কুমিল্লার তিতাস উপজেলার ভিটিকান্দি ইউনিয়নের পোড়াকান্দি গ্রামের ঠাকুর পুকুর পাড় সংলগ্ন ৬ কোটি টাকা ব্যয়ে স্থানীয় সরকার বিভাগের আওতাধীন জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের (ডিপিএইচই) এর মানব সম্পদ উন্নয়নে গ্রামীণ পানি সরবরাহ, স্যানিটেশন ও স্বাস্থ্যবিধি প্রকল্প কর্তৃক নিরাপদ ও সুপেয় পানির চাহিদা পূরণের লক্ষ্যে নিরাপদ পানি সরবরাহ বড় স্কিম স্থাপনের নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছে।
২০২৪ সালের ১৮ এপ্রিল কাজটি শুরু করে ১৮ মাসের মধ্যে কাজটি সম্পন্ন করার কথা থাকলেও ভূমি জটিলতার কারণে সঠিক সময়ে কাজটি শুরু করতে পারেনি ঠিকাদার কোম্পানি।
উক্ত প্রকল্পটি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে এবং ভিটিকান্দি ও পোড়াকান্দি গ্রামের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর সেবার মানোন্নয়নের কথা চিন্তা করে একই গ্রামের বাসিন্দা সমাজ সেবক ও বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মোঃ দেলোয়ার হোসেন পলাশ, ১০ শতক ভূমি ৩০ বছরের জন্য জনকল্যাণে ব্যবহারের অনুমতি দিয়ে ইউনিয়ন পরিষদের সাথে চুক্তিবদ্ধ হলে চলতি বছরের ৮ মার্চ উক্ত স্কিমের নির্মাণ কাজটি শুরু করেন মনির ইঞ্জিনিয়ারিং ও আনোয়ার ফাউন্ডেশন ঠিকাদার কোম্পানি।
তিতাস উপজেলা জনস্বাস্থ্য অধিদপ্তর প্রকৌশলী সাদেক মোহাম্মদ জুনায়েদ বলেন,ভূমি জটিলতার কারণে সঠিক সময়ে কাজটি শুরু করতে পারিনি, ভিটিকান্দি গ্রামের বাসিন্দা মো.দেলোয়ার হোসেন পলাশ, প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর সেবার মানোন্নয়নের কথা চিন্তা করে এবং প্রকল্পটি বাস্তবায়নে লক্ষ্যে বিনা মূল্যে ৩০ বছরের জন্য ১০ শতক ভূমি দিয়ে ইউনিয়ন পরিষদের সাথে চুক্তিবদ্ধ হলে আমরা কাজটি শুরু করি। তিনি আরও বলেন, এই স্কিম ব্যস্তায়নের জন্য খাম্পসহ ২টি উৎপাদক নলকূপ, ওভারহেড ট্যাংক, পাম্প হাউজ নির্মাণ সহ প্রয়োজন অনুযায়ী ট্রিটমেন্ট প্লান স্থাপন সম্পন্ন করে তিন কিলোমিটার এরিয়ার মধ্যে ৩৫০ থেকে ৫০০ পরিবারে মাঝে পাইপ লাইনের দ্বারা নিরাপদ পানি সরবরাহ করে সুপেয় পানির চাহিদা মেটানো সম্ভব হবে এবং প্রান্তিক জনগোষ্ঠী উপকারভোগী হবে।
ভিটিকান্দি ইউনিয়নের সচেতন মহল বলেন,এই এলাকায় অনেকের বাড়িতে টিউবওয়েল নেই,অন্যের বাড়ি থেকে আর্সেনিক মুক্ত পানি এনে খেতে হয়। আজ দেলোয়ার হোসেন পলাশ বিনা মূল্যে জমি দেওয়ায় প্রকল্পটি আমাদের এলাকায় হচ্ছে, এতে ভিটিকান্দি ও পোড়াকান্দি গ্রামের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর অনেক উপকার হবে।
দেলোয়ার হোসেন পলাশ বলেন, আমি জানতে পাই স্থানীয় সরকার বিভাগের আওতাধীন জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের (ডিপিএইচই) এর মানব সম্পদ উন্নয়নে গ্রামীন পানি সরবরাহ, স্যানিটেশন ও স্বাস্থ্যবিধি প্রকল্প কর্তৃক নিরাপদ ও সুপেয় পানির চাহিদা পূরণের নিরাপদ পানি সরবরাহ বড় স্কিম এসেছে কিন্তু জমির জন্য এটি তিতাসে হচ্ছে না,তখন আমি আমার এলাকার প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর কথা চিন্তা করে এবং তাদের সেবার মানোন্নয়নের কথা চিন্তা করে বিনা মূল্য ৩০ বছরের জন্য ১০শতক জমি দিয়ে চুক্তিবদ্ধ হয়েছি,যাতে আমার এলাকার প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর সুপেয় পানি আর্সেনিক মুক্ত পানি ব্যবহার করতে পারে।