দাউদকান্দি
প্রতিনিধি: ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলায়
দিনে-দুপুরে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার এক নারী যাত্রী ছিনতাইকারীদের কবলে
পড়েন। দেশি অস্ত্র ঠেকিয়ে তার কাছ থেকে মোবাইল ফোন ও টাকা ছিনিয়ে নেওয়া হয়।
তবে ওই নারী ছিনতাইকারীদের পিছু নিয়ে একপর্যায়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের
সহযোগিতায় দুজনকে ধরে ফেলেন। পরে স্থানীয় জনতা দুই ছিনতাইকারীকে পিটুনি
দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করে।
ছিনতাইয়ের ঘটনাটি ঘটে রবিবার (২ মার্চ) বেলা ১২টার দিকে বারপাড়া কানড়া ঈশা খাঁ সিএনজি ফিলিং স্টেশনের সামনে।
ভুক্তভোগী
ইয়াছমিন আক্তার জানান, তিনি ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের গৌরীপুর বাসস্ট্যান্ড
থেকে ব্যাটারিচালিত একটি অটোরিকশায় উপজেলার শহীদনগরে যাচ্ছিলেন। বেলা
১২টার দিকে অটোরিকশাটি মহাসড়কের দাউদকান্দি উপজেলার বারপাড়া কানড়া ঈশা খাঁ
ফিলিং স্টেশনের সামনে পৌঁছালে আরেকটি অটোরিকশা তাকে বহনকারী অটোরিকশার
গতিরোধ করে। এরপর ছিনতাইকারীরা রামদা ঠেকিয়ে তার কাছ থেকে ৫০০ টাকা ও
মোবাইল ফোনটি ছিনিয়ে নিয়ে যায়। মোবাইল ফোনের বিকাশ নম্বরে আরও টাকা ছিল।
সেই টাকার জন্য সাহস করে তাৎক্ষণিক ছিনতাইকারীদের পেছু নেন ইয়াছমিন।
একপর্যায়ে উপজেলার সাতপাড়া গ্রামের কাছে দুই ছিনতাইকারীকে দেখতে পেয়ে
‘ডাকাত, ডাকাত’ বলে চিৎকার দেন তিনি। এ সময় আশপাশের লোকজন এগিয়ে এসে ওই
দুজনকে ধরে পিটুনি দেয়। পরে তাদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে
নিয়ে যান কয়েকজন। খবর পেয়ে সেখান থেকে দুই ছিনতাইকারীকে আটক করে দাউদকান্দি
মডেল থানা পুলিশ।
ইয়াছমিন আক্তার উপজেলার মোহাম্মদপুর গ্রামের স্বপন
মিয়ার স্ত্রী। আটক দুই ছিনতাইকারী হলেন দাউদকান্দি পৌর সদরের তুজারভাঙ্গা
গ্রামের হোসেন মিয়া (২৯) ও হবিগঞ্জের বানিয়াচং উপজেলার বেড়াতি গ্রামের
দেলোয়ার হোসেন (১৯)। দাউদকান্দি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক
মাহমুদা আক্তার বলেন, ‘আটক দুই ছিনতাইকারীর পুরো শরীরে পিটুনির চিহ্ন
রয়েছে।’
স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান,
সাতপাড়া গ্রামটি ছিনতাইকারীদের আস্তানা। বিভিন্ন স্থানের হত্যা মামলার
আসামিরা এ গ্রামে স্থায়ীভাবে ভাড়া থাকেন অথবা বিয়ে করে বসবাস করেন।
দাউদকান্দি মডেল থানার ওসি জুনায়েত চৌধুরী বলেন, ‘স্থানীয়রা পুলিশের সহযোগিতায় দুই ছিনতাইকারীকে আটক করে।’