আলহামদু
লিল্লাহ। মুসলমান ও মুমিনগণ মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভে সর্বদা ব্যস্ত
থাকে। কিভাবে আল্লাহকে খুশি করা যায় কোন কোন কাজে আল্লাহ রাব্বুল আলামিন
খুশি হবেন? এটা নিয়েই সর্বদা চিন্তিত থকেন। তাই তাঁরা ইবাদত করে যেমন মজা
পান সে স্বাদ অন্য কোন কিছুর মধ্যে পান না পাওয়া যায় না। একজন সত্যিকারের
মুমিন মহান আল্লাহর সান্নিধ্য লাভের জন্য সর্বদা প্রস্তুত থাকেন এবং তাঁরা
পৃথিবীর সব কিছু ত্যাগ করে দেন। রামাদ্বান মাসের রোজার মাস আসলে তাঁদের
খুশির অন্ত থাকে না। মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিনও তাঁদের এই ত্যাগের জন্য
করে রেখেছেন বিশেষ ব্যবস্থা।
রোজাদার বান্দা বান্দীগণ আল্লাহ রাব্বুল
আলামিনের বিশেষ মেহমান হিসাবে কিয়ামতে জান্নাতে অবস্থান করবেন। কিয়ামতে
তাঁদের জন্য থাকবে বিশেষ সম্মানিত রহমতি ব্যবস্থা। সাথে সাথে জান্নাতে
যাওয়া ও অবস্থানটাও থাকবে ভিন্ন পর্যায়ের। হাদিসে পাকে এই সম্পর্কে নূর
নবিজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ঘোষণা করেন- নবিজী দঃ বিশিষ্ট
সাহাবী হযরত সাহল ইবনে সাদ রাঃ থেকে বর্ণিত রাসুল করিম দঃ এরশাদ
করেন-জান্নাতে আটটি দরজা রয়েছে বা থাকবে। তন্মধ্যে একটি দরজার নাম থাকবে
“রাইয়্যান” ঐ দরজা দিয়ে শুধুমাত্র রোজাদারগণই প্রবেশ করতে পারবেন। অন্য
জান্নাতীরা নয়। বুখারী শরিফ ১ম খন্ড, হাদিস নং-১৮৫৮।
মহান আল্লাহ এই
দরজাকে এমন ভাবে সাজাবেন যা জান্নাতের অন্য কোন দরজায় পরিলক্ষিত হবে না।
জান্নাতিরা সবাই অপলক দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকবে আর বলতে থাকবে এমন সুন্দর দরজা
কার জন্য? কেনই বা সৃষ্টি করা হলো এই দরজা? তখন মহান আল্লাহর পক্ষ থেকে
জানিয়ে দেওয়া হবে এটা ঐ সকল ইবাদতকারী রোজাদারদের জন্য যাঁরা শুধুমাত্র
আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের সন্তুষ্টির জন্য পৃথিবীতে রোজা রেখেছিল। অতএব এই
দরজা দিয়ে শুধু তাঁরাই প্রবেশ করার সুযোগ পাবে। দুই লাইনে দাঁড়িয়ে থাকবে
ফেরেশতারা আর ঐ রোজাদার জান্নাতিদের সু স্বাগতম সু স্বাগতম-আহলান সাহলান
আপনারা কতইনা ভাগ্যবান যে আপনারা মহান আল্লাহর প্রতি সর্বদা সন্তুষ্ট আর
মহান রবও আপনাদের প্রতি সন্তুষ্ট। এই ভাবে স্কট দিয়ে তাঁদেরকে জান্নাতে
প্রবেশ করাতে থাকবেন। সুবহানাল্লাহ। জান্নাত তো কিছুই না। আমরা যদি মহান
রবকে রাজি ও খুশি করতে পারি তাহলে সবকিছুই আপনার আমার জন্য বরাদ্দ করে
রেখেছেন তিনি। শুধু একটু ত্যাগ আর তাঁর ও তাঁর হাবিব দঃ এর প্রতি অগাধ
নিগুড় ভালবাসা প্রয়োজন। তাহলেই সবকিছু সহজ ও সম্ভব হয়ে যাবে আমাদের জন্য।
তাই
আসুন সত্যিকার মহান প্রভুর দাসত্ব করি তাঁকে পাওয়া ও সন্তুষ্টির জন্য।
দুনিয়ার কোন লোক দেখানোর জন্য নয়। মহান আল্লাহ তায়ালা আমাদের সবাইকে
সেভাবেই কবুল করুন। আমিন।
লেখক: প্রধান ইমাম ও খতীব, কান্দিরপাড় কেন্দ্রিয় জামে মসজিদ ও কেন্দ্রিয় ঈদগাহ, কুমিল্লা।