"কিশোরকণ্ঠ পড়বো, জীবনটাকে গড়বো; ফুলের মতো ফুটবো মোরা, জ্ঞানের আলোয় জ্বলবো।" এ শ্লোগানকে সামনে রেখে কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা কিশোরকণ্ঠ পাঠক ফোরামের ২০২৪ সালের মেধাবৃত্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ২৭০ জন শিক্ষার্থীর মাঝে বৃত্তি, ক্রেস্ট, সনদপত্র, বই ও শিক্ষা উপকরণ বিতরণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার (১১ মার্চ) লাকসাম গ্রীন ক্যাসেল হোটেল মিলনায়তনে কিশোরকণ্ঠ পাঠক ফোরাম কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন রনির সভাপতিত্বে ও ভাইস চেয়ারম্যান জাহিদুল ইসলাম চৌধুরীর পরিচালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন, কিশোরকণ্ঠ ফাউন্ডেশনের কেন্দ্রীয় উপদেষ্টা চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রনেতা মুহাম্মদ সাইদুল ইসলাম।
প্রধান অতিথি বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, মেধাবীদের প্রতি আমাদের প্রত্যাশা বেশী। তাদেরকে নিজেদের মেধা ও নৈতিকতার সমন্বয়ে জাতির আকাঙ্খা ফুটিয়ে তুলতে হবে।
তিনি আরো বলেন, আমরা একদল দেশপ্রেমিক সাহসী মানুষ চাই, যারা শুধু নিজেদের ব্যক্তি জীবনেই সীমাবদ্ধ থাকবে না; বরং বঞ্চিত মানুষের মুক্তির জন্য সংগ্রাম করবে।মেধাবীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, শুধু পাঠ্যপুস্তক নিয়েই লেখাপড়া করলে চলবে না। নিজেদেরকে চরিত্রবান হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। নীতি-নৈতিকতা জ্ঞান সম্পন্ন মানুষ তৈরি হলেই সমৃদ্ধ স্বদেশ গঠন সম্ভব। তবেই মিলবে দুনিয়ায় প্রশান্তি ও পরকালীন মুক্তি।
অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা ছিলেন, কিশোরকণ্ঠ ফাউন্ডেশনের উপদেষ্টা বিশিষ্ট মোটিভেশনাল স্পিকার অ্যাডভোকেট আল-মামুন রাসেল।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, কুমিল্লা-৯ আসনে জামায়াত মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ড. সৈয়দ সরওয়ার উদ্দিন ছিদ্দিকী, লাকসাম পৌরসভা জামায়াতের সেক্রেটারি মাওলানা মোহাম্মদ শহীদ উল্লাহ, সহ-সেক্রেটারি মাষ্টার একেএম শাহ আলম।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা কিশোরকন্ঠ ফাউন্ডেশনের দপ্তর সম্পাদক মোশাররফ হোসেন, অর্থ সম্পাদক ইব্রাহিম খলিল আজাদ, দাওয়াহ সম্পাদক শাফায়েত উল্লাহ, প্রচার সম্পাদক নুরুল ইসলাম মোল্লা, সাহিত্য সম্পাদক জাফর ইকবাল, মানব সম্পদ উন্নয়ন সম্পাদক ইকবাল হোসেন বাবলু, প্রকাশনা সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধানসহ শিক্ষক ও অভিভাবকবৃন্দ।
উল্লেখ্য, ২০২৪ সালের কিশোরকণ্ঠ মেধাবৃত্তি পরীক্ষা কুমিল্লা দক্ষিণ জেলার বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে প্রায় ৪ হাজারের অধিক শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে। এর মধ্যে থেকে সর্বমোট ২৭০ জনকে বৃত্তি দেয়া হয়। যার মধ্যে ট্যালেন্টপুলে ৭০ জন, সাধারণ গ্রেডে ২০০ জন শিক্ষার্থী বৃত্তি পেয়েছেন। অনুষ্ঠানে ট্যালেন্টপুলে বৃত্তিপ্রাপ্ত প্রত্যেক শিক্ষার্থীর মাঝে ২ হাজার টাকা ও সাধারণ গ্রেডে বৃত্তি প্রাপ্তদের ১ হাজার ৫শত টাকা নগদ অর্থবৃত্তি, সার্টিফিকেট, ক্রেস্ট, বই ও শিক্ষা সামগ্রি তুলে দেওয়া হয়।