রণবীর
ঘোষ কিংকর: কুমিল্লার চান্দিনার আল-আমিন নামের এক যুবককে সৌদি নিয়ে গিয়ে
নানা ভাবে তার সাথে প্রতারণা করেছে এক দালাল। দেশে ফিরে নিঃস্ব হয়ে এখন
বিচারের জন্য মানুষের দ্বারে দ্বারে ঘুরছে ভুক্তভোগী আল-আমিন। একাধিকবার
সালিশ বৈঠকে ব্যর্থ হওয়ার পর দালাল কামাল হোসেনের বিরুদ্ধে চান্দিনায় থানায়
লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন তিনি। এখন ওই দালালের হুমকি-ধমকির শিকার হয়ে
প্রাণ নাশের শষ্কায় সপরিবারে দিনাতিপা কবরছেন উপজেলার বড়গোবিন্দপুর পশ্চিম
পাড়ার সিরাজুল ইসলামের ছেলে আল-আমিন।
এঘটনায় ভিসার টাকা ফেরতে চেয়ে
বিচার প্রার্থনায় তার মা হালিমা বেগম একই গ্রামের আব্দুস ছামাদ মেম্বারের
ছেলে কামাল দালালের বিরুদ্ধে চান্দিনা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করে।
অভিযোগে জানা যায়- গত বছরের জুলাই মাসে দালাল কামাল হোসেন সৌদি আরবে একটি
কোম্পানিতে ভালো মানের কাজের ভিসা দেওয়ার প্রলোভন দেখায়। পরে আকামা করা সহ
ভিসার মূল্য ৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা নির্ধারণ করে মৌখিক চুক্তিবদ্ধ হয় কামাল।
টাকা নিয়ে সৌদি পাঠানোর পর কোন কাজ বা আকামা করে দেয় নি। এমন প্রতারণায় তিন
মাসের মাথায় সৌদি পুলিশ আল-আমিনকে গ্রেফতার করে দেশে পাঠিয়ে দেয়।
সরেজমিনে
ভুক্তভোগী আল-আমিনসহ তার পরিবার ও স্থানীয় একাধিক ব্যক্তি সাংবাদিকদের
জানান- সৌদি কোম্পানিতে ভালে কাজের ভিসা দেওয়ার কথা বলে প্রবাসে নিয়ে ‘থাকা
খাওয়ার কোনো খরচ কিংবা কোন প্রকার কাজ না দিয়ে তাকে বন্দি করে রাখে। তিন
মাস অতিবাহিত হলে সৌদি পুলিশের অভিযানে অবৈধ ভাবে আটকের পর তিন মাস জেল
হাজতে রেখে দেশে পাঠিয়ে দেয়। বিষয়টি নিয়ে কামালের সাথে একাধিকবার সামাজিক
সালিশ বৈঠক হয়। বসা হয়। বৈঠকে টাকা ফেরত দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। অভিযুক্ত
কামাল হোসেন আজও তার টাকা ফেরৎ দেয়নি। উল্টো আল-আমিনকে প্রাণ নাশের হুমকি
দিচ্ছে।
এবিষয়ে জানতে অভিযুক্ত কামাল হোসেন এর মোবাইলে একাধিকবার কল দিলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
চান্দিনা
থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. নাজমুল হুদা বলেন- অভিযোগের ভিত্তিতে
তদন্ত সাপেক্ষে দোষী ব্যক্তির বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।