে গোলশূন্য ড্র করা বায়ার্ন
প্রথমার্ধে উল্লেখযোগ্য কোনো সুযোগ তৈরি করতে পারেনি। বিরতির ঠিক আগে
ইংল্যান্ডের অধিনায়ক হ্যারি কেইন একটি শট নেন, যা গোলপোস্টে লেগে ফিরে আসে।
লেভারকুসেনের
বিপক্ষে ম্যাচে মাথায় আঘাত পাওয়া কেইন বিরতির পর মাঠ ছাড়েন। দ্বিতীয়ার্ধের
শুরুতেই লিওন গোরেজকা দারুণ সুযোগ পেলেও সেল্টিকের গোলরক্ষক তা প্রতিহত
করেন।
৬৩ মিনিটে বায়ার্নকে চমকে দিয়ে গোল করে সেল্টিক। বায়ার্নের
রক্ষণের দুটি বড় ভুলের সুযোগ নিয়ে বল জালে পাঠান নিকোলাস কুহন। এতে ১-০
ব্যবধানে লিড পায় সফরকারীরা।
প্রথম লেগের ঘাটতি কাটিয়ে তোলা এবং
জার্মানিতে ১৬তম প্রচেষ্টায় প্রথম জয় পেতে মরিয়া ছিল সেল্টিক। কিন্তু
স্কটিশ ক্লাবটির বহুল কাঙ্ক্ষিত জয়টি ছিনিয়ে নেন আলফনসো, ৯৪ মিনিটের গোলের
মাধ্যমে।
ম্যাচের পর বায়ার্নের মিডফিল্ডার লিওন গোরেজকা বলেন, ‘আপনি যদি
প্রথম লেগ দেখে থাকেন, তাহলে এটি কোনো বিস্ময়ের বিষয় নয়। অবশ্যই আমরা
নিজেদের জন্য কাজটা সহজ করতে পারতাম যদি গোল না খেতাম। আমরা ছয় দিনের মধ্যে
তিনটি ম্যাচ খেলেছি, তাই আমাদের মূল লক্ষ্য ছিল জয় নিশ্চিত করা। যা আমরা
করতে পেরেছি এবং আমরা এতে খুশি।’
সেল্টিক কোচ ব্রেন্ডন রজার্স বলেন,
‘এটি ছিল অত্যন্ত নির্মম পরিণতি। আমরা ম্যাচ হারিনি, তবুও প্রতিযোগিতা থেকে
বিদায় নিতে হলো। আমাদের খেলোয়াড়দের পারফরম্যান্স ছিল বীরত্বপূর্ণ। কিন্তু
শেষ মুহূর্তে দুর্ভাগ্য আমাদের সঙ্গ দেয়নি।’
আগামী শুক্রবারের ড্রয়ের পর বলা যাবে, শেষ ষোলোতে বায়ার লেভারকুসেন নাকি অ্যাতলেতিকো মাদ্রিদের মুখোমুখি হবে বায়ার্ন।