আন্তর্জাতিক
ক্রিকেটকে বিদায় জানালেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। আগেই টেস্ট ও আন্তর্জাতিক
টি-টোয়েন্টি থেকে সরে দাঁড়িয়েছিলেন তিনি। এবার ওয়ানডে থেকেও বিদায় নিলেন।
তাই বাংলাদেশের জার্সিতে আর বাইশ গজে দেখা যাবে না এই অলরাউন্ডারকে।
গত
১০ মার্চ কেন্দ্রীয় চুক্তির নতুন তালিকা প্রকাশ করে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড
(বিসিবি)। যেখানে নাম ছিল মাহমুদউল্লাহর। তবে নিজেকে সেই তালিকা থেকে
সরিয়ে নেন মাহমুদউল্লাহ। ফলে ধারণা করা হচ্ছিল, এখানেই শেষ হচ্ছে তার
আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার। অবশেষে সেটাই সত্যি হয়েছে।
আজ (১২ মার্চ) রাতে
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসরের ঘোষণা দেন
মাহমুদউল্লাহ। যেখানে তিনি লিখেছেন, 'সকল প্রশংসা মহান আল্লাহর। আমি
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসরের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমার সকল সতীর্থ, কোচ
এবং বিশেষ করে আমার ভক্তদের ধন্যবাদ দিতে চাই, যারা সবসময় আমাকে সমর্থন
দিয়েছে।'
'বিশেষ ধন্যবাদ দিতে চাই, আমার মা-বাবাকে, আমার শ্বশুরকে এবং
আমার ভাই এমদাদউল্লাহকে, যে একজন কোচ এবং পরামর্শক হিসেবে শৈশব থেকেই আমার
পাশে ছিল।'-যোগ করেন তিনি।
সমৃদ্ধ এক আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের শেষটা মাঠ
থেকে না হওয়া যেকোনো ক্রিকেটারের জন্যই কিছুটা হলেও কষ্টের।
মাহমুদউল্লাহরও সেই আক্ষেপ নিশ্চয়ই থাকবে। তিনি লিখেছেন, 'সবকিছুই যে
নিখুঁতভাবে শেষ হয় তা নয় কিন্তু আপনাকে মেনে নিয়ে এগিয়ে যেতে হয়।
শান্তি...আলহামদুলিল্লাহ। আমার দল এবং বাংলাদেশ ক্রিকেটের জন্য শুভকামনা।'
২০০৭
সালের ২৫ জুলাই শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ওয়ানডে ম্যাচ দিয়ে আন্তর্জাতিক
ক্রিকেটে পথচলা শুরু মাহমুদউল্লাহর। শেষটাও করলেন ওয়ানডে দিয়েই। এই
সংস্করণের ক্রিকেটে সবমিলিয়ে খেলেছেন ২৩৯ ম্যাচ। যেখানে ৩৬ গড়ে করেছেন ৫
হাজার ৬৮৯ রান। ৩২ ফিফটির পাশাপাশি হাঁকিয়েছেন চার সেঞ্চুরি। পাশাপাশি বল
হাতে শিকার করেছেন ৮২ উইকেট।
এ ছাড়া ৫০ টেস্ট খেলে প্রায় ৩৩ গড়ে করেছেন ২
হাজার ৯১৪ রান। যেখানে তার নামের পাশে ১৬ ফিফটির আর ৫ সেঞ্চুরি। পাশাপাশি
বল হাতে শিকার করেছেন ৪৩ উইকেট।
বাংলাদেশের জার্সিতে মাহমুদউল্লাহ
টি-টোয়েন্টি খেলেছে ১৪১ টি। যেখানে প্রায় ২৪ গড়ে করেছেন ২ হাজার ৪৪৪ রান।
পাশাপাশি বল হাতে শিকার করেছেন ৪১ উইকেট।