নিজস্ব
প্রতিবেদক: ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র সাঈদ খোকন, তার স্ত্রী
ফারহানা সাঈদ ও মা শাহানা হানিফের নামে থাকা পারপেচুয়াল বন্ড হিসাব
অবরুদ্ধের আদেশ দিয়েছে আদালত। এসব বন্ড হিসাবে তাদের মোট ৯০ কোটি টাকার
বিনিয়োগ রয়েছে।
একইসঙ্গে সাঈদ খোকনের নামে থাকা গুলশানে একটি ১৪ তলা
বাড়ি ও বনানীতে থাকা দুটি বাড়ি এবং শাহানা হানিফের নামে বারিধারায় থাকা জমি
ও বাড়ি জব্দের আদেশ দেওয়া হয়েছে।
দুর্নীতি দমন কমিশন-দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বুধবার ঢাকার জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ মো. জাকির হোসেন গালিব এ আদেশ দেন।
আদালতে
দুদকের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা আক্কাস আলী বলেন, দুদকের উপপরিচালক মাসুদুর রহমান সাবেক মেয়র সাঈদসহ তিনজনের বন্ড এবং
মাসহ তার বাড়ি ও জমি অবরুদ্ধ করার জন্য আবেদন করেন।
শুনানি শেষে আদালত আবেদনটি মঞ্জুর করে আদেশ দেন, বলেন আক্কাস আলী।
এর আগে গত ১০ ফেব্রুয়ারি সাঈদ খোকন ও তার পরিবারের ৭৯ ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধের আদেশ দেন আদালত।
এদিন
দুদকের আবেদনে বলা হয়, শাহানা হানিফ, মোহাম্মদ সাঈদ খোকন, তাদের পরিবারের
সদস্য জাবেদ আহমেদ ও ফাতেমা খাতুনের ব্যাংক হিসাবে অস্বাভাবিক লেনদেনের
অভিযোগ রয়েছে। এছাড়া ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র সাঈদ খোকনসহ
অন্যান্য কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে নানা দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে।
সাঈদ খোকন তার পদের অপব্যবহার করে ও রাজনৈতিক পরিচয়ের মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন স্থানে ও বিদেশে বিপুল সম্পদ অর্জনের তথ্য পাওয়া যাচ্ছে।
অনুসন্ধানে
সাঈদ খোকন, ফারহানা সাঈদ ও শাহানা হানিফের নামে সিটি ব্রোকারেজ লিমিটেড
পরিচালিত তিনটি হিসাবের মাধ্যমে সিটি ব্যাংকের পারপেচ্যুয়াল বন্ডে মোট ৯০
কোটি টাকার বিনিয়োগ থাকার তথ্য মিলেছে।
এসব সাঈদ খোকন, তার স্ত্রী ও
মা’র নামে পাওয়া স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তি যাতে হস্তান্তর করতে না পারেন
সে জন্য জরুরি ভিত্তিতে অবরুদ্ধ করা প্রয়োজন।
অবিভক্ত ঢাকা সিটির মেয়র
মোহাম্মদ হানিফের ছেলে সাঈদ খোকন ২০১৫ সালে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের
মেয়র নির্বাচিত হন। পরের দফায় মেয়র নির্বাচনে দলের মনোনয়ন পাননি।
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে তিনি ঢাকা-৬ আসন থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়নে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
গত ৫ অগাস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটে।
এরপর ২৩ ডিসেম্বর সাঈদ খোকন, তার স্ত্রী ফারহানা সাঈদ, মা শাহানা হানিফ ও ভাই জাবেদ আহমেদের বিদেশ গমনে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে আদালত।